রাশিয়ার টানা হামলায় ইউক্রেনে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত এই হামলার ঘটনা ঘটে। একই সময়ে একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে এর পাইলট নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ।

এএফপির বরাতে জানা গেছে, শনিবার রাতের হামলায় রাশিয়ার সেনারা ৪৭৭টি ড্রোন এবং ৬০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর মধ্যে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৪৭৫টি ড্রোন এবং ৩৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির বিমানবাহিনী।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রতিরোধ অভিযানের সময় লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাকসিম উস্তিমেনকো নামের একজন শীর্ষস্থানীয় পাইলট নিহত হন। তাঁর এফ-১৬ যুদ্ধবিমানটি শত্রুপক্ষের হামলা ঠেকানোর সময় বিধ্বস্ত হয়।

হামলার পর এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনেস্কি বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তির আহ্বান উপেক্ষা করে ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার আগ্রহের কথাও জানান, যা ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে। তার মতে, এটি নাগরিকদের জীবন রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো ইউক্রেনের এই অনুরোধে সাড়া দেননি বলে এএফপি উল্লেখ করেছে।

আহতদের মধ্যে ছয়জন চেরকেসি অঞ্চলের, যাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। এছাড়া পূর্বাঞ্চলীয় ইভানো ফ্রান্সিভস্ক শহরে এক নারী আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তারা শনিবার রাত থেকে রবিবার পর্যন্ত ইউক্রেনের তিনটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

এর আগে শুক্রবার খারকিভ অঞ্চলে রাশিয়ার আরেকটি হামলায় একজন নিহত হয়েছিলেন বলে এএফপির খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইউক্রেনে চলমান এই সহিংসতা ও হামলার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যুদ্ধ থামানোর আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা চললেও পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।