০৫:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

রাফায় ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরাইলি গুলিতে নিহত অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪০:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / 30

ছবি সংগৃহীত

 

 

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরের পশ্চিমাঞ্চলে ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এই ঘটনাকে ‘ত্রাণের নামে মৃত্যুফাঁদ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার ভোরে (১ জুন) রাফার আল-মাওয়াসি এলাকায় ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বাহিনী এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে আহত হন আরও দুই শতাধিক মানুষ। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা যায়, নিহত ও আহতদের মধ্যে বহু নারী ও শিশুও রয়েছে।

ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় গাজার দক্ষিণ প্রান্তে রাফায় একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র চালু করা হলেও, সেই এলাকাটিই ইসরাইলি বোমাবর্ষণে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, হাজার হাজার ক্ষুধার্ত ও অসহায় মানুষকে সেই বিপদসংকুল পথে হাঁটিয়ে আনা হচ্ছে। কিন্তু গন্তব্যে গিয়ে তারা পাচ্ছে না সহায়তা, বরং মুখোমুখি হচ্ছে গুলির যার ফলে বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, গাজায় সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম যদি নিরাপদ এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত না হয়, তাহলে সেখানে গণদুর্ভিক্ষ অনিবার্য হয়ে উঠবে। ইউএনআরডব্লিউএ জোর দিয়ে বলেছে, ইসরাইলকে অবশ্যই গাজা থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করতে হবে এবং জাতিসংঘকে বাধাহীনভাবে ত্রাণ সরবরাহ ও বিতরণের অনুমতি দিতে হবে।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিশর থেকে পাঠানো তিন হাজারের বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজার সীমান্তে আটকে রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। ফলে গাজার ৯০ শতাংশ মানুষ এখন নিরাপদ পানির সংকটে রয়েছে, যা থেকে ডায়রিয়া, মেনিনজাইটিসসহ নানা রোগ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে।

এই ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতিকে ‘সম্পূর্ণ বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি ও লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন। বাগদাদে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাফায় ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরাইলি গুলিতে নিহত অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি

আপডেট সময় ১০:৪০:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

 

 

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরের পশ্চিমাঞ্চলে ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এই ঘটনাকে ‘ত্রাণের নামে মৃত্যুফাঁদ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার ভোরে (১ জুন) রাফার আল-মাওয়াসি এলাকায় ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বাহিনী এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে আহত হন আরও দুই শতাধিক মানুষ। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা যায়, নিহত ও আহতদের মধ্যে বহু নারী ও শিশুও রয়েছে।

ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় গাজার দক্ষিণ প্রান্তে রাফায় একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র চালু করা হলেও, সেই এলাকাটিই ইসরাইলি বোমাবর্ষণে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, হাজার হাজার ক্ষুধার্ত ও অসহায় মানুষকে সেই বিপদসংকুল পথে হাঁটিয়ে আনা হচ্ছে। কিন্তু গন্তব্যে গিয়ে তারা পাচ্ছে না সহায়তা, বরং মুখোমুখি হচ্ছে গুলির যার ফলে বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, গাজায় সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম যদি নিরাপদ এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত না হয়, তাহলে সেখানে গণদুর্ভিক্ষ অনিবার্য হয়ে উঠবে। ইউএনআরডব্লিউএ জোর দিয়ে বলেছে, ইসরাইলকে অবশ্যই গাজা থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করতে হবে এবং জাতিসংঘকে বাধাহীনভাবে ত্রাণ সরবরাহ ও বিতরণের অনুমতি দিতে হবে।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিশর থেকে পাঠানো তিন হাজারের বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজার সীমান্তে আটকে রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। ফলে গাজার ৯০ শতাংশ মানুষ এখন নিরাপদ পানির সংকটে রয়েছে, যা থেকে ডায়রিয়া, মেনিনজাইটিসসহ নানা রোগ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে।

এই ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতিকে ‘সম্পূর্ণ বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি ও লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন। বাগদাদে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।