ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরানে ধ/র্ষ/ণে/র দায়ে ৩ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম ও অবদানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই হবে আগামী দিনের লক্ষ্য: জামায়াত আমির মানবাধিকারের পক্ষে থাকুন, ঘেটো বানাবেন না: তথ্য উপদেষ্টা ইরানে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত, আহত অন্তত ২৯ শিশুদের মাঝে গড়ে তুলতে হবে পরিবেশ সচেতনতা: রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষায় জাতিসংঘের নতুন মিশন চালু: প্রেস উইং দেশজুড়ে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৩৯৪ জন আর কোনো ‘গডফাদার’ বাংলাদেশে সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না: হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্ত করার অধিকার নেই মালিকদের: শ্রম উপদেষ্টা

গাজায় একদিনে ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত, ‘ত্রাণকেন্দ্র’ ঘিরে মৃত্যুফাঁদের অভিযোগ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৯:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / 31

ছবি: সংগৃহীত

 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা অব্যাহত রয়েছে। একদিনে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭০ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক। নিহতদের মধ্যে ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীরাও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আজ বুধবার (১১ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। স্থানীয় চিকিৎসা কর্মকর্তাদের বরাতে তারা জানায়, মঙ্গলবার ভোর থেকে গাজার বিভিন্ন এলাকায় চালানো লাগাতার বিমান ও স্থল হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, পুরো গাজা এখন দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি। এই প্রেক্ষাপটে মানুষ যখন ত্রাণের আশায় ছোটে, তখনও তাদের ওপর চালানো হচ্ছে গুলি। গাজার কেন্দ্রীয় অংশে ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত নেতসারিম করিডরের কাছে মঙ্গলবার আবারও খাবারের জন্য অপেক্ষমাণ মানুষের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। গাজা সরকারের তথ্য অফিস জানায়, সেখানে নিহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে মাত্র ১২ বছর বয়সী একটি শিশু, যার নাম মোহাম্মদ খলিল আল-আথামনেহ।

এই মানবিক বিপর্যয়ের কেন্দ্রে রয়েছে ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ) নামের বিতর্কিত একটি সংস্থা, যার মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে ত্রাণ। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে পরিচালিত এ সংস্থাটি মূলত অপারেটস করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকায়।

গাজা সরকারের অভিযোগ, এই ত্রাণকেন্দ্রগুলো আসলে ‘মানব কসাইখানা’। তাদের ভাষায়, ‘জিএইচএফ এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে, যেখানে ক্ষুধার্ত মানুষেরা ত্রাণের আশায় গিয়ে গুলিতে প্রাণ হারাচ্ছেন।’

গাজা সরকারের তথ্য অফিস আরও জানায়, গত ২৭ মে থেকে সংস্থাটি ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করার পর থেকেই সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন প্রায় ১৫০০ জন।

‘জিএইচএফ এখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে ভয়ঙ্কর এক হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। ত্রাণের নামে নিরস্ত্র, ক্ষুধার্ত মানুষদের টেনে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে,’ এই অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছে গাজা সরকার।

মানবিক বিপর্যয় দিনকে দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে গাজায়। ত্রাণের আশায় ছুটে আসা মানুষরা এখন বেছে নিতে পারছেন না জীবন নাকি খাদ্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় একদিনে ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত, ‘ত্রাণকেন্দ্র’ ঘিরে মৃত্যুফাঁদের অভিযোগ

আপডেট সময় ১০:৩৯:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা অব্যাহত রয়েছে। একদিনে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭০ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক। নিহতদের মধ্যে ক্ষুধার্ত ত্রাণপ্রার্থীরাও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আজ বুধবার (১১ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। স্থানীয় চিকিৎসা কর্মকর্তাদের বরাতে তারা জানায়, মঙ্গলবার ভোর থেকে গাজার বিভিন্ন এলাকায় চালানো লাগাতার বিমান ও স্থল হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, পুরো গাজা এখন দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি। এই প্রেক্ষাপটে মানুষ যখন ত্রাণের আশায় ছোটে, তখনও তাদের ওপর চালানো হচ্ছে গুলি। গাজার কেন্দ্রীয় অংশে ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত নেতসারিম করিডরের কাছে মঙ্গলবার আবারও খাবারের জন্য অপেক্ষমাণ মানুষের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। গাজা সরকারের তথ্য অফিস জানায়, সেখানে নিহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে মাত্র ১২ বছর বয়সী একটি শিশু, যার নাম মোহাম্মদ খলিল আল-আথামনেহ।

এই মানবিক বিপর্যয়ের কেন্দ্রে রয়েছে ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ) নামের বিতর্কিত একটি সংস্থা, যার মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে ত্রাণ। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে পরিচালিত এ সংস্থাটি মূলত অপারেটস করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকায়।

গাজা সরকারের অভিযোগ, এই ত্রাণকেন্দ্রগুলো আসলে ‘মানব কসাইখানা’। তাদের ভাষায়, ‘জিএইচএফ এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে, যেখানে ক্ষুধার্ত মানুষেরা ত্রাণের আশায় গিয়ে গুলিতে প্রাণ হারাচ্ছেন।’

গাজা সরকারের তথ্য অফিস আরও জানায়, গত ২৭ মে থেকে সংস্থাটি ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করার পর থেকেই সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন প্রায় ১৫০০ জন।

‘জিএইচএফ এখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে ভয়ঙ্কর এক হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। ত্রাণের নামে নিরস্ত্র, ক্ষুধার্ত মানুষদের টেনে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে,’ এই অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছে গাজা সরকার।

মানবিক বিপর্যয় দিনকে দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে গাজায়। ত্রাণের আশায় ছুটে আসা মানুষরা এখন বেছে নিতে পারছেন না জীবন নাকি খাদ্য।