ঢাকা ০৯:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভালুকায় ৫০০ টাকার জন্য স্ত্রীকে খুন, লাশ খাটের নিচে! দেশে ২৪ ঘন্টায় আরোও ৭ জনের করোনা শনাক্ত আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের এসআই নিহত মারা গেছেন ক্যান্সার আক্রান্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঝন্টু আলী বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ৩ সন্তানের জননীর অনশন প্রেমিক আত্মগোপনে চোকার্স’ তকমা ও ২৭ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা নাইটহুড খেতাবে ভূষিত হলেন বিশ্বখ্যাত তারকা ‘স্যার’ ডেভিড বেকহ্যাম ইসরাইলি হামলায় ইরানে নিহত ১২ পরমাণু বিজ্ঞানী, দাবি আইডিএফের মানুষকে মামলার অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে কাজ করছি: আসিফ নজরুল লন্ডনে বৈঠকের পর নিরপেক্ষতা হারালেন প্রধান উপদেষ্টা: অভিযোগ জামায়াতের

ইরানে ইসরায়েলের হামলা সম্পর্কে আগে থেকেই জানতাম: ট্রাম্প

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:০২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
  • / 1

ছবি সংগৃহীত

 

 

ইরানে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলার বিষয়ে আগে থেকেই অবগত ছিলেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আরও জানিয়েছেন, এখনো ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর সুযোগ রয়েছে।

শুক্রবার (১৩ জুন) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেন, “আমরা আগেই সবকিছু জানতাম এবং আমি চেয়েছিলাম ইরান যেন অপমান, ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানির শিকার না হয়। আমি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছি ইরানকে রক্ষা করতে, কারণ আমি বিশ্বাস করি, আমরা একটি শান্তিপূর্ণ সমঝোতায় পৌঁছাতে পারি।”

রয়টার্সের এক প্রশ্নে, ইসরায়েলকে ইরানের পাল্টা হামলা থেকে রক্ষায় পাশে থাকবেন কিনা এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প জানান, তিনি সবসময়ই ইসরায়েলের সমর্থক ছিলেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়া নিয়ে তিনি খুব একটা উদ্বিগ্ন নন।

তার ভাষায়, “আমরা ইসরায়েলের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমরা তাদের প্রধান মিত্র। এখন দেখা যাক কী ঘটে।”

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৩ জুন) ভোর ৪টার দিকে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী (আইএএফ) ইরানের রাজধানী তেহরানসহ অন্তত আটটি শহরে বড় ধরনের বিমান হামলা চালায়। ভয়াবহ এই হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত এবং আরও প্রায় ৩০০ জন আহত হন।

হামলার পর মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে, এই উত্তেজনা কোনো বৃহৎ সংঘাতে রূপ নিতে পারে কি না, তা নিয়ে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়, যুক্তরাষ্ট্র পূর্বেই হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা রাখতো এবং কূটনৈতিকভাবে ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় ছিল।

তবে এ মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা প্রশমনের বিষয়টিই হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির অন্যতম আলোচিত ইস্যু।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানে ইসরায়েলের হামলা সম্পর্কে আগে থেকেই জানতাম: ট্রাম্প

আপডেট সময় ০৭:০২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

 

 

ইরানে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলার বিষয়ে আগে থেকেই অবগত ছিলেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আরও জানিয়েছেন, এখনো ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর সুযোগ রয়েছে।

শুক্রবার (১৩ জুন) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেন, “আমরা আগেই সবকিছু জানতাম এবং আমি চেয়েছিলাম ইরান যেন অপমান, ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানির শিকার না হয়। আমি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছি ইরানকে রক্ষা করতে, কারণ আমি বিশ্বাস করি, আমরা একটি শান্তিপূর্ণ সমঝোতায় পৌঁছাতে পারি।”

রয়টার্সের এক প্রশ্নে, ইসরায়েলকে ইরানের পাল্টা হামলা থেকে রক্ষায় পাশে থাকবেন কিনা এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প জানান, তিনি সবসময়ই ইসরায়েলের সমর্থক ছিলেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়া নিয়ে তিনি খুব একটা উদ্বিগ্ন নন।

তার ভাষায়, “আমরা ইসরায়েলের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমরা তাদের প্রধান মিত্র। এখন দেখা যাক কী ঘটে।”

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৩ জুন) ভোর ৪টার দিকে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী (আইএএফ) ইরানের রাজধানী তেহরানসহ অন্তত আটটি শহরে বড় ধরনের বিমান হামলা চালায়। ভয়াবহ এই হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত এবং আরও প্রায় ৩০০ জন আহত হন।

হামলার পর মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে, এই উত্তেজনা কোনো বৃহৎ সংঘাতে রূপ নিতে পারে কি না, তা নিয়ে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়, যুক্তরাষ্ট্র পূর্বেই হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা রাখতো এবং কূটনৈতিকভাবে ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় ছিল।

তবে এ মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা প্রশমনের বিষয়টিই হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির অন্যতম আলোচিত ইস্যু।