ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ দুই বছর বাড়ল, উৎপাদন শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা ভারতের উত্তর প্রদেশে বিয়ের গাড়ি দুর্ঘটনা, বরসহ নিহত একই পরিবারের ৮ জন শেরপুরের কাটাবাড়ী সীমান্তে বিদ্যুৎস্পর্শে বন্য হাতির মৃত্যু, উদ্বিগ্ন পরিবেশকর্মীরা নওগাঁর রায়হান আলম: আমচাষে নবজাগরণ ঘটানো এক সাহসী কৃষক গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে আগামী সপ্তাহেই : ট্রাম্প কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ডোনেশন ওয়েবসাইট উদ্বোধন কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডার: দুই দিন পর মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ২ জন লোহাগড়ায় একসঙ্গে ৩ কন্যা সন্তানের জন্ম তুরস্কে জুলাইয়ে বিরল তুষারপাত, অন্যদিকে দাবানলে বিপর্যস্ত দক্ষিণাঞ্চল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না: সচিবের হুঁশিয়ারি

গাজায় মধ্যরাতের ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ১৮

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

গাজায় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাবের মধ্যেই এই প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

চিকিৎসা সূত্রের বরাতে ফিলিস্তিনি ইনফরমেশন সেন্টার এবং কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক জানায়, মাত্র পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় চালানো ইসরায়েলি হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে সাতজন আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য স্থাপিত একটি ত্রাণ শিবিরে হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

এদিকে গাজায় ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ ক্ষুধার্ত মানুষদের উপরও নির্বিচারে গুলি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৬১৩ জন ত্রাণপ্রত্যাশী প্রাণ হারিয়েছেন। শুধু শুক্রবার সকাল থেকে নতুন হামলায় নিহত হয়েছে আরও ৪১ জন ফিলিস্তিনি।

নিহতদের মধ্যে অনেকেই ত্রাণের আশায় লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এই হামলা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) কার্যক্রম ঘিরে। সংস্থার সাবেক এক নিরাপত্তা ঠিকাদার অভিযোগ করেছেন, তিনি নিজ চোখে দেখেছেন কিভাবে মেশিনগানসহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে তার সহকর্মীরা ক্ষুধার্ত ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে, যারা কোনো ধরনের হুমকি তৈরি করেনি।

ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতিকে উপেক্ষা করে যেভাবে বারবার বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে, তা যুদ্ধাপরাধের শামিল। এ নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল থেকেও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

গাজার পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। চারপাশে ধ্বংসস্তূপ আর কান্নার শব্দ। খাদ্য, পানি, ওষুধের সংকটে বিপর্যস্ত মানুষরা বারবার আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চললেও মাটিতে তার কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষাই হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় মধ্যরাতের ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ১৮

আপডেট সময় ১০:৫০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

 

গাজায় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাবের মধ্যেই এই প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

চিকিৎসা সূত্রের বরাতে ফিলিস্তিনি ইনফরমেশন সেন্টার এবং কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক জানায়, মাত্র পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় চালানো ইসরায়েলি হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে সাতজন আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য স্থাপিত একটি ত্রাণ শিবিরে হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

এদিকে গাজায় ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ ক্ষুধার্ত মানুষদের উপরও নির্বিচারে গুলি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৬১৩ জন ত্রাণপ্রত্যাশী প্রাণ হারিয়েছেন। শুধু শুক্রবার সকাল থেকে নতুন হামলায় নিহত হয়েছে আরও ৪১ জন ফিলিস্তিনি।

নিহতদের মধ্যে অনেকেই ত্রাণের আশায় লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এই হামলা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) কার্যক্রম ঘিরে। সংস্থার সাবেক এক নিরাপত্তা ঠিকাদার অভিযোগ করেছেন, তিনি নিজ চোখে দেখেছেন কিভাবে মেশিনগানসহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে তার সহকর্মীরা ক্ষুধার্ত ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে, যারা কোনো ধরনের হুমকি তৈরি করেনি।

ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতিকে উপেক্ষা করে যেভাবে বারবার বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে, তা যুদ্ধাপরাধের শামিল। এ নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল থেকেও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

গাজার পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। চারপাশে ধ্বংসস্তূপ আর কান্নার শব্দ। খাদ্য, পানি, ওষুধের সংকটে বিপর্যস্ত মানুষরা বারবার আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চললেও মাটিতে তার কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষাই হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।