ঢাকা ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আইপিএলের ফাইনালে মুখোমুখি বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব, জয়ের খোঁজে দুই দলই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী পরিবহনে ডাকাতি এড়াতে স্টপেজ থেকেই যাত্রীদের ছবি তুলতে হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সচিবালয়ের সংকট সমাধানে উপদেষ্টা পর্যায়ের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা পুশ-ইন ইস্যুতে ভারতকে আবারও চিঠি দেবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ১২০০ বস্তা চাল “গুজব”: প্রতিক্রিয়া জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামবে: গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং ভেসেল থেকে পড়ে ২ নাবিকের মর্মান্তিক মৃত্যু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ২০০ একর জমি হস্তান্তর সম্পন্ন হত্যাসহ ৫ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন আবারও নামঞ্জুর

গা/জা/র একমাত্র ডায়ালিসিস কেন্দ্র ধ্বংস, ৫৪ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩৭:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

গাজার উত্তরের একমাত্র কিডনি ডায়ালিসিস চিকিৎসাকেন্দ্রটি ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। নওরা আল-কাবি ডায়ালিসিস হাসপাতালকে লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় গুরুতরভাবে প্রভাবিত হয়েছে গাজার অসংখ্য কিডনি রোগীর জীবনসেবা। ফলে ইসরায়েলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনিদের টিকে থাকার মৌলিক সুযোগগুলোও একে একে বিলুপ্ত হচ্ছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ডা. মুনির আল-বুরশ জানিয়েছেন, আগেও এই হাসপাতালে একাধিকবার হামলা চালানো হয়েছে। সর্বশেষ হামলাটি ঘটে হাসপাতালটি সীমিত আকারে পুনরায় চালু হওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ পর। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধ্বংসপ্রাপ্ত হাসপাতালের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যেখানে ইসরায়েলি বুলডোজার ঘটনাস্থলে উপস্থিত দেখা গেছে।

ডা. আল-বুরশ আরও জানান, হামলার আগে এই হাসপাতালটি দিনে প্রায় ১৬০ জন কিডনি রোগীকে জরুরি ডায়ালিসিস সেবা দিয়ে আসছিল। এখন এটি সম্পূর্ণভাবে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে চিকিৎসা সংকটে পড়েছে শত শত রোগী।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় কিডনি রোগে আক্রান্ত অন্তত ৪১ শতাংশ রোগী ডায়ালিসিস সেন্টারে প্রবেশাধিকার না পাওয়া, নির্ধারিত বিভাগ ধ্বংস হওয়া এবং সেবা ব্যাহত হওয়ায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

গাজার স্বাস্থ্যখাতের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর ধারাবাহিক আক্রমণ এবং অবকাঠামো ধ্বংসে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। এই হামলা শুধু একটি চিকিৎসাকেন্দ্র ধ্বংসের ঘটনা নয়, বরং গাজার জনগণের স্বাস্থ্যসেবাকে দীর্ঘমেয়াদে সম্পূর্ণরূপে অকার্যকর করার এক ভয়াবহ উদাহরণ।

গাজায় চলমান আগ্রাসনে এ পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৪১৮ জনে। আহত হয়েছে আরও অসংখ্য মানুষ।

এছাড়া, গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান শুরু করে। এ পর্যন্ত আড়াই মাসের অভিযানে নিহত হয়েছে তিন হাজার ৮২২ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছে প্রায় ১১ হাজার।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতে এই ধরনের টার্গেটেড হামলা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের পরিপন্থী। চিকিৎসা অবকাঠামোর পদ্ধতিগত ধ্বংস ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে এক নির্যাতনমূলক কৌশল হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।

সূত্র: আলজাজিরা

নিউজটি শেয়ার করুন

গা/জা/র একমাত্র ডায়ালিসিস কেন্দ্র ধ্বংস, ৫৪ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা

আপডেট সময় ১২:৩৭:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

 

গাজার উত্তরের একমাত্র কিডনি ডায়ালিসিস চিকিৎসাকেন্দ্রটি ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে। নওরা আল-কাবি ডায়ালিসিস হাসপাতালকে লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় গুরুতরভাবে প্রভাবিত হয়েছে গাজার অসংখ্য কিডনি রোগীর জীবনসেবা। ফলে ইসরায়েলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনিদের টিকে থাকার মৌলিক সুযোগগুলোও একে একে বিলুপ্ত হচ্ছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ডা. মুনির আল-বুরশ জানিয়েছেন, আগেও এই হাসপাতালে একাধিকবার হামলা চালানো হয়েছে। সর্বশেষ হামলাটি ঘটে হাসপাতালটি সীমিত আকারে পুনরায় চালু হওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ পর। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধ্বংসপ্রাপ্ত হাসপাতালের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যেখানে ইসরায়েলি বুলডোজার ঘটনাস্থলে উপস্থিত দেখা গেছে।

ডা. আল-বুরশ আরও জানান, হামলার আগে এই হাসপাতালটি দিনে প্রায় ১৬০ জন কিডনি রোগীকে জরুরি ডায়ালিসিস সেবা দিয়ে আসছিল। এখন এটি সম্পূর্ণভাবে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে চিকিৎসা সংকটে পড়েছে শত শত রোগী।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় কিডনি রোগে আক্রান্ত অন্তত ৪১ শতাংশ রোগী ডায়ালিসিস সেন্টারে প্রবেশাধিকার না পাওয়া, নির্ধারিত বিভাগ ধ্বংস হওয়া এবং সেবা ব্যাহত হওয়ায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

গাজার স্বাস্থ্যখাতের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর ধারাবাহিক আক্রমণ এবং অবকাঠামো ধ্বংসে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। এই হামলা শুধু একটি চিকিৎসাকেন্দ্র ধ্বংসের ঘটনা নয়, বরং গাজার জনগণের স্বাস্থ্যসেবাকে দীর্ঘমেয়াদে সম্পূর্ণরূপে অকার্যকর করার এক ভয়াবহ উদাহরণ।

গাজায় চলমান আগ্রাসনে এ পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৪১৮ জনে। আহত হয়েছে আরও অসংখ্য মানুষ।

এছাড়া, গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান শুরু করে। এ পর্যন্ত আড়াই মাসের অভিযানে নিহত হয়েছে তিন হাজার ৮২২ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছে প্রায় ১১ হাজার।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতে এই ধরনের টার্গেটেড হামলা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের পরিপন্থী। চিকিৎসা অবকাঠামোর পদ্ধতিগত ধ্বংস ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে এক নির্যাতনমূলক কৌশল হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।

সূত্র: আলজাজিরা