ঢাকা ০২:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ দুই বছর বাড়ল, উৎপাদন শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা ভারতের উত্তর প্রদেশে বিয়ের গাড়ি দুর্ঘটনা, বরসহ নিহত একই পরিবারের ৮ জন শেরপুরের কাটাবাড়ী সীমান্তে বিদ্যুৎস্পর্শে বন্য হাতির মৃত্যু, উদ্বিগ্ন পরিবেশকর্মীরা নওগাঁর রায়হান আলম: আমচাষে নবজাগরণ ঘটানো এক সাহসী কৃষক গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে আগামী সপ্তাহেই : ট্রাম্প কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ডোনেশন ওয়েবসাইট উদ্বোধন কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডার: দুই দিন পর মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ২ জন লোহাগড়ায় একসঙ্গে ৩ কন্যা সন্তানের জন্ম তুরস্কে জুলাইয়ে বিরল তুষারপাত, অন্যদিকে দাবানলে বিপর্যস্ত দক্ষিণাঞ্চল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না: সচিবের হুঁশিয়ারি

করাচির লিয়ারিতে পাঁচতলা ভবন ধসে নিহত বেড়ে ১০, আহত ৯

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৮:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • / 2

ছবি সংগৃহীত

 

পাকিস্তানের করাচির লিয়ারি এলাকায় শুক্রবার একটি পাঁচতলা ভবন ধসের ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। শহীদ মোতরমা বেনজির ভুট্টো ইনস্টিটিউট অব ট্রমা (এসএমবিবিআইটি) জানিয়েছে, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৯ জন।

স্থানীয় গণমাধ্যম ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করাচির সিভিল হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ৯টি মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যান। করাচির পুলিশ সার্জন ডা. সুমাইয়া সৈয়দও একই সংখ্যক নিহতের খবর নিশ্চিত করেছেন।

এসএমবিবিআইটির নির্বাহী পরিচালক ডা. সাবির মেমন জানান, আহতদের মধ্যে ৬ জন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে করাচির খারাদার এলাকায়ও একটি ভবন ধসের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই লিয়ারিতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে গত বছরের ডিসেম্বরে সিন্ধু বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি করাচিজুড়ে বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত ৫৭০টিরও বেশি ভবন দ্রুত খালি করার জন্য প্রাদেশিক সরকারকে নির্দেশনা দেয়। কিন্তু বাস্তবতার আলোকে দেখা যাচ্ছে, সেই নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয়নি।

নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী, দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ভবন নিয়মের শিথিল প্রয়োগ এবং অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে করাচির পুরোনো ভবনগুলো ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। প্রায় দুই কোটির বেশি মানুষের এই মহানগরীতে দ্রুত নগরায়ণ এবং অবৈধ সম্প্রসারণের কারণে এমন ঘটনার ঝুঁকি বেড়েই চলেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো দ্রুত ভেঙে ফেলা বা মেরামত করা জরুরি, পাশাপাশি নতুন নির্মাণে মান নিয়ন্ত্রণ ও কঠোর তদারকি বাড়াতে হবে। অন্যথায় ভবিষ্যতেও করাচির মতো জনবহুল নগরীতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতে থাকবে।

পুলিশ এবং উদ্ধারকর্মীরা ভবনটির ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও কেউ আটকা পড়েছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার এমন দুর্ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না, যার ফলে তাদের জীবনের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

করাচির লিয়ারিতে পাঁচতলা ভবন ধসে নিহত বেড়ে ১০, আহত ৯

আপডেট সময় ১০:৩৮:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

 

পাকিস্তানের করাচির লিয়ারি এলাকায় শুক্রবার একটি পাঁচতলা ভবন ধসের ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। শহীদ মোতরমা বেনজির ভুট্টো ইনস্টিটিউট অব ট্রমা (এসএমবিবিআইটি) জানিয়েছে, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৯ জন।

স্থানীয় গণমাধ্যম ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করাচির সিভিল হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ৯টি মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যান। করাচির পুলিশ সার্জন ডা. সুমাইয়া সৈয়দও একই সংখ্যক নিহতের খবর নিশ্চিত করেছেন।

এসএমবিবিআইটির নির্বাহী পরিচালক ডা. সাবির মেমন জানান, আহতদের মধ্যে ৬ জন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে করাচির খারাদার এলাকায়ও একটি ভবন ধসের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই লিয়ারিতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে গত বছরের ডিসেম্বরে সিন্ধু বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি করাচিজুড়ে বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত ৫৭০টিরও বেশি ভবন দ্রুত খালি করার জন্য প্রাদেশিক সরকারকে নির্দেশনা দেয়। কিন্তু বাস্তবতার আলোকে দেখা যাচ্ছে, সেই নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয়নি।

নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী, দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ভবন নিয়মের শিথিল প্রয়োগ এবং অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে করাচির পুরোনো ভবনগুলো ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। প্রায় দুই কোটির বেশি মানুষের এই মহানগরীতে দ্রুত নগরায়ণ এবং অবৈধ সম্প্রসারণের কারণে এমন ঘটনার ঝুঁকি বেড়েই চলেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো দ্রুত ভেঙে ফেলা বা মেরামত করা জরুরি, পাশাপাশি নতুন নির্মাণে মান নিয়ন্ত্রণ ও কঠোর তদারকি বাড়াতে হবে। অন্যথায় ভবিষ্যতেও করাচির মতো জনবহুল নগরীতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতে থাকবে।

পুলিশ এবং উদ্ধারকর্মীরা ভবনটির ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও কেউ আটকা পড়েছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার এমন দুর্ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না, যার ফলে তাদের জীবনের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে।