০৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

পাকিস্তানকে ৩৪০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন দিল চীন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৫৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • / 41

ছবি সংগৃহীত

 

চীন থেকে ৩৪০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন পেয়েছে পাকিস্তান। পাশাপাশি, সম্প্রতি পরিশোধ করা আরও ১৩০ কোটি ডলারের ঋণ পুনর্বিনিয়োগেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেইজিং। পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা স্থানীয় সময় রোববার (২৯ জুন) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

তিনি জানান, ইসলামাবাদকে ২১০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ দিয়েছিল চীন, যা গেল তিন অর্থবছর ধরে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে ছিল। এবার সেটির মেয়াদ বাড়িয়ে নতুন ঋণ বিনিয়োগের মাধ্যমে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, চীনের সহায়তার পাশাপাশি সাম্প্রতিক বাণিজ্যিক এবং বহুপাক্ষিক ঋণ মিলে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে।

তিনি জানান, এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ১০০ কোটি এবং বহুমুখী আর্থিক সহায়তা সংস্থা থেকে ৫০ কোটি ডলার পাকিস্তান পেয়েছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর বেইলআউট কর্মসূচির আওতায় জুন মাসের শেষ নাগাদ পাকিস্তানকে অন্তত ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের বৈদেশিক রিজার্ভ ধরে রাখতে হবে। এই শর্ত পূরণের লক্ষ্যেই ইসলামাবাদ ধারাবাহিকভাবে বৈদেশিক সহায়তা জোগাড় করছে।

পাকিস্তানের কর্মকর্তারা মনে করছেন, চীনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অংশীদারের এই সহযোগিতা অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আইএমএফের ৭০০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা ও কাঠামোগত সংস্কারের কারণে পাকিস্তানের অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলেও তারা আশাবাদী।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই চীনের এই সহায়তা ইসলামাবাদের জন্য কিছুটা স্বস্তির বার্তা বয়ে এনেছে। দেশটির বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষায় এমন ঋণ পুনর্বিনিয়োগ বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানকে ৩৪০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন দিল চীন

আপডেট সময় ০৯:৫৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

 

চীন থেকে ৩৪০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন পেয়েছে পাকিস্তান। পাশাপাশি, সম্প্রতি পরিশোধ করা আরও ১৩০ কোটি ডলারের ঋণ পুনর্বিনিয়োগেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেইজিং। পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা স্থানীয় সময় রোববার (২৯ জুন) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

তিনি জানান, ইসলামাবাদকে ২১০ কোটি ডলারের বেশি ঋণ দিয়েছিল চীন, যা গেল তিন অর্থবছর ধরে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে ছিল। এবার সেটির মেয়াদ বাড়িয়ে নতুন ঋণ বিনিয়োগের মাধ্যমে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, চীনের সহায়তার পাশাপাশি সাম্প্রতিক বাণিজ্যিক এবং বহুপাক্ষিক ঋণ মিলে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে।

তিনি জানান, এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ১০০ কোটি এবং বহুমুখী আর্থিক সহায়তা সংস্থা থেকে ৫০ কোটি ডলার পাকিস্তান পেয়েছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর বেইলআউট কর্মসূচির আওতায় জুন মাসের শেষ নাগাদ পাকিস্তানকে অন্তত ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের বৈদেশিক রিজার্ভ ধরে রাখতে হবে। এই শর্ত পূরণের লক্ষ্যেই ইসলামাবাদ ধারাবাহিকভাবে বৈদেশিক সহায়তা জোগাড় করছে।

পাকিস্তানের কর্মকর্তারা মনে করছেন, চীনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অংশীদারের এই সহযোগিতা অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আইএমএফের ৭০০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা ও কাঠামোগত সংস্কারের কারণে পাকিস্তানের অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলেও তারা আশাবাদী।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই চীনের এই সহায়তা ইসলামাবাদের জন্য কিছুটা স্বস্তির বার্তা বয়ে এনেছে। দেশটির বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষায় এমন ঋণ পুনর্বিনিয়োগ বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।