ঢাকা ১২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বৈঠকে অসমাপ্ত আলোচনা: ট্রাম্প ও পুতিনের কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ

ইরাকের তিনটি সামরিক ঘাঁটিতে রহস্যময় ড্রোন হামলা, নিরাপত্তা জোরদার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪৪:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
  • / 30

ছবি সংগৃহীত

 

ইরাকের তিনটি সামরিক স্থাপনায় অজ্ঞাত ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা আল-জাজিরার বরাতে জানা যায়, এসব হামলায় এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

ইরাকের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইএনএ এক সামরিক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, রাজধানী বাগদাদের উত্তরে তাজি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) হামলার এ তথ্য জানায় আল-জাজিরা। একই দিনে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছেও একটি ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়।

আল সুমারিয়া টিভি জানিয়েছে, ইরাকের ধি কার প্রদেশের ইমাম আলি সামরিক ঘাঁটির রাডার সিস্টেম ছিল হামলার মূল লক্ষ্য। ঘাঁটিটি নাসিরিয়া শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। হামলার পেছনে কে বা কারা রয়েছে, সে বিষয়ে এখনো কোনো পক্ষ দায় স্বীকার করেনি।

অন্যদিকে কুর্দিস্তান ২৪-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বাগদাদ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত সালাহউদ্দিন প্রদেশের বালাদ সামরিক ঘাঁটিতেও ড্রোন হামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইরানের তাসনিম বার্তাসংস্থা জানায়, ঘাঁটির ভেতরে দুটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। উল্লেখ্য, এটি একসময় ইরাকে মার্কিন বাহিনীর দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি ছিল।

তাসনিম নিউজ আরও জানায়, বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটস্থ ভিক্টরি বেজ কমপ্লেক্সেও একটি ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে একটি সূত্র দাবি করেছে। এই ঘাঁটিটিও অতীতে মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ছিল।

সব মিলিয়ে, একদিনে একাধিক ঘাঁটিতে এমন ড্রোন হামলা ইরাকের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি, তবে দেশটির সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরাকের তিনটি সামরিক ঘাঁটিতে রহস্যময় ড্রোন হামলা, নিরাপত্তা জোরদার

আপডেট সময় ১১:৪৪:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

 

ইরাকের তিনটি সামরিক স্থাপনায় অজ্ঞাত ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা আল-জাজিরার বরাতে জানা যায়, এসব হামলায় এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

ইরাকের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইএনএ এক সামরিক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, রাজধানী বাগদাদের উত্তরে তাজি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) হামলার এ তথ্য জানায় আল-জাজিরা। একই দিনে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছেও একটি ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়।

আল সুমারিয়া টিভি জানিয়েছে, ইরাকের ধি কার প্রদেশের ইমাম আলি সামরিক ঘাঁটির রাডার সিস্টেম ছিল হামলার মূল লক্ষ্য। ঘাঁটিটি নাসিরিয়া শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। হামলার পেছনে কে বা কারা রয়েছে, সে বিষয়ে এখনো কোনো পক্ষ দায় স্বীকার করেনি।

অন্যদিকে কুর্দিস্তান ২৪-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বাগদাদ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত সালাহউদ্দিন প্রদেশের বালাদ সামরিক ঘাঁটিতেও ড্রোন হামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইরানের তাসনিম বার্তাসংস্থা জানায়, ঘাঁটির ভেতরে দুটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। উল্লেখ্য, এটি একসময় ইরাকে মার্কিন বাহিনীর দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি ছিল।

তাসনিম নিউজ আরও জানায়, বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটস্থ ভিক্টরি বেজ কমপ্লেক্সেও একটি ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে একটি সূত্র দাবি করেছে। এই ঘাঁটিটিও অতীতে মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ছিল।

সব মিলিয়ে, একদিনে একাধিক ঘাঁটিতে এমন ড্রোন হামলা ইরাকের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি, তবে দেশটির সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা ঘটনার তদন্তে নেমেছে।