ইরানে ইসরায়েলি হামলা: আরব দেশগুলোর তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগের ঝড়

- আপডেট সময় ০৩:২৭:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
- / 5
ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলার ঘটনায় আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান এবং লেবাননসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইসরায়েলের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের এই হামলাকে ‘জঘন্য ও নিন্দনীয়’ বলে উল্লেখ করেছে। সৌদি রাজতন্ত্র এই বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি এই আগ্রাসন থামাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় বিভাজনের কারণে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে উভয় দেশের সম্পর্কের দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে।
এদিকে, ২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা সত্ত্বেও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এই হামলা নিয়ে তাদের অবস্থান একেবারেই স্পষ্ট করেছে। আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘আমরা অত্যন্ত কঠোর ভাষায় এই হামলার নিন্দা জানাচ্ছি।’
কাতার এই হামলাকে ‘ইরানের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত’ বলে উল্লেখ করেছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলমান আলোচনা পরিচালনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পরিচিত ওমান বলেছে, ‘এই হামলা বেপরোয়া এবং পরমাণু আলোচনার এক সংবেদনশীল সময়েই এটি করা হয়েছে।’
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি কাতারে এবং আবুধাবির কাছে হাজারো মার্কিন সেনা মোতায়েন থাকায়, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে কাতার ও আমিরাত—দুই দেশই ইরানের সম্ভাব্য প্রতিশোধের ঝুঁকিতে রয়েছে।
নিজ দেশে ইরানের প্রভাব কমানোর চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম এই হামলাকে ‘গুরুতর ইসরায়েলি আগ্রাসন’ হিসেবে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও ইরানের সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘন। এর পরিণতি শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বিশ্ব শান্তির জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।’
ইসরায়েলের এই হামলা শুধু ইরান নয়, গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতার ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর কড়া প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগই এই পরিস্থিতির গভীরতা স্পষ্ট করে তুলছে।