ঢাকা ০৪:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সর্দি কাশি দূর করার ১১টি ঘরোয়া উপায় ভবিষ্যতে বিদেশে গরুর মাংস রফতানি করাও সরকারের লক্ষ্য: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা রাজধানীতে ২ দুই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ক্ষমতায় গেলে ১৮ মাসে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করা হবে: আমীর খসরু খাইবার পাখতুনখোয়ায় ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় ১৩ সেনা নিহত চাঁপাইনবাবগঞ্জে বন্ধুকে গলা কেটে হত্যা, চার্জার ভ্যান ছিনতাইয়ে গ্রেপ্তার ৩ গোপালগঞ্জে কিশোর গ্যাং ‘ডেমন বয়েজ’-এর ৮ সদস্য আটক বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আভাস, তিন বিভাগে ভারি বর্ষণের শঙ্কা ইরান-ইসরাইল সংঘাতে নিহত ৬০ জনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা, তেহরানে মানুষের ঢল বিনিয়োগ সহায়তায় নতুন মাত্রা: বিডার আধুনিক ওয়েবসাইট উদ্বোধন

প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতা জোরালো, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে ট্রাম্পের হাত খুলল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • / 8

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে, যা ভবিষ্যতের যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্যও এক বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই রায়ের ফলে নিম্ন আদালতের নির্বাহী আদেশ স্থগিত রাখার ক্ষমতা সীমিত হয়ে গেছে।

হোয়াইট হাউজের ব্রিফিং রুমে সাংবাদিকদের সামনে ট্রাম্প বলেন, “এটি একটি বড় এবং অসাধারণ রায়। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।” তিনি এটিকে সংবিধান, ক্ষমতার ভারসাম্য এবং আইনের শাসনের পক্ষে এক ঐতিহাসিক বিজয় বলে মন্তব্য করেন।

সুপ্রিম কোর্টের এ রায়ের ফলে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের একটি বিতর্কিত নির্বাহী আদেশ কার্যকর হওয়ার পথে সবুজ সংকেত মিলেছে। আদালত জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই নির্দেশনা আগামী এক মাসের মধ্যে কার্যকর হতে পারবে। তবে যারা এ বিষয়ে মামলা করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে নিম্ন আদালত কিছুটা প্রভাব সীমিত রাখার সুযোগ পাবে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া শিশুদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। ট্রাম্প প্রশাসন এই প্রথা বাতিল করতে উদ্যোগী হয়েছে। তবে অনেক অঙ্গরাজ্য, বিশেষ করে ডেমোক্র্যাট শাসিত অঙ্গরাজ্যগুলো, এই পরিবর্তন দ্রুত কার্যকর করবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

বিচারপতি অ্যামি কোনি ব্যারেট বলেন, নিম্ন আদালতগুলো চাইলে সীমিত পরিসরে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে কি না, তা পুনর্বিবেচনা করতে পারে।

ট্রাম্প একে ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের প্রতারণার ওপর কঠোর আঘাত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি জানিয়েছেন, আগামী অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্তভাবে এই নীতির বৈধতা নির্ধারণ করবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রায়ের ফলে প্রেসিডেন্টদের নির্বাহী ক্ষমতা আরও শক্তিশালী হলো। অতীতে নিম্ন আদালতের দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন নীতি যেমন বিদেশে সহায়তা কমানো, অভিবাসন সংস্কার, সরকারি কর্মচারী ছাঁটাই কিংবা নির্বাচনী নিয়মে পরিবর্তন আনার মতো উদ্যোগে বাধা সৃষ্টি হয়েছিল।

ট্রাম্প বলেছেন, “এখন আমরা সেই নীতিগুলো এগিয়ে নিতে পারব, যেগুলো এতদিন ভুলভাবে আটকে রাখা হয়েছিল।”

অনেকের মতে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ভবিষ্যতে রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাট – উভয় দলের প্রেসিডেন্টকেই নীতি বাস্তবায়নে বেশি সময় ও সুযোগ দেবে, যতক্ষণ না বিষয়টি উচ্চ আদালতে চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতা জোরালো, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে ট্রাম্পের হাত খুলল

আপডেট সময় ১০:৩২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে, যা ভবিষ্যতের যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্যও এক বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই রায়ের ফলে নিম্ন আদালতের নির্বাহী আদেশ স্থগিত রাখার ক্ষমতা সীমিত হয়ে গেছে।

হোয়াইট হাউজের ব্রিফিং রুমে সাংবাদিকদের সামনে ট্রাম্প বলেন, “এটি একটি বড় এবং অসাধারণ রায়। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।” তিনি এটিকে সংবিধান, ক্ষমতার ভারসাম্য এবং আইনের শাসনের পক্ষে এক ঐতিহাসিক বিজয় বলে মন্তব্য করেন।

সুপ্রিম কোর্টের এ রায়ের ফলে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের একটি বিতর্কিত নির্বাহী আদেশ কার্যকর হওয়ার পথে সবুজ সংকেত মিলেছে। আদালত জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই নির্দেশনা আগামী এক মাসের মধ্যে কার্যকর হতে পারবে। তবে যারা এ বিষয়ে মামলা করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে নিম্ন আদালত কিছুটা প্রভাব সীমিত রাখার সুযোগ পাবে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া শিশুদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। ট্রাম্প প্রশাসন এই প্রথা বাতিল করতে উদ্যোগী হয়েছে। তবে অনেক অঙ্গরাজ্য, বিশেষ করে ডেমোক্র্যাট শাসিত অঙ্গরাজ্যগুলো, এই পরিবর্তন দ্রুত কার্যকর করবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

বিচারপতি অ্যামি কোনি ব্যারেট বলেন, নিম্ন আদালতগুলো চাইলে সীমিত পরিসরে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে কি না, তা পুনর্বিবেচনা করতে পারে।

ট্রাম্প একে ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের প্রতারণার ওপর কঠোর আঘাত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি জানিয়েছেন, আগামী অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্তভাবে এই নীতির বৈধতা নির্ধারণ করবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রায়ের ফলে প্রেসিডেন্টদের নির্বাহী ক্ষমতা আরও শক্তিশালী হলো। অতীতে নিম্ন আদালতের দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন নীতি যেমন বিদেশে সহায়তা কমানো, অভিবাসন সংস্কার, সরকারি কর্মচারী ছাঁটাই কিংবা নির্বাচনী নিয়মে পরিবর্তন আনার মতো উদ্যোগে বাধা সৃষ্টি হয়েছিল।

ট্রাম্প বলেছেন, “এখন আমরা সেই নীতিগুলো এগিয়ে নিতে পারব, যেগুলো এতদিন ভুলভাবে আটকে রাখা হয়েছিল।”

অনেকের মতে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ভবিষ্যতে রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাট – উভয় দলের প্রেসিডেন্টকেই নীতি বাস্তবায়নে বেশি সময় ও সুযোগ দেবে, যতক্ষণ না বিষয়টি উচ্চ আদালতে চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়।