পাকিস্তানে নদীর তীরে পিকনিকে গিয়ে প্রান হারালেন একই পরিবারের ৯ জন

- আপডেট সময় ০৩:৫৯:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
- / 6
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার স্বাত নদীতে আকস্মিক বন্যায় একই পরিবারের অন্তত ৯ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা পরিবারের ১৬ সদস্যের একটি দল ছিল, যারা নদীর তীরে পিকনিকে গিয়েছিলেন। জেলা প্রশাসক শেহজাদ মাহবুব জানিয়েছেন, পরিবারের কয়েকজন শিশু নদীর পাশে নেমে ছবি তুলছিল, ঠিক সেই সময় হঠাৎ তীব্র স্রোতের পানি এসে পড়ে। তাদের বাঁচাতে আত্মীয়রা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়লে তারাও স্রোতে ভেসে যান।
এখন পর্যন্ত ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৪ জন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৪ জনকে।
প্রাদেশিক জরুরি সেবার মুখপাত্র শাহ ফাহাদ জানান, প্রায় ১০০ জন উদ্ধারকর্মী ঘটনাস্থলে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে অভিযান চালাচ্ছেন। তাদের প্রচেষ্টায় এ পর্যন্ত ৫৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।
শাহ ফাহাদ জনগণকে সতর্ক করে বলেন, স্বাত নদীতে আকস্মিক বন্যার পূর্বাভাস আগেই দেওয়া হয়েছিল, তাই এ ধরনের সতর্কতা মেনে চলা খুবই জরুরি।
প্রসঙ্গত, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য স্বাত নদী গ্রীষ্ম ও শীতকালে পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং নদী ও ঝরনার আশপাশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জাব এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় টানা ভারি বৃষ্টিতে আরও অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে ওইসব অঞ্চলে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিছু মহাসড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।
পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে বার্ষিক বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে এবং চলতি সপ্তাহে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ বছর ২০২২ সালের তুলনায় বর্ষাকালে কম বৃষ্টি হতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তানে প্রায় ১ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
প্রশাসন স্থানীয় জনগণ এবং পর্যটকদের নদী ও জলপ্রবাহ সংলগ্ন এলাকায় সতর্কতা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে এবং দুর্যোগের পুনরাবৃত্তি রোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সূত্র: এএফপি