ঢাকা ০২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিনসিনাটির কাছে ইন্টার মায়ামির পরাজয়, থেমে গেল মেসিদের জয়রথ ইরাকের শপিং মলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৫০, আহত বহু মোহাম্মদপুরে গুলি ও পিটিয়ে দুইজনকে হত্যা, আটক ২ জন গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪ জন আটক, মামলা প্রস্তুতিতে পুলিশ গাজা সংকটে আশার বার্তা দিলেন ট্রাম্প, আলোচনায় অগ্রগতির ইঙ্গিত গোপালগঞ্জ জেলায় স্থগিত আজকের এইচএসসি পরীক্ষা চিকিৎসাবিজ্ঞানে মাইলফলক: তিন ডিএনএর সমন্বয়ে ৮ শিশুর জন্ম, জিনগত ব্যাধির সমাধান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ৩০ বিলিয়নের ঘরে, স্বস্তি রেমিট্যান্সেও নিউ ইয়র্কে ইতিহাসের বৃহত্তম মঙ্গল গ্রহের পাথর ৪.৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি শ্রীলঙ্কায় ইতিহাস গড়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

ই/স/রা/য়ে/ল আগ্রাসন থামালে আর হামলা নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৩:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
  • / 12

ছবি সংগৃহীত

 

ইসরায়েল যদি তার আগ্রাসন বন্ধ করে, তবে ইরান আর নতুন করে কোনো হামলা চালাবে না এমন বার্তা দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। শনিবার স্থানীয় সময় এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “ইসরায়েল যদি তেহরানের সময় অনুযায়ী ভোর ৪টার মধ্যে আমাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ বন্ধ রাখে, তবে আমরাও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাব না।”

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বা সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি। তার ভাষায়, “আমরা এ পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাইনি। কিন্তু যদি ইসরায়েল তাদের অবৈধ আগ্রাসন থেকে সরে আসে, তবে প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রাখার কোনো প্রয়োজন আমরা অনুভব করি না।”

এদিকে ভিন্ন এক সুরে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, “ইসরায়েল ও ইরান পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে এবং উভয়পক্ষ এতে সম্মত হয়েছে।” তার মতে, এই যুদ্ধবিরতি চলমান উত্তেজনার অবসানের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘোষণাগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। তবে চূড়ান্তভাবে সবকিছু নির্ভর করছে ইসরায়েল ও ইরানের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর।

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক চাপ, কূটনৈতিক তৎপরতা ও জাতিসংঘের আহ্বানের পর এই অঞ্চলে যুদ্ধবিরতির আশা জাগছে। যদিও এখনো কোনো লিখিত বা আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি, তবু পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঘচির বক্তব্য ইঙ্গিত দেয়, ইরান শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে আগ্রহী যদি ইসরায়েল তাদের হামলা বন্ধ রাখে।

সর্বশেষ এই অবস্থান অনেকটাই নির্ভর করছে ইসরায়েলি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। আর যদি কোনো নতুন আগ্রাসন না হয়, তাহলে আপাতত বড় ধরনের সংঘাত এড়ানো সম্ভব হতে পারে এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ই/স/রা/য়ে/ল আগ্রাসন থামালে আর হামলা নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ১০:৩৩:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

 

ইসরায়েল যদি তার আগ্রাসন বন্ধ করে, তবে ইরান আর নতুন করে কোনো হামলা চালাবে না এমন বার্তা দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। শনিবার স্থানীয় সময় এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “ইসরায়েল যদি তেহরানের সময় অনুযায়ী ভোর ৪টার মধ্যে আমাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ বন্ধ রাখে, তবে আমরাও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাব না।”

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বা সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি। তার ভাষায়, “আমরা এ পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাইনি। কিন্তু যদি ইসরায়েল তাদের অবৈধ আগ্রাসন থেকে সরে আসে, তবে প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রাখার কোনো প্রয়োজন আমরা অনুভব করি না।”

এদিকে ভিন্ন এক সুরে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, “ইসরায়েল ও ইরান পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে এবং উভয়পক্ষ এতে সম্মত হয়েছে।” তার মতে, এই যুদ্ধবিরতি চলমান উত্তেজনার অবসানের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ।

বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘোষণাগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। তবে চূড়ান্তভাবে সবকিছু নির্ভর করছে ইসরায়েল ও ইরানের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর।

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক চাপ, কূটনৈতিক তৎপরতা ও জাতিসংঘের আহ্বানের পর এই অঞ্চলে যুদ্ধবিরতির আশা জাগছে। যদিও এখনো কোনো লিখিত বা আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি, তবু পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঘচির বক্তব্য ইঙ্গিত দেয়, ইরান শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে আগ্রহী যদি ইসরায়েল তাদের হামলা বন্ধ রাখে।

সর্বশেষ এই অবস্থান অনেকটাই নির্ভর করছে ইসরায়েলি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। আর যদি কোনো নতুন আগ্রাসন না হয়, তাহলে আপাতত বড় ধরনের সংঘাত এড়ানো সম্ভব হতে পারে এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।