যুদ্ধ-পরবর্তী প্রথম ভাষণে যা বললেন আয়াতুল্লাহ খামেনি

- আপডেট সময় ০৮:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
- / 2
ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘর্ষের পর জাতির উদ্দেশে প্রথমবারের মতো ভাষণ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘জয়’ দাবি করে বলেন, “ইহুদিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আপনাদের বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। তারা পরাজিত হয়েছে এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ধাক্কায় চূর্ণ-বিচূর্ণ ও ধ্বংস হয়েছে।”
খামেনি দাবি করেন, যুদ্ধের একপর্যায়ে ইসরায়েল ‘পতনের দ্বারপ্রান্তে’ পৌঁছে গিয়েছিল। “তাদের যত উচ্চবাচ্যই থাকুক না কেন, ইরানের আঘাতে তারা টালমাটাল হয়ে পড়ে,” বলেন তিনি।
ভাষণে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রকেও অভিযুক্ত করেন খামেনি। তার ভাষ্য, “মার্কিন সরকার এই যুদ্ধে সরাসরি জড়িত ছিল। তারা জানতো হস্তক্ষেপ না করলে ইসরায়েলের পতন অনিবার্য। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন কোনো ফল আনতে পারেনি।”
তিনি আরও বলেন, “এখানে বিজয়ী ইরান। আমরা যুক্তরাষ্ট্রকেও চূড়ান্ত আঘাত করেছি। এই বিজয়ের জন্য আমি সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
খামেনি ইরানি জনগণের ঐক্যের প্রশংসা করে বলেন, “নয় কোটির বেশি মানুষের দেশ ইরান, এই দেশের জনগণ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছে। ইরানিরা দেখিয়ে দিয়েছে প্রয়োজন হলে তারা সবাই এক হয়।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ইরানের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে কেউ আগ্রাসনের চেষ্টা করলে, তা চড়া মূল্য দিয়েই মেটাতে হবে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে খামেনি বলেন, “ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। এটি পুরোপুরি মিথ্যা। আমাদের অবকাঠামোর বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালিয়েও তারা কিছুই অর্জন করতে পারেনি।”
আল উদেইদ মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই হামলার বাস্তবতা আড়াল করতে তারা প্রচার চালিয়েছে। তবে সময়ই সত্য প্রকাশ করবে।”
ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে খামেনি বলেন, “ট্রাম্প বলেছেন, ইরানকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। কিন্তু আত্মসমর্পণ কখনোই হবে না। আমরা একটি শক্তিশালী ও সম্মানিত জাতি। আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে চপেটাঘাত করেছি এবং আমাদের জাতি বিজয়ী হয়ে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল ইরানকে নিয়ন্ত্রণে আনতে। তারা আমাদের আত্মসমর্পণের কথা বলে অপমান করেছে। তবে আমাদের জনগণ ইতিহাসের অংশ, তারা ঐতিহ্যবাহী, সাহসী এবং গর্বিত। আল্লাহর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।”