সহিংসতার উসকানি! ফিলিস্তিন ইস্যুতে দুই ইসরায়েলি মন্ত্রীকে পাঁচ দেশের নিষেধাজ্ঞা

- আপডেট সময় ০২:৪৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
- / 8
ইসরায়েলের দুই কট্টর ডানপন্থী মন্ত্রী জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও নরওয়ে। পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও তাদের সম্পদ জব্দের নির্দেশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বেন-গভির ও স্মোট্রিচ দুজনই পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি বসতির বাসিন্দা এবং উগ্র জাতীয়তাবাদী রাজনীতির জন্য পরিচিত। তারা ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনে ভূমিকা রাখছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পাঁচ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “এই দুই মন্ত্রী বারবার উগ্র সহিংসতাকে উসকে দিয়েছেন। ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতার ঘটনাগুলোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন। এমন কাজ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আর্থিক লেনদেন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে এবং তাদের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
এদিকে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি লেখেন, “যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপের নিন্দা জানায়। এটি গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা এগিয়ে নেবে না, যুদ্ধ থামাবে না এবং অপহৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনবে না।”
রুবিও আরও বলেন, “আমরা দুই পক্ষকে এক পাল্লায় মাপা সমর্থন করি না। হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। আমাদের মিত্রদের মনে করিয়ে দিতে চাই আসল শত্রুকে ভুলে গেলে চলবে না।”
অন্যদিকে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সার পাঁচ দেশের এই পদক্ষেপকে “চরম অপমানজনক” বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, এর জবাব কীভাবে দেওয়া হবে তা নির্ধারণে ইসরায়েল সরকার আগামী সপ্তাহে একটি বিশেষ বৈঠক আহ্বান করবে।
এদিকে হেবরন হিলস এলাকায় নতুন একটি ইহুদি বসতির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী স্মোট্রিচ বলেন, “আমরা আমাদের লক্ষ্য থেকে সরে যাব না। ঈশ্বরের ইচ্ছায় পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন অব্যাহত থাকবে।” এই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক মহলে ইসরায়েলের পশ্চিম তীর নীতি নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।