ঢাকা ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জিকে শামীম অর্থ পাচার মামলায় খালাস, বা ১০ বছরের সাজা বাতিল চীনের নতুন যুদ্ধবিমান: ইন্দো-প্যাসিফিকে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যের বিরুদ্ধে এক জবাব আহত ফিলিস্তিনিদের জন্য দ্বীপে চিকিৎসাকেন্দ্র প্রস্তুত করছে ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও তার্কিশ এয়ারলাইন্সের মধ্যে ভ্রমণ সুবিধায় সমঝোতা স্মারক সাক্ষর ঝিনাইগাতীতে বাস পুকুরে উল্টে তিন মাসের শিশুর মৃত্যু, আহত অন্তত ২০ চালু হবে জাতীয় পুরস্কার,মাইলস্টোন শিক্ষক মেহরিন চৌধুরীর নামে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: ড. ইউনূস দ্রুত চালু হবে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল: বেবিচক চেয়ারম্যানের আশ্বাস হিরো আলমকে তালাক দিলেন রিয়া মনি নিউজিল্যান্ডের স্কোয়াডে বড় পরিবর্তন, তিন ক্রিকেটার ছিটকে

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনিকে হত্যার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ট্রাম্পের: মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • / 47

ছবি সংগৃহীত

 

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে দাবি করেছেন তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা। এই তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএস নিউজ, যা বিবিসির অংশীদার।

সিবিএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনায় ট্রাম্প স্পষ্ট জানান, খামেনিকে হত্যা করা যুক্তিসঙ্গত হবে না। যদিও এ বিষয়ে ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।

এই কথোপকথনের সূত্রপাত হয় সম্প্রতি ইসরায়েল কর্তৃক ইরানে চালানো হামলার পর। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুকে যখন এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তিনি ওই পরিকল্পনার বিষয়ে নিশ্চিত বা অস্বীকার কোনো কিছুই বলেননি।

নেতানিয়াহু বলেন, “অনেক সময় এমন প্রতিবেদন আসে, যেসব কথোপকথনের বাস্তব কোনো ভিত্তি থাকে না। আমি এসব নিয়ে মন্তব্য করব না। তবে এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, ইসরায়েল তার নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র জানে, তাদের জন্য কী ভালো।”

এদিকে, এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা সিবিএস নিউজকে বলেন, “আমরা রাজনৈতিক নেতাদের হত্যার পরিকল্পনায় বিশ্বাসী নই। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে পারমাণবিক ও সামরিক হুমকি দূর করা। যারা এসব কর্মসূচির পেছনে রয়েছে, তারা যেন নিরাপদে না থাকতে পারে আমরা তা নিশ্চিত করতে চাই।”

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ইসরায়েল প্রথমবারের মতো ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ও অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। এরপর থেকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে, যা রবিবার গড়ায় তৃতীয় দিনে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তিচুক্তি হওয়া উচিত। তিনি দাবি করেন, “যেভাবে আমি ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে শান্তি আলোচনায় ভূমিকা রেখেছি, তেমনভাবেই ইরান-ইসরায়েল সংকটও নিরসন করা সম্ভব।”

জাপানে অনুষ্ঠেয় জি৭ সম্মেলনে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সবসময় ইসরায়েলের পাশে থাকবে।” তবে তিনি এ নিয়ে স্পষ্ট করেননি যে, তিনি ইসরায়েলকে হামলা বন্ধের জন্য কোনো পরামর্শ দিয়েছেন কি না।

এদিকে, মধ্যস্থতাকারী দেশ ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আল বুসাইদি জানিয়েছেন, রবিবার নির্ধারিত যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু আলোচনা বাতিল করা হয়েছে। কারণ, ইসরায়েলের চলমান হামলার প্রেক্ষাপটে ইরান যুদ্ধবিরতির আলোচনায় আগ্রহী নয় এ তথ্য তারা কাতার ও ওমানকে জানিয়েছে।

শনিবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ইরানে ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অংশগ্রহণ ছিল না। তবে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আঘাত হানে, তাহলে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে, যা ইতিহাসে আগে কখনো দেখা যায়নি।”

সূত্র: বিবিসি, সিবিএস, রয়টার্স

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনিকে হত্যার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ট্রাম্পের: মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি

আপডেট সময় ১১:৩৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

 

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে দাবি করেছেন তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা। এই তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএস নিউজ, যা বিবিসির অংশীদার।

সিবিএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনায় ট্রাম্প স্পষ্ট জানান, খামেনিকে হত্যা করা যুক্তিসঙ্গত হবে না। যদিও এ বিষয়ে ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।

এই কথোপকথনের সূত্রপাত হয় সম্প্রতি ইসরায়েল কর্তৃক ইরানে চালানো হামলার পর। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুকে যখন এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তিনি ওই পরিকল্পনার বিষয়ে নিশ্চিত বা অস্বীকার কোনো কিছুই বলেননি।

নেতানিয়াহু বলেন, “অনেক সময় এমন প্রতিবেদন আসে, যেসব কথোপকথনের বাস্তব কোনো ভিত্তি থাকে না। আমি এসব নিয়ে মন্তব্য করব না। তবে এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, ইসরায়েল তার নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র জানে, তাদের জন্য কী ভালো।”

এদিকে, এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা সিবিএস নিউজকে বলেন, “আমরা রাজনৈতিক নেতাদের হত্যার পরিকল্পনায় বিশ্বাসী নই। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে পারমাণবিক ও সামরিক হুমকি দূর করা। যারা এসব কর্মসূচির পেছনে রয়েছে, তারা যেন নিরাপদে না থাকতে পারে আমরা তা নিশ্চিত করতে চাই।”

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ইসরায়েল প্রথমবারের মতো ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ও অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। এরপর থেকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে, যা রবিবার গড়ায় তৃতীয় দিনে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তিচুক্তি হওয়া উচিত। তিনি দাবি করেন, “যেভাবে আমি ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে শান্তি আলোচনায় ভূমিকা রেখেছি, তেমনভাবেই ইরান-ইসরায়েল সংকটও নিরসন করা সম্ভব।”

জাপানে অনুষ্ঠেয় জি৭ সম্মেলনে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সবসময় ইসরায়েলের পাশে থাকবে।” তবে তিনি এ নিয়ে স্পষ্ট করেননি যে, তিনি ইসরায়েলকে হামলা বন্ধের জন্য কোনো পরামর্শ দিয়েছেন কি না।

এদিকে, মধ্যস্থতাকারী দেশ ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আল বুসাইদি জানিয়েছেন, রবিবার নির্ধারিত যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু আলোচনা বাতিল করা হয়েছে। কারণ, ইসরায়েলের চলমান হামলার প্রেক্ষাপটে ইরান যুদ্ধবিরতির আলোচনায় আগ্রহী নয় এ তথ্য তারা কাতার ও ওমানকে জানিয়েছে।

শনিবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ইরানে ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অংশগ্রহণ ছিল না। তবে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আঘাত হানে, তাহলে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে, যা ইতিহাসে আগে কখনো দেখা যায়নি।”

সূত্র: বিবিসি, সিবিএস, রয়টার্স