যুদ্ধবিরতির রোডম্যাপ নিয়ে আজ ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনায় বসছে রাশিয়া-ইউক্রেন

- আপডেট সময় ১০:৩৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
- / 2
তিন বছর ধরে চলা ভয়াবহ যুদ্ধের অবসানে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। আগামী সোমবার (২ জুন) তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনায় বসতে যাচ্ছে দুই দেশের প্রতিনিধি দল। এই বৈঠকে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে রাশিয়ার কাছে একটি প্রস্তাবিত রোডম্যাপ তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স, যারা ওই নথির একটি অনুলিপিও দেখেছে।
রোডম্যাপটিতে ৩০ দিনের একটি পূর্ণ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব রয়েছে। একইসঙ্গে, উভয় পক্ষের বন্দিদের বিনিময় এবং রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনীয় শিশুদের দেশে ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আলোচনার পরবর্তী ধাপে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরাসরি বৈঠকের পরিকল্পনার কথাও বলা হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। তারা এমন একটি কাঠামো দাঁড় করাতে চাইছে, যার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের এই যুদ্ধের স্থায়ী সমাধান সম্ভব হয়।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, তারা ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠেয় আলোচনার জন্য রাশিয়ার কাছে একটি পরিকল্পনা পাঠিয়েছে। এই রোডম্যাপে পূর্বের শান্তি শর্তগুলোই পুনরায় উত্থাপন করা হয়েছে, যেমন ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা না দেয়া, দখলকৃত অঞ্চলকে রাশিয়ার ভূখণ্ড হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না দেয়া এবং ইউক্রেনকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান।
এছাড়াও আলোচনায় যুদ্ধক্ষেত্রের বর্তমান অবস্থা ও ফ্রন্টলাইন নিয়ে একটি সমঝোতার চেষ্টাও থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রস্তাবনা রাশিয়ার সাম্প্রতিক অবস্থানের সঙ্গে বড় ধরনের পার্থক্য তৈরি করেছে।
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশকে শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণ করে যুদ্ধের অবসান ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে, রাশিয়া জানিয়েছে, তারা দ্বিতীয় দফা আলোচনায় ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি বসতে চায়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তাদের পক্ষ থেকে ইস্তাম্বুলে আলোচনায় অংশ নিতে প্রতিনিধি দল প্রস্তুত। যদিও এখনো রাশিয়ার প্রস্তাবিত স্মারকলিপি হাতে না পেলেও, কিয়েভ শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে মুক্তির পথে আশার আলো দেখছেন ইউরোপীয় নেতারা।