ইরান-ইসরাইল সংঘাতে উত্তেজনা চরমে, ইরানকে হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প

- আপডেট সময় ০৫:৫৪:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
- / 2
ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে তীব্র সামরিক সংঘাত চলমান। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে জানান, ইসরাইলের ইরানে হামলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে যদি ইরান যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত হানে, তাহলে মার্কিন বাহিনী পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করবে।
সম্প্রতি পরমাণু ইস্যুতে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে আলোচনার সময়েই হঠাৎ করে উত্তেজনা বাড়ে। গত শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানে আকস্মিক বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। রোববারও ইরানের বিভিন্ন এলাকায় বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (১৪ জুন) ইরানজুড়ে দ্বিতীয় দিনের মতো বেসামরিক স্থাপনা ও জ্বালানি অবকাঠামোতে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে ইরানের সামরিক ও নাগরিক জীবনে চরম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ইসরাইলি হামলার জবাবে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইরানের সেনাবাহিনী। সর্বশেষ শনিবার রাতে ইসরাইলে বড় পরিসরের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তারা। এতে ইসরাইলজুড়ে নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়।
এদিকে ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা না দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে কড়া বার্তা দিয়েছে ইরান। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরাইলকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত তাদের সামরিক ঘাঁটি ও নৌযানগুলো ইরানি হামলার লক্ষ্যবস্তু হবে।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “ইরানে হামলার ঘটনায় আমাদের কোনো ভূমিকা নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের ওপর আঘাত এলে, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এমন মাত্রায় জবাব দেবে, যা ইতিহাসে নজিরবিহীন হবে।”
তবে তিনি এ-ও উল্লেখ করেন যে, ইচ্ছা করলেই ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে একটি চুক্তি করে এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটানো সম্ভব। তিনি যুদ্ধের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানান।
মধ্যপ্রাচ্যে এই ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে। এখন বিশ্ববাসী তাকিয়ে আছে এই সংঘাত কি আরও বিস্তৃত হবে, নাকি কূটনৈতিক উদ্যোগে শান্তির পথ খুঁজে পাওয়া যাবে।