গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬০, তীব্র সংকটে লাখো মানুষ

- আপডেট সময় ১১:৪৮:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
- / 9
গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলায় অন্তত ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে চিকিৎসা সূত্র। টানা হামলার ফলে অঞ্চলজুড়ে মানবিক সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।
গাজা শহরের শুজাইয়া এলাকায় এক বিমান হামলায় তিনজন চিকিৎসাকর্মী প্রাণ হারান। একই ঘটনায় দুইজন বেসামরিক নাগরিকও নিহত হন এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। শহরের উত্তরাঞ্চলের আস-সাফতাওয়ি এলাকায় গোলাবর্ষণে নতুন করে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এছাড়া আল-শিফা হাসপাতালের আশপাশে আল-রাশিদ বা আল-সাহিলি সড়কের নাবুলসি জংশনের কাছে ইসরায়েলি হামলায় আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ শহরের শাকুশ ও আল-আলম এলাকায় একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে ১৩ জন ত্রাণপ্রত্যাশী নিহত হন। একই এলাকায় আরেকটি বিমান হামলায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এসব হামলায় আহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
এদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তায় নিয়োজিত জাতিসংঘ সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএ জানিয়েছে, গাজার হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত পরিবার এখন চরম বিপদের মধ্যে রয়েছে। সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা অসম্ভব কিছু চাইছি না, শুধু আমাদের কাজ করতে দিন। মানুষকে সাহায্য করতে দিন, তাদের সম্মান রক্ষা করতে দিন।”
তবে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ ইউএনআরডাব্লিউএসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে গাজায় কার্যক্রম পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর ফলে খাদ্য, পানি ও ওষুধের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে শুধু ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ কিছু ত্রাণ কার্যক্রম চালালেও এতে পক্ষপাতিত্ব ও রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ উঠেছে।
হামাস সতর্ক করে বলেছে, ‘ম্যাডলিন’ নামের একটি ত্রাণবাহী জাহাজে হস্তক্ষেপ করা হলে তার দায় ইসরায়েলকেই নিতে হবে। জাহাজে থাকা কর্মীদের নিরাপত্তার দায়িত্বও তারা ইসরায়েলের ওপর চাপিয়েছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবিক সংস্থা সতর্ক করেছে, ত্রাণ প্রবেশে বাধা অব্যাহত থাকলে গাজায় শিগগিরই দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।
ইউএনআরডাব্লিউএ আরও জানিয়েছে, গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল সব ধরনের ত্রাণ প্রবেশ নিষিদ্ধ করার পর পুরো এপ্রিল মাসে কোনো সহায়তা পৌঁছায়নি। খাদ্য, আশ্রয়, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসার অভাবে প্রায় ২০ লাখ মানুষের জীবন আজ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।