ঢাকা ০৭:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির ৯ কোটি টাকার এলএসডি ও ফেনসিডিল উদ্ধার গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেফতার ১,৫৪০ জন ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বাড়াচ্ছে ইউরোপ, পুতিনের যুক্তভুক্তির উচ্চাকাঙ্ক্ষা বহাল এনবিআরের পূর্ণ শাটডাউনে অচল দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম রিজার্ভে স্বস্তি: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার ফক্স নিউজের বিরুদ্ধে ৭৮ কোটি ডলারের মানহানি মামলা ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের বাফুফে ট্রায়ালে প্রবাসী ঝড়: হামজা-শমিতের পর এবার আসলেন আরো ৪৩ ফুটবলার সর্দি কাশি দূর করার ১১টি ঘরোয়া উপায়

মামদানি প্রমাণ করেছেন, ইসরায়েল আসলে কাগুজে বাঘ মাত্র: মার্কিন বিশ্লেষক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪৫:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • / 5

ছবি: সংগৃহীত

 

নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে ইতিহাস গড়তে চলেছেন ৩৩ বছর বয়সী মুসলিম প্রার্থী জোহরান মামদানি। বিভিন্ন জরিপ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণে তিনি এগিয়ে রয়েছেন এবং ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

জোহরান মামদানির এই অগ্রগতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল শিবিরে স্পষ্টভাবে উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। মার্কিন বিশ্লেষক পিটার ফিল্ড ওয়েবসাইট ম্যান্ডভিসে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, মামদানি প্রমাণ করেছেন যে ইসরায়েল আসলে কাগুজে বাঘ মাত্র। তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রমকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানানো সত্ত্বেও মামদানি জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।

ফিল্ডের মতে, মামদানির এই সাফল্য দেখিয়ে দিয়েছে যে ইহুদিবাদ যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে আর প্রভাবশালী অবস্থানে নেই এবং এটি এক ধরনের রাজনৈতিক মৃত্যু।

অন্যদিকে, বিশ্লেষক আব্দুল জাওয়াদ ওমরও এক নিবন্ধে বলেছেন, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রাথমিক নির্বাচনে অ্যান্ড্রু কুওমোর মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বকে হারিয়ে মামদানি যে সাফল্য পেয়েছেন, তা কেবল একটি সাধারণ নির্বাচন নয় বরং ফিলিস্তিনের সমর্থনে মার্কিন রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক মোড়।

তার ভাষায়, মামদানির এই জয় মার্কিন সমাজে ইসরায়েলের ভূমিকা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ এবং ইহুদিবাদের পতনের ইঙ্গিত বহন করছে। তিনি এই ঘটনাকে আমেরিকার রাজনৈতিক দিগন্তের বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন, যেখানে ফিলিস্তিন এখন আর নিষিদ্ধ বা অপ্রকাশ্য কোনো বিষয় নয়।

নিউ ইয়র্কের মতো বৈচিত্র্যময় নগরীতে একজন মুসলিম প্রার্থী হিসেবে মামদানি মানুষের সমর্থন পাওয়া এবং মেয়র হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকা প্রমাণ করছে যে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতেও নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে যে পরিবর্তন ঘটেছে, মামদানির এই জয় তারই শক্ত প্রমাণ বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

সূত্র: পার্সটুডে

নিউজটি শেয়ার করুন

মামদানি প্রমাণ করেছেন, ইসরায়েল আসলে কাগুজে বাঘ মাত্র: মার্কিন বিশ্লেষক

আপডেট সময় ১২:৪৫:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

 

নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে ইতিহাস গড়তে চলেছেন ৩৩ বছর বয়সী মুসলিম প্রার্থী জোহরান মামদানি। বিভিন্ন জরিপ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণে তিনি এগিয়ে রয়েছেন এবং ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

জোহরান মামদানির এই অগ্রগতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল শিবিরে স্পষ্টভাবে উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। মার্কিন বিশ্লেষক পিটার ফিল্ড ওয়েবসাইট ম্যান্ডভিসে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, মামদানি প্রমাণ করেছেন যে ইসরায়েল আসলে কাগুজে বাঘ মাত্র। তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রমকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানানো সত্ত্বেও মামদানি জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।

ফিল্ডের মতে, মামদানির এই সাফল্য দেখিয়ে দিয়েছে যে ইহুদিবাদ যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে আর প্রভাবশালী অবস্থানে নেই এবং এটি এক ধরনের রাজনৈতিক মৃত্যু।

অন্যদিকে, বিশ্লেষক আব্দুল জাওয়াদ ওমরও এক নিবন্ধে বলেছেন, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রাথমিক নির্বাচনে অ্যান্ড্রু কুওমোর মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বকে হারিয়ে মামদানি যে সাফল্য পেয়েছেন, তা কেবল একটি সাধারণ নির্বাচন নয় বরং ফিলিস্তিনের সমর্থনে মার্কিন রাজনীতিতে এক ঐতিহাসিক মোড়।

তার ভাষায়, মামদানির এই জয় মার্কিন সমাজে ইসরায়েলের ভূমিকা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ এবং ইহুদিবাদের পতনের ইঙ্গিত বহন করছে। তিনি এই ঘটনাকে আমেরিকার রাজনৈতিক দিগন্তের বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন, যেখানে ফিলিস্তিন এখন আর নিষিদ্ধ বা অপ্রকাশ্য কোনো বিষয় নয়।

নিউ ইয়র্কের মতো বৈচিত্র্যময় নগরীতে একজন মুসলিম প্রার্থী হিসেবে মামদানি মানুষের সমর্থন পাওয়া এবং মেয়র হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকা প্রমাণ করছে যে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতেও নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে যে পরিবর্তন ঘটেছে, মামদানির এই জয় তারই শক্ত প্রমাণ বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

সূত্র: পার্সটুডে