ঢাকা ০৪:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চট্টগ্রাম বন্দরে সচল আমদানি-রফতানি কার্যক্রম, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের পাশাপাশি জন্ম নেওয়া সন্তানদেরও বিতাড়িত করা উচিত: রিপাবলিকান সিনেটর আগামীকাল মঙ্গলবার ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে ভারতে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৫, আহত ১৫ সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাস উল্টে ৬ শিশুসহ আহত অন্তত ২০ শহিদ আবু সাঈদ হত্যা মামলা: সাবেক ভিসি হাসিবুরসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাকিস্তান টেস্ট দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেলেন আজহার মাহমুদ স্থলবন্দরে রয়েছে নিরাপত্তায় ঘাটতি, আছে চোরাচালানের অভিযোগ: নৌপরিবহন উপদেষ্টা সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৭২, ত্রাণ কেন্দ্রেও হামলা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৭:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • / 4

ছবি: সংগৃহীত

 

গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় ইতিমধ্যেই বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। রবিবার ভোর থেকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে চালানো হামলায় অন্তত ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার গাজা শহর এবং উত্তরাঞ্চলে চালানো হামলায় কমপক্ষে ৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন ফিলিস্তিনি ছিলেন, যারা বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়া ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।

গাজা থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক মোয়াথ আল-কাহলৌত জানান, উত্তরাঞ্চলের জেইতুন, সাবরা ও আল-জাওয়িয়া মার্কেটে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর আহত শতাধিক মানুষকে আল-আহলি হাসপাতালে আনা হয়েছে। তিনি হাসপাতালের পরিস্থিতি “বিপর্যয়কর” বলে উল্লেখ করেন। সীমিত চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ধারণক্ষমতার তুলনায় অনেক বেশি রোগী আসায় অনেক আহতকে হাসপাতালের মেঝেতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।

এদিকে গাজার পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ওই এলাকায় লিফলেট ছড়িয়ে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

গত মে মাসের শেষের দিকে গাজার ওপর কঠোর অবরোধের মধ্যে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় গঠিত সংস্থা জিএইচএফ ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব নেয়। কিন্তু তারপর থেকে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হামলা থামেনি। ইসরায়েলি বাহিনী এখন পর্যন্ত এসব কেন্দ্রে গুলি চালিয়ে অন্তত ৫৮০ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আইডিএফের (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) একাধিক সৈন্যের বরাতে জানা গেছে, নিরস্ত্র ত্রাণপ্রার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ উচ্চপর্যায় থেকে দেওয়া হয়েছে।

গাজার বাসিন্দারা বলছেন, একদিকে অবরোধের কারণে খাবার ও ওষুধের সংকট, অন্যদিকে লাগাতার হামলা — সবমিলিয়ে তারা চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৭২, ত্রাণ কেন্দ্রেও হামলা

আপডেট সময় ১০:২৭:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

 

গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় ইতিমধ্যেই বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। রবিবার ভোর থেকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে চালানো হামলায় অন্তত ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার গাজা শহর এবং উত্তরাঞ্চলে চালানো হামলায় কমপক্ষে ৪৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন ফিলিস্তিনি ছিলেন, যারা বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়া ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।

গাজা থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক মোয়াথ আল-কাহলৌত জানান, উত্তরাঞ্চলের জেইতুন, সাবরা ও আল-জাওয়িয়া মার্কেটে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর আহত শতাধিক মানুষকে আল-আহলি হাসপাতালে আনা হয়েছে। তিনি হাসপাতালের পরিস্থিতি “বিপর্যয়কর” বলে উল্লেখ করেন। সীমিত চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ধারণক্ষমতার তুলনায় অনেক বেশি রোগী আসায় অনেক আহতকে হাসপাতালের মেঝেতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।

এদিকে গাজার পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ওই এলাকায় লিফলেট ছড়িয়ে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

গত মে মাসের শেষের দিকে গাজার ওপর কঠোর অবরোধের মধ্যে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় গঠিত সংস্থা জিএইচএফ ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব নেয়। কিন্তু তারপর থেকে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হামলা থামেনি। ইসরায়েলি বাহিনী এখন পর্যন্ত এসব কেন্দ্রে গুলি চালিয়ে অন্তত ৫৮০ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আইডিএফের (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) একাধিক সৈন্যের বরাতে জানা গেছে, নিরস্ত্র ত্রাণপ্রার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ উচ্চপর্যায় থেকে দেওয়া হয়েছে।

গাজার বাসিন্দারা বলছেন, একদিকে অবরোধের কারণে খাবার ও ওষুধের সংকট, অন্যদিকে লাগাতার হামলা — সবমিলিয়ে তারা চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন।