ঢাকা ১২:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভিসা জালিয়াতদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আজীবন নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি আঞ্চলিক-বৈশ্বিক পরিবর্তনে ইরান-চীন হাত মিলাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ইসরায়েলি হামলায় গাজার অন্যতম শীর্ষ নেতা মুহাম্মাদ সিনওয়ারের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে হামাস ইসরায়েলের সাইবার ট্র্যাকিংয়ে নিহত হয়েছিলো ইরানের শীর্ষ ব্যক্তিরা পলিথিন পেলেই জব্দ করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে এখনও সংশয় আছে: রুহুল কবির রিজভী চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে ভারতের প্রতিশ্রুতি: মোদি নতুন হামলায় গাজায় নিহত ৭৭ ফিলিস্তিনি: নিরাপত্তাহীনতা চরমে ভিনিসিয়ুস-গুলারের জোড়ায় নাটকীয় জয় রিয়ালের

মামদানি প্রমাণ করেছেন, ইসরায়েল আসলে কাগুজে বাঘ মাত্র: মার্কিন বিশ্লেষক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪৫:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • / 24

ছবি: সংগৃহীত

 

নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে ইতিহাস গড়তে চলেছেন ৩৩ বছর বয়সী মুসলিম প্রার্থী জোহরান মামদানি। বিভিন্ন জরিপ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণে তিনি এগিয়ে রয়েছেন এবং ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

জোহরান মামদানির এই অগ্রগতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল শিবিরে স্পষ্টভাবে উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। মার্কিন বিশ্লেষক পিটার ফিল্ড ওয়েবসাইট ম্যান্ডভিসে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, মামদানি প্রমাণ করেছেন যে ইসরায়েল আসলে কাগুজে বাঘ মাত্র। তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রমকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানানো সত্ত্বেও মামদানি জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।

ফিল্ডের মতে, মামদানির এই সাফল্য দেখিয়ে দিয়েছে যে ইহুদিবাদ যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে আর প্রভাবশালী অবস্থানে নেই এবং এটি এক ধরনের রাজনৈতিক মৃত্যু।

অন্যদিকে, বিশ্লেষক আব্দুল জাওয়াদ ওমরও এক নিবন্ধে বলেছেন, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রাথমিক নির্বাচনে অ্যান্ড্রু কুওমোর মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বকে হারিয়ে মামদানি যে সাফল্য পেয়েছেন, তা কেবল একটি সাধারণ নির্বাচন নয় বরং ফিলিস্তিনের সমর্থনে মার্কিন রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক মোড়।

তার ভাষায়, মামদানির এই জয় মার্কিন সমাজে ইসরায়েলের ভূমিকা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ এবং ইহুদিবাদের পতনের ইঙ্গিত বহন করছে। তিনি এই ঘটনাকে আমেরিকার রাজনৈতিক দিগন্তের বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন, যেখানে ফিলিস্তিন এখন আর নিষিদ্ধ বা অপ্রকাশ্য কোনো বিষয় নয়।

নিউ ইয়র্কের মতো বৈচিত্র্যময় নগরীতে একজন মুসলিম প্রার্থী হিসেবে মামদানি মানুষের সমর্থন পাওয়া এবং মেয়র হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকা প্রমাণ করছে যে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতেও নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে যে পরিবর্তন ঘটেছে, মামদানির এই জয় তারই শক্ত প্রমাণ বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

সূত্র: পার্সটুডে

নিউজটি শেয়ার করুন

মামদানি প্রমাণ করেছেন, ইসরায়েল আসলে কাগুজে বাঘ মাত্র: মার্কিন বিশ্লেষক

আপডেট সময় ১২:৪৫:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

 

নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে ইতিহাস গড়তে চলেছেন ৩৩ বছর বয়সী মুসলিম প্রার্থী জোহরান মামদানি। বিভিন্ন জরিপ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণে তিনি এগিয়ে রয়েছেন এবং ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

জোহরান মামদানির এই অগ্রগতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল শিবিরে স্পষ্টভাবে উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। মার্কিন বিশ্লেষক পিটার ফিল্ড ওয়েবসাইট ম্যান্ডভিসে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, মামদানি প্রমাণ করেছেন যে ইসরায়েল আসলে কাগুজে বাঘ মাত্র। তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রমকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানানো সত্ত্বেও মামদানি জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।

ফিল্ডের মতে, মামদানির এই সাফল্য দেখিয়ে দিয়েছে যে ইহুদিবাদ যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে আর প্রভাবশালী অবস্থানে নেই এবং এটি এক ধরনের রাজনৈতিক মৃত্যু।

অন্যদিকে, বিশ্লেষক আব্দুল জাওয়াদ ওমরও এক নিবন্ধে বলেছেন, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রাথমিক নির্বাচনে অ্যান্ড্রু কুওমোর মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বকে হারিয়ে মামদানি যে সাফল্য পেয়েছেন, তা কেবল একটি সাধারণ নির্বাচন নয় বরং ফিলিস্তিনের সমর্থনে মার্কিন রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক মোড়।

তার ভাষায়, মামদানির এই জয় মার্কিন সমাজে ইসরায়েলের ভূমিকা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ এবং ইহুদিবাদের পতনের ইঙ্গিত বহন করছে। তিনি এই ঘটনাকে আমেরিকার রাজনৈতিক দিগন্তের বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন, যেখানে ফিলিস্তিন এখন আর নিষিদ্ধ বা অপ্রকাশ্য কোনো বিষয় নয়।

নিউ ইয়র্কের মতো বৈচিত্র্যময় নগরীতে একজন মুসলিম প্রার্থী হিসেবে মামদানি মানুষের সমর্থন পাওয়া এবং মেয়র হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকা প্রমাণ করছে যে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতেও নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে যে পরিবর্তন ঘটেছে, মামদানির এই জয় তারই শক্ত প্রমাণ বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

সূত্র: পার্সটুডে