ঢাকা ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪২৯ জন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে সরকারের অগ্রগতি নেই: অভিযোগ নাহিদ ইসলামের পাকিস্তানকে ৩৪০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন দিল চীন প্রেমিকার বিয়ের খবর শুনে কিশোরের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি মহল: ছাত্রশিবির সভাপতি হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘গুলতি’ মিসাইল সাথে রাখলেও আমি, আপনি কেউই নিরাপদ নই: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শেরপুরের হলদীগ্রাম সীমান্তে ২৭৬ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ পাকিস্তান ও ভারতে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি, মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৭৯

পাকিস্তান ও ভারতে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি, মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৭৯

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:০৪:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

পাকিস্তানে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি। দেশটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪৫ জনের, নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকেই। টানা বৃষ্টিতে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ। বিশেষ করে সোয়াত উপত্যকায় আকস্মিক বন্যায় ভেসে গেছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। নদীপাড়ের হাজার হাজার মানুষ একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।

পাঞ্জাব প্রদেশে বন্যার তীব্র স্রোতে বহু ঘরের ছাদ ও দেয়াল ধসে প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া সিন্ধু ও বেলুচিস্তান প্রদেশেও বন্যা এবং ভূমিধসে হতাহত বেড়েছে বলে জানা গেছে।

পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভারি বর্ষণ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে, যা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলবে বলে আশঙ্কা করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, ভারতের হিমাচল প্রদেশেও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বন্যা পরিস্থিতি। টানা বর্ষণ ও একের পর এক ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর ও সরকারি স্থাপনা। ভেঙে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে শিমলা, কাংগ্রা ও সিমোর জেলা।

প্রাথমিক হিসাবে হিমাচল প্রদেশে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৫০ কোটি রুপিরও বেশি, যা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে রাজ্য প্রশাসন। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে, কিছুটা স্বস্তির খবর মিলেছে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গুইঝৌ প্রদেশ থেকে। দুলিউ নদীতে পানি বেড়ে গিয়ে জারি করা হয়েছিল সর্বোচ্চ সতর্কতা, তবে রোববার (২৯ জুন) সকাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় সতর্কতা তুলে নিয়েছে প্রশাসন। এরইমধ্যে প্রদেশজুড়ে শুরু হয়েছে পুনর্বাসন কার্যক্রম।

আবহাওয়া বিশ্লেষকরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে এমন ভয়াবহ দুর্যোগের ঝুঁকি ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। তাই ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আগে থেকেই সচেতনতা ও প্রস্তুতি জোরদারের ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তান ও ভারতে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি, মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৭৯

আপডেট সময় ০৯:০৪:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

 

পাকিস্তানে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি। দেশটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪৫ জনের, নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকেই। টানা বৃষ্টিতে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ। বিশেষ করে সোয়াত উপত্যকায় আকস্মিক বন্যায় ভেসে গেছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। নদীপাড়ের হাজার হাজার মানুষ একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।

পাঞ্জাব প্রদেশে বন্যার তীব্র স্রোতে বহু ঘরের ছাদ ও দেয়াল ধসে প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া সিন্ধু ও বেলুচিস্তান প্রদেশেও বন্যা এবং ভূমিধসে হতাহত বেড়েছে বলে জানা গেছে।

পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভারি বর্ষণ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে, যা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলবে বলে আশঙ্কা করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, ভারতের হিমাচল প্রদেশেও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বন্যা পরিস্থিতি। টানা বর্ষণ ও একের পর এক ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর ও সরকারি স্থাপনা। ভেঙে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে শিমলা, কাংগ্রা ও সিমোর জেলা।

প্রাথমিক হিসাবে হিমাচল প্রদেশে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৫০ কোটি রুপিরও বেশি, যা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে রাজ্য প্রশাসন। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে, কিছুটা স্বস্তির খবর মিলেছে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গুইঝৌ প্রদেশ থেকে। দুলিউ নদীতে পানি বেড়ে গিয়ে জারি করা হয়েছিল সর্বোচ্চ সতর্কতা, তবে রোববার (২৯ জুন) সকাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় সতর্কতা তুলে নিয়েছে প্রশাসন। এরইমধ্যে প্রদেশজুড়ে শুরু হয়েছে পুনর্বাসন কার্যক্রম।

আবহাওয়া বিশ্লেষকরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে এমন ভয়াবহ দুর্যোগের ঝুঁকি ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। তাই ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আগে থেকেই সচেতনতা ও প্রস্তুতি জোরদারের ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।