ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে ইরান: ঘোষণা খামেনির

- আপডেট সময় ০৬:৩০:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
- / 6
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান বিজয়ী হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। যুদ্ধবিরতির দুই দিন পর, বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বার্তায় খামেনি বলেন, “প্রতারণাপূর্ণ জায়নবাদী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিজয়ের জন্য আমি ইরানি জনগণকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।” তাঁর এ বক্তব্য দেশটির ভেতরে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ১২ জুন দিবাগত রাত থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা শুরু করে। তাদের দাবি, ইরান পরমাণু বোমা তৈরির চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছে গেছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করতে পারে। সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই ইসরায়েল এই অভিযানে নামে।
ইসরায়েলের এই আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে ইরান। দেশটি একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হানে। এতে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে যায় এবং যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হয়।
এই সংঘাতের মাত্র ১০ দিন পর, ২২ জুন মধ্যরাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী হঠাৎই হামলা চালায় ইসরায়েলের তিনটি পরমাণু স্থাপনায়। এই অভিযানের নামকরণ করা হয় ‘দ্য মিডনাইট হ্যামার’। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সামরিক কমান্ড (সেন্টকম) এই হামলার নেতৃত্ব দেয়। বিশ্লেষকদের মতে, এই হস্তক্ষেপের ফলে ইসরায়েলের অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ইরান কৌশলগতভাবে লাভবান হয়।
যুদ্ধবিরতির পরপরই আয়াতুল্লাহ খামেনির বিজয়ের ঘোষণা অনেককে অবাক করলেও ইরানে এটি উদযাপনের রূপ নিয়েছে। তাঁর অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও রাস্তাঘাটে বিজয়ের উৎসবে মেতে ওঠে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক এই সংঘাতে ইরান সামরিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। তবে এর পরিণতি দীর্ঘমেয়াদে কেমন হবে, তা নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী কূটনৈতিক পদক্ষেপের ওপর।
বর্তমানে দুই দেশই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ফিরে এলেও এই অঞ্চলের পরিস্থিতি এখনও থমথমে। মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, যেকোনো সময় পরিস্থিতি আবারও ঘোলাটে হয়ে উঠতে পারে।