০৬:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

ইরান-ইসরায়েল সংকট: সমাধানে চাপ নয়, কূটনীতির পক্ষে রাশিয়া: পুতিন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / 63

ছবি সংগৃহীত

 

ইরান ও ইসরায়েলের চলমান উত্তেজনা নিয়ে রাশিয়া কোনো পক্ষের ওপর সমাধান চাপিয়ে দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বরং তিনি জানিয়েছেন, আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করাই এখন গুরুত্বপূর্ণ।

বুধবার সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক গোলটেবিল বৈঠকে পুতিন বলেন, “আমরা কাউকে কিছু চাপিয়ে দিচ্ছি না। শুধু বলছি, কীভাবে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসা যেতে পারে। সিদ্ধান্তটা সম্পূর্ণই সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর—বিশেষ করে ইরান ও ইসরায়েলের রাজনৈতিক নেতৃত্বের।”

বিজ্ঞাপন

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পুতিন স্পষ্ট করে বলেন, “আমাদের ইরানি বন্ধুরা এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো সামরিক সহায়তা চায়নি।”

আল জাজিরার বরাতে জানা যায়, পুতিন আরও জানান, রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা বর্তমানে ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাজ করছেন এবং ইসরায়েল এখনও পর্যন্ত ওই স্থাপনায় কোনো হামলা চালায়নি। পুতিন বলেন, “ইসরায়েল আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।”

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে রাশিয়া বুশেহর প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু করে এবং ২০১১ সালে তা চালু হয়। ইতোমধ্যে ইরানের সঙ্গে একটি ২০ বছর মেয়াদি চুক্তির আওতায় আরও তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা নির্মাণে সম্মত হয়েছে রাশিয়া।

পুতিন জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সদ্য নির্বাচিত ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। তার মতে, ইরানি জনগণ এখন তাদের নতুন নেতৃত্বের পেছনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পড়েছে এবং সংকট নিরসনে কূটনৈতিক সমাধানের পথই সবচেয়ে যৌক্তিক।

বিশ্ব রাজনীতির এমন এক সংকটময় মুহূর্তে রাশিয়ার পক্ষ থেকে চাপের পরিবর্তে সংলাপ ও কূটনীতির ওপর গুরুত্বারোপ আন্তর্জাতিক পরিসরে ইতিবাচক বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরান-ইসরায়েল সংকট: সমাধানে চাপ নয়, কূটনীতির পক্ষে রাশিয়া: পুতিন

আপডেট সময় ১০:০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

 

ইরান ও ইসরায়েলের চলমান উত্তেজনা নিয়ে রাশিয়া কোনো পক্ষের ওপর সমাধান চাপিয়ে দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বরং তিনি জানিয়েছেন, আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করাই এখন গুরুত্বপূর্ণ।

বুধবার সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক গোলটেবিল বৈঠকে পুতিন বলেন, “আমরা কাউকে কিছু চাপিয়ে দিচ্ছি না। শুধু বলছি, কীভাবে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসা যেতে পারে। সিদ্ধান্তটা সম্পূর্ণই সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর—বিশেষ করে ইরান ও ইসরায়েলের রাজনৈতিক নেতৃত্বের।”

বিজ্ঞাপন

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পুতিন স্পষ্ট করে বলেন, “আমাদের ইরানি বন্ধুরা এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো সামরিক সহায়তা চায়নি।”

আল জাজিরার বরাতে জানা যায়, পুতিন আরও জানান, রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা বর্তমানে ইরানের বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাজ করছেন এবং ইসরায়েল এখনও পর্যন্ত ওই স্থাপনায় কোনো হামলা চালায়নি। পুতিন বলেন, “ইসরায়েল আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।”

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে রাশিয়া বুশেহর প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু করে এবং ২০১১ সালে তা চালু হয়। ইতোমধ্যে ইরানের সঙ্গে একটি ২০ বছর মেয়াদি চুক্তির আওতায় আরও তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা নির্মাণে সম্মত হয়েছে রাশিয়া।

পুতিন জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সদ্য নির্বাচিত ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। তার মতে, ইরানি জনগণ এখন তাদের নতুন নেতৃত্বের পেছনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পড়েছে এবং সংকট নিরসনে কূটনৈতিক সমাধানের পথই সবচেয়ে যৌক্তিক।

বিশ্ব রাজনীতির এমন এক সংকটময় মুহূর্তে রাশিয়ার পক্ষ থেকে চাপের পরিবর্তে সংলাপ ও কূটনীতির ওপর গুরুত্বারোপ আন্তর্জাতিক পরিসরে ইতিবাচক বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।