ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

ইরান ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবে বিজয় অর্জন করেছে: সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫০:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • / 20

ছবি সংগৃহীত

 

 

তেহরানের এক প্রার্থনাকেন্দ্রে আয়োজিত শহিদদের স্মরণসভায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আব্দুররহিম মুসাভি জানিয়েছেন, ইরান ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবে বিজয় অর্জন করেছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ভবিষ্যতে যেকোনো আগ্রাসনের কঠিন জবাব দেওয়া হবে।

মেজর জেনারেল মুসাভি আরও বলেন, প্রকাশ্য ও গোপন নানা প্রমাণেই বোঝা যাচ্ছে যে ইসরায়েল এখন লজ্জাজনক পরাজয়ের মুখোমুখি। ইরানের শত্রুদের মূল লক্ষ্য ছিল ইসলামি প্রজাতন্ত্রের কাঠামোকে দুর্বল করা ও দেশটিকে ছিন্নভিন্ন করা, যেখানে পারমাণবিক ইস্যু কেবল একটি অজুহাত ছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরানি জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর দৃঢ় ঐক্যের কারণেই ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে।

মুসাভি আরও অভিযোগ করেন, ইসরায়েল এখন যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে বাধ্য হয়েছে, যেন নিজেদের পুনর্গঠন করতে পারে। তবে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে আরেকটি ভুল করলে ইসরায়েলকে ভয়াবহ প্রতিশোধের মুখোমুখি হতে হবে।

তার ভাষায়, যুদ্ধ যদি দীর্ঘায়িত হয় এবং নতুন ধাপে প্রবেশ করে, তবে ইসরায়েল এমন সব ইরানি সামরিক শক্তির সম্মুখীন হবে যা এখনো ব্যবহার করা হয়নি।

ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনের বিষয়ে মুসাভি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থাকা ইরানের মৌলিক নীতি এবং এ নীতির ক্ষেত্রে কোনো আপসের প্রশ্নই ওঠে না।

এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা আলী লারিজানিও একই সুরে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে ভুলভাবে মূল্যায়ন করেছিল। তাদের পরিকল্পনা ছিল পাঁচ-ছয় দিনের মধ্যে ইরান সরকারকে উৎখাত করা এবং জনগণকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা।

লারিজানি আরও দাবি করেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র ইরানের শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যা করার ছক কষেছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল তিনটি প্রধান শাখার শীর্ষ নেতাদের হত্যার পর সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীকেও টার্গেট করা।

তিনি বলেন, এই ষড়যন্ত্র ইরানি জাতির ঐতিহ্য ও প্রতিরোধের শক্তি সম্পর্কে শত্রুপক্ষের অজ্ঞতা প্রকাশ করে। তারা বুঝতে পারেনি ইরানের জাতীয় ঐক্য কতটা দৃঢ়।

লারিজানি উল্লেখ করেন, পরিস্থিতির মোড় ঘুরতে শুরু করে ২১ জুন, শনিবার যখন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতাকারীরা আলোচনায় এগিয়ে আসে। মাত্র দুই দিনের মধ্যে, ২৩ জুন, সোমবার, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির জন্য মরিয়া হয়ে পড়ে।

সূত্র: আল মায়াদিন

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরান ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবে বিজয় অর্জন করেছে: সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান

আপডেট সময় ১১:৫০:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

 

 

তেহরানের এক প্রার্থনাকেন্দ্রে আয়োজিত শহিদদের স্মরণসভায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আব্দুররহিম মুসাভি জানিয়েছেন, ইরান ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবে বিজয় অর্জন করেছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ভবিষ্যতে যেকোনো আগ্রাসনের কঠিন জবাব দেওয়া হবে।

মেজর জেনারেল মুসাভি আরও বলেন, প্রকাশ্য ও গোপন নানা প্রমাণেই বোঝা যাচ্ছে যে ইসরায়েল এখন লজ্জাজনক পরাজয়ের মুখোমুখি। ইরানের শত্রুদের মূল লক্ষ্য ছিল ইসলামি প্রজাতন্ত্রের কাঠামোকে দুর্বল করা ও দেশটিকে ছিন্নভিন্ন করা, যেখানে পারমাণবিক ইস্যু কেবল একটি অজুহাত ছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরানি জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর দৃঢ় ঐক্যের কারণেই ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে।

মুসাভি আরও অভিযোগ করেন, ইসরায়েল এখন যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে বাধ্য হয়েছে, যেন নিজেদের পুনর্গঠন করতে পারে। তবে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে আরেকটি ভুল করলে ইসরায়েলকে ভয়াবহ প্রতিশোধের মুখোমুখি হতে হবে।

তার ভাষায়, যুদ্ধ যদি দীর্ঘায়িত হয় এবং নতুন ধাপে প্রবেশ করে, তবে ইসরায়েল এমন সব ইরানি সামরিক শক্তির সম্মুখীন হবে যা এখনো ব্যবহার করা হয়নি।

ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনের বিষয়ে মুসাভি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থাকা ইরানের মৌলিক নীতি এবং এ নীতির ক্ষেত্রে কোনো আপসের প্রশ্নই ওঠে না।

এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা আলী লারিজানিও একই সুরে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে ভুলভাবে মূল্যায়ন করেছিল। তাদের পরিকল্পনা ছিল পাঁচ-ছয় দিনের মধ্যে ইরান সরকারকে উৎখাত করা এবং জনগণকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা।

লারিজানি আরও দাবি করেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র ইরানের শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যা করার ছক কষেছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল তিনটি প্রধান শাখার শীর্ষ নেতাদের হত্যার পর সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীকেও টার্গেট করা।

তিনি বলেন, এই ষড়যন্ত্র ইরানি জাতির ঐতিহ্য ও প্রতিরোধের শক্তি সম্পর্কে শত্রুপক্ষের অজ্ঞতা প্রকাশ করে। তারা বুঝতে পারেনি ইরানের জাতীয় ঐক্য কতটা দৃঢ়।

লারিজানি উল্লেখ করেন, পরিস্থিতির মোড় ঘুরতে শুরু করে ২১ জুন, শনিবার যখন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতাকারীরা আলোচনায় এগিয়ে আসে। মাত্র দুই দিনের মধ্যে, ২৩ জুন, সোমবার, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির জন্য মরিয়া হয়ে পড়ে।

সূত্র: আল মায়াদিন