ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হবিগঞ্জে দীর্ঘদিনের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ঈদে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক লস এঞ্জেলেসে প্রতিবাদে বিক্ষোভ, নিয়ন্ত্রণে ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন” বিশ্ব সমুদ্র দিবস আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন চলবে অধিকাংশ আন্তঃনগর ট্রেন, যুক্ত হচ্ছে অতিরিক্ত কোচ লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন

লস এঞ্জেলেসে প্রতিবাদে বিক্ষোভ, নিয়ন্ত্রণে ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন”

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৩২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫
  • / 1

ছবি: সংগৃহীত

 

ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলেসে চলমান অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ফেডারেল বিমানবন্দর ও অন্যান্য স্থানে ব্যাপক অভিযান চালানো শুরু হলে দুই দিন ধরে এলাকাজুড়ে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

সেই সুযোগে টম হোম্যান একটি Fox News‑এ দেওয়া সাক্ষাত্কারে নিশ্চিত করেন যে “আমরা লস এঞ্জেলেসকে নিরাপদ করব” এবং ঘোষণা করেন, আগামিকালের জন্যও কমপক্ষে ২,০০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন থাকবে ।

৬ জুন (শুক্রবার): ICE পরিচালিত অভিযানে প্রায় ৪৪ জন অনিবন্ধিত অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয় ও আরও কিছু এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদে গড়ে ওঠেন। পুলিশ স্টান গ্রেনেড ও টিয়ার-গ্যাস ব্যবহার করেন। কিছু বিক্ষোভকারী কংক্রিটের টুকরো ছুঁড়িয়ে দেন ।

৭ জুন (শনিবার): বিক্ষোভ আরো ভয়াবহ রূপ নেয়। Paramount এলাকায় ICE’র তাণ্ডবের সময় বিক্ষোভকারীরা গাড়ি জ্বালানো, রাস্তা অবরোধ করা এবং অবৈধ সমাবেশ চালায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যারিকেড তৈরী করে, ফ্ল্যাশ-ব্যাং এবং টিয়ার-গ্যাস ছুড়তে থাকে । একজন প্রতিবাদকারী ও এক জন বর্ডার প্যাট্রোল এজেন্ট আহত হন, এবং বেশ কিছু ব্যক্তি গ্রেপ্তার হন ।

অভিযান ও গ্রেপ্তার
আইসিই জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে লস এঞ্জেলেস থেকে মোট ১১৮ জনকে আটক করা হয়, যা শুক্রবার একা দিনে ৪৪ জন গ্রেপ্তারসহ হামেশাই থেমে না । তবে অভিযান চালানোর পেছনে ওয়াশিংটন হোয়াইট হাউসের ব্যাখ্যা ছিল “অবৈধ অপরাধীদের প্রবেশ ঠেকাতে জরুরি পদক্ষেপ” ।

ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন
বিক্ষোভ তীব্রতা বাড়লে, টম হোম্যান ঘোষণা দেন ২০০০ সৈন্যকে লস এঞ্জেলেসে পাঠানো হবে। বিশেষ ক্ষমতা (Title-10) ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই ফেডারেল সরকারের অধীনে ক্যালিফোর্নিয়া ন্যাশনাল গার্ড নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে । মন্ত্রী পিটার হেগসেথ জানিয়েছেন, যদি পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়, তবে Camp Pendleton‑এ বিদ্যমান এক্টিভ ডিউটি মেরিন্সও মোতায়েন করা হতে পারে

রাজ্য ও সিটি কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া
গভর্নর গ্যাভিন নিউসম: অভিযানের সমালোচনায় বলেন, “ক্রূর ও অহেতুক” অভিযান শান্তিপূর্ণ অভিবাসী পরিবারের ওপর নির্যাতনমূলক আক্রমণ । তিনি কেন্দ্রকে “ধৃষ্টতা” ও উত্তেজনা সৃষ্টির দায়ে দোষারোপ করেন।

দুই দিন ধরে চলা এই সংঘর্ষে অন্তত দুই ব্যক্তি আহত, গ্রেপ্তারের সংখ্যা বেড়েছে এবং তীব্র রাজনৈতিক বিতর্কের উদ্রেক হয়েছে।

সরকারি এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস এটিকে ‘এক ধরনের বিদ্রোহ’ বলে আখ্যায়িত করেছে, এবং এর প্রতিকারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ঘোষণা এসেছে ।

এই দুই দিনের পতন যখন লস এঞ্জেলেস ছাড়িয়ে নেয় সামগ্রিক রাজনীতির মঞ্চে, তৎপরতা তীব্র হয়ে উঠছে। অভিযানের ন্যায্যতা, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ এবং রাজ্য–ফেডারেল সরকারের মধ্যকার ক্ষমতা নিয়ে বিতর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। সরকারের অনুগত বলয়ে পরিস্থিতি পরবর্তীতে কতটা শান্ত থাকতে পারবে, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।

