বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বে আগ্রহী এয়ারবাস ও মেনজিস এভিয়েশন

- আপডেট সময় ১১:৫৬:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
- / 13
বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিমানসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মেনজিস এভিয়েশন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এয়ারবাসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ভাউটার ভ্যান ভার্স এবং মেনজিস এভিয়েশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস ওয়াইলি। বৈঠকে তারা বাংলাদেশের বিমান খাতে বিনিয়োগ ও সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ভাউটার ভ্যান বলেন, “বাংলাদেশ আমাদের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। আমরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে চাই এবং প্রতিষ্ঠানটিকে লাভজনক করে তুলতে প্রস্তুত।” তিনি আরও জানান, এয়ারবাস প্রতি বছর ৮০০টিরও বেশি বিমান সরবরাহ করে এবং তাদের দক্ষতা রয়েছে হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান তৈরিতে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ বিমান বহর আধুনিকায়নে আগ্রহী। আমরা আপনাদের প্রস্তাব শুনতে আগ্রহী, তবে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। আমাদের নতুনভাবে সব কিছু পর্যালোচনা করতে হবে এবং সুচিন্তিতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
এয়ারবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যদি বাংলাদেশ এয়ারবাস সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে মোট ব্যয়ের ৮৫ শতাংশ অর্থায়ন এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সির মাধ্যমে নিশ্চিত করা সম্ভব।
অন্যদিকে, মেনজিস এভিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস ওয়াইলি জানান, তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এবং এয়ার কার্গো সেবায় অংশ নিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে বিশ্বের ৬৫টি দেশে ৩০০টির বেশি বিমানবন্দরে এ ধরনের সেবা দিয়ে আসছি।”
ওয়াইলি আরও জানান, “যদি আমাদের এই দায়িত্ব প্রদান করা হয়, তাহলে ঢাকাকে আমরা একটি আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ হাব হিসেবে গড়ে তুলব, যেখানে আমাদের ৬৫,০০০ কর্মীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা একটি অভিজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠিত ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের বিমানবন্দর ও জাতীয় বিমান সংস্থার উন্নয়নে সহায়তা করতে আমরা আগ্রহী।”
সূত্র: বাসস।