ঢাকা ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

পাকিস্তানে টানা বৃষ্টিতে বন্যা ও ঘরধস, প্রাণ হারাল আরও ৮ জন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • / 42

ছবি: সংগৃহীত

 

পাকিস্তানের করাচি, পাঞ্জাবের কিছু এলাকা এবং গিলগিট-বালতিস্তানে প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা, পাহাড়ি ঢল ও ঘরবাড়ি ধসে অন্তত আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ডনের প্রতিবেদনে রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিনের এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন।

পাকিস্তানে প্রতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৌসুমি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। এবার অনেক অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ভারী বর্ষণ হওয়ায় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন শহরে বন্যা সতর্কতা জারি করেছে।

উদ্ধারকারী সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, শুক্রবার ও শনিবার টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা, হড়কা বান এবং ঘরবাড়ি ধসে চারটি প্রদেশে মোট ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে।

রোববার লাহোরে ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে দুটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেয়াল ধসে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া প্রবল ঝড়ে একটি বিলবোর্ড ভেঙে পড়ে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন; আহত হন তার স্ত্রী ও সন্তান। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লাহোরের বিভিন্ন রাস্তায় গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে।

পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় শহর করাচিতে বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইজন মারা গেছেন। এদের একজন ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির এক নেতার ছোট ভাই। করাচি পুলিশের এসএসপি আরিফ আজিজ জানান, খদ্দা মার্কেট এলাকায় বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়লে আব্দুল্লাহ আনোয়ার (৪১) নামে এক ব্যক্তি স্পর্শে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। অন্যদিকে, ক্লিফটন এলাকায় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ভেজা বৈদ্যুতিক খুঁটির সংস্পর্শে আসায় ত্রিশোর্ধ্ব আরেক ব্যক্তি মারা যান।

উত্তরাঞ্চলের গিলগিট-বালতিস্তানের কার্গাহ নালায় হড়কা বানে ভেসে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। পাঞ্জাবের শরিফপুরায় একটি কাঁচা ঘর ধসে দুইজনের মৃত্যু হয় এবং একজন আহত হন। এদিকে, রোববারের ২৪ ঘণ্টায় পাঞ্জাবের বিভিন্ন স্থানে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন করে বন্যার ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করেছে স্থানীয় প্রশাসন। উদ্ধারকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানে টানা বৃষ্টিতে বন্যা ও ঘরধস, প্রাণ হারাল আরও ৮ জন

আপডেট সময় ১২:৩৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

 

পাকিস্তানের করাচি, পাঞ্জাবের কিছু এলাকা এবং গিলগিট-বালতিস্তানে প্রবল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা, পাহাড়ি ঢল ও ঘরবাড়ি ধসে অন্তত আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ডনের প্রতিবেদনে রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিনের এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন।

পাকিস্তানে প্রতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৌসুমি বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। এবার অনেক অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ভারী বর্ষণ হওয়ায় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন শহরে বন্যা সতর্কতা জারি করেছে।

উদ্ধারকারী সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, শুক্রবার ও শনিবার টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা, হড়কা বান এবং ঘরবাড়ি ধসে চারটি প্রদেশে মোট ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে।

রোববার লাহোরে ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে দুটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেয়াল ধসে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া প্রবল ঝড়ে একটি বিলবোর্ড ভেঙে পড়ে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন; আহত হন তার স্ত্রী ও সন্তান। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লাহোরের বিভিন্ন রাস্তায় গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে।

পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় শহর করাচিতে বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইজন মারা গেছেন। এদের একজন ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির এক নেতার ছোট ভাই। করাচি পুলিশের এসএসপি আরিফ আজিজ জানান, খদ্দা মার্কেট এলাকায় বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে পড়লে আব্দুল্লাহ আনোয়ার (৪১) নামে এক ব্যক্তি স্পর্শে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। অন্যদিকে, ক্লিফটন এলাকায় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ভেজা বৈদ্যুতিক খুঁটির সংস্পর্শে আসায় ত্রিশোর্ধ্ব আরেক ব্যক্তি মারা যান।

উত্তরাঞ্চলের গিলগিট-বালতিস্তানের কার্গাহ নালায় হড়কা বানে ভেসে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। পাঞ্জাবের শরিফপুরায় একটি কাঁচা ঘর ধসে দুইজনের মৃত্যু হয় এবং একজন আহত হন। এদিকে, রোববারের ২৪ ঘণ্টায় পাঞ্জাবের বিভিন্ন স্থানে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন করে বন্যার ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করেছে স্থানীয় প্রশাসন। উদ্ধারকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।