নিউজটি শেয়ার করুন

লস এঞ্জেলেসে প্রতিবাদে বিক্ষোভ, নিয়ন্ত্রণে ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন”

আপডেট সময় ০২:৩২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫

 

ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলেসে চলমান অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ফেডারেল বিমানবন্দর ও অন্যান্য স্থানে ব্যাপক অভিযান চালানো শুরু হলে দুই দিন ধরে এলাকাজুড়ে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

সেই সুযোগে টম হোম্যান একটি Fox News‑এ দেওয়া সাক্ষাত্কারে নিশ্চিত করেন যে “আমরা লস এঞ্জেলেসকে নিরাপদ করব” এবং ঘোষণা করেন, আগামিকালের জন্যও কমপক্ষে ২,০০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন থাকবে ।

৬ জুন (শুক্রবার): ICE পরিচালিত অভিযানে প্রায় ৪৪ জন অনিবন্ধিত অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয় ও আরও কিছু এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদে গড়ে ওঠেন। পুলিশ স্টান গ্রেনেড ও টিয়ার-গ্যাস ব্যবহার করেন। কিছু বিক্ষোভকারী কংক্রিটের টুকরো ছুঁড়িয়ে দেন ।

৭ জুন (শনিবার): বিক্ষোভ আরো ভয়াবহ রূপ নেয়। Paramount এলাকায় ICE’র তাণ্ডবের সময় বিক্ষোভকারীরা গাড়ি জ্বালানো, রাস্তা অবরোধ করা এবং অবৈধ সমাবেশ চালায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যারিকেড তৈরী করে, ফ্ল্যাশ-ব্যাং এবং টিয়ার-গ্যাস ছুড়তে থাকে । একজন প্রতিবাদকারী ও এক জন বর্ডার প্যাট্রোল এজেন্ট আহত হন, এবং বেশ কিছু ব্যক্তি গ্রেপ্তার হন ।

অভিযান ও গ্রেপ্তার
আইসিই জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে লস এঞ্জেলেস থেকে মোট ১১৮ জনকে আটক করা হয়, যা শুক্রবার একা দিনে ৪৪ জন গ্রেপ্তারসহ হামেশাই থেমে না । তবে অভিযান চালানোর পেছনে ওয়াশিংটন হোয়াইট হাউসের ব্যাখ্যা ছিল “অবৈধ অপরাধীদের প্রবেশ ঠেকাতে জরুরি পদক্ষেপ” ।

ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন
বিক্ষোভ তীব্রতা বাড়লে, টম হোম্যান ঘোষণা দেন ২০০০ সৈন্যকে লস এঞ্জেলেসে পাঠানো হবে। বিশেষ ক্ষমতা (Title-10) ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই ফেডারেল সরকারের অধীনে ক্যালিফোর্নিয়া ন্যাশনাল গার্ড নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে । মন্ত্রী পিটার হেগসেথ জানিয়েছেন, যদি পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়, তবে Camp Pendleton‑এ বিদ্যমান এক্টিভ ডিউটি মেরিন্সও মোতায়েন করা হতে পারে

রাজ্য ও সিটি কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া
গভর্নর গ্যাভিন নিউসম: অভিযানের সমালোচনায় বলেন, “ক্রূর ও অহেতুক” অভিযান শান্তিপূর্ণ অভিবাসী পরিবারের ওপর নির্যাতনমূলক আক্রমণ । তিনি কেন্দ্রকে “ধৃষ্টতা” ও উত্তেজনা সৃষ্টির দায়ে দোষারোপ করেন।

দুই দিন ধরে চলা এই সংঘর্ষে অন্তত দুই ব্যক্তি আহত, গ্রেপ্তারের সংখ্যা বেড়েছে এবং তীব্র রাজনৈতিক বিতর্কের উদ্রেক হয়েছে।

সরকারি এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস এটিকে ‘এক ধরনের বিদ্রোহ’ বলে আখ্যায়িত করেছে, এবং এর প্রতিকারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ঘোষণা এসেছে ।

এই দুই দিনের পতন যখন লস এঞ্জেলেস ছাড়িয়ে নেয় সামগ্রিক রাজনীতির মঞ্চে, তৎপরতা তীব্র হয়ে উঠছে। অভিযানের ন্যায্যতা, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ এবং রাজ্য–ফেডারেল সরকারের মধ্যকার ক্ষমতা নিয়ে বিতর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। সরকারের অনুগত বলয়ে পরিস্থিতি পরবর্তীতে কতটা শান্ত থাকতে পারবে, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।