ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রে মধ্য ইসরাইলে হামলা, নিহত ১, আহত অন্তত ১৯

- আপডেট সময় ১০:৪৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
- / 13
মধ্য ইসরাইলে ইরানের সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একজন নিহত এবং অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৪ জুন) সকালে এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ও স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো।
ইসরাইলের জরুরি পরিষেবার মুখপাত্র চ্যানেল ১২ নিউজকে জানান, আবাসিক ভবনগুলোতে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে এক ব্যক্তি নিহত হন এবং ১৯ জন আহত হন, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের শামির মেডিকেল সেন্টার এবং উলফসন মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসকদের বরাতে টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়, হামলার ফলে বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অন্তত দুজন ভবনের ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েছেন। চ্যানেল ১২ আরও জানায়, হামলায় অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে কাজ করছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এরইমধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, ইরানের সর্বশেষ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর নাগরিকদের বোমা আশ্রয়কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে, যদিও আপাতত সেগুলো ছেড়ে যাওয়া যাবে।
এদিকে, ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, ইসরাইলকে সহযোগিতা করা দেশগুলোর আঞ্চলিক ঘাঁটিগুলোও তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এক জ্যেষ্ঠ ইরানি কর্মকর্তা জানান, ইসরাইলের পক্ষে অবস্থান নেওয়া কোনো দেশকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, “ইরান আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে আত্মরক্ষার অধিকার রাখে। যদি কোনো দেশ ইসরাইলকে রক্ষা করতে চায়, তবে তাদের ঘাঁটি ও অবস্থান আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হবে।”
এই হামলার প্রেক্ষিতে জানা গেছে, এর আগের দিন শুক্রবার ভোররাতে ইসরাইল ২০০ যুদ্ধবিমান নিয়ে ইরানের প্রায় ১০০টি স্থানে বিমান হামলা চালায়। এতে ইরানের সেনাপ্রধান, রেভ্যুলুশনারি গার্ডের প্রধানসহ ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানী এবং অর্ধশতাধিক বেসামরিক মানুষ নিহত হন।
ইসরাইলের আঘাতের লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি, সামরিক স্থাপনা এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। পরে দিনভর নতুন করে আরও হামলা চালানো হয়।
এরই প্রতিশোধ হিসেবে ইরান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস ৩’ নামে ইসরাইলে প্রায় ১০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকটি অবকাঠামো ধ্বংস হয় এবং বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটে।