শত্রু রাষ্ট্রকে সহযোগিতায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান করলো ইরান

- আপডেট সময় ১০:৩৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
- / 2
ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো শত্রু রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করার অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। একই সঙ্গে স্টারলিংকের মতো অনুমোদনহীন ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহারের বিষয়কেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
নতুন এই আইনে বলা হয়েছে, “যে কেউ দেশের নিরাপত্তা বা জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা অন্য কোনো শত্রু রাষ্ট্র ও তাদের এজেন্টের হয়ে গোয়েন্দা বা কোনো ধরনের কার্যক্রমে যুক্ত হবে, সেটিকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে, যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”
এদিকে, কূটনৈতিক আলোচনায় ফিরে আসতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের ওপর নতুন হামলার পরিকল্পনা বাদ দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখত-রাভানছি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনায় ফিরতে চাইলেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে এখনো তাদের অবস্থান পরিষ্কার নয়। বিশেষ করে আলোচনা চলাকালে নতুন হামলার বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে।
গত ১৩ জুন ইরানে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরুর পর ওমানের রাজধানী মাস্কাটে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ষষ্ঠ দফা আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। এ প্রসঙ্গে তাখত-রাভানছি বলেন, ইরান শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে এবং গোপনে পারমাণবিক বোমা তৈরির অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি আরও উল্লেখ করেন, গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়াম সরবরাহ না পাওয়ায় ইরানকে নিজের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করতে হয়েছে।
তাখত-রাভানছি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “কোনো মাত্রায় থাকবে বা কতটা সক্ষমতা থাকবে তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু বলবে তোমার সমৃদ্ধকরণ থাকবে না, শূন্য থাকবে, আর না মানলে তোমার ওপর বোমা ফেলব এটা জঙ্গলের আইন।”
উল্লেখ্য, ইসরায়েল সম্প্রতি ইরানের কয়েকটি সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় এবং দেশটির কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীকে হত্যা করে। তাদের দাবি, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির শেষ ধাপে পৌঁছে গেছে।
এর পাল্টা জবাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ১২ দিন ধরে চলা এ সংঘাতের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। তবে এতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।