ঢাকা ১১:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

”এ ধরনের পদক্ষেপ সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার সমান”: পাক সিজেসিসি চেয়ারম্যান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২৫:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

 

দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিসি) চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা।

গত শনিবার সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ‘শাংরি-লা ডায়ালগ’ সম্মেলনে বক্তব্যকালে তিনি বলেন, ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব এখন এমন এক স্তরে পৌঁছেছে, যেখানে যুদ্ধের সম্ভাবনা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। তার মতে, এই অবস্থান ১৫০ কোটিরও বেশি মানুষের জন্য এক গভীর হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

জেনারেল মির্জা বলেন, “বর্তমানে যুদ্ধের সীমারেখা এতটাই নিচে নেমে এসেছে যে, যে কোনো সময় তা বিস্ফোরক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।” তিনি অবিলম্বে একটি কার্যকর এবং বিশ্বাসযোগ্য সঙ্কট ব্যবস্থাপনা কাঠামো গঠনের ওপর জোর দেন।

কাশ্মীরকে এই উত্তেজনার মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে তুলে ধরে তিনি বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী কাশ্মীর সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানই দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারে। তার মতে, “কাশ্মীর সংকটের নিষ্পত্তি ছাড়া এই অঞ্চলে শান্তির কোনো ভিত্তি গড়ে উঠবে না।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, সম্প্রতি ভারত কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলছে। বিশেষ করে ভারত কর্তৃক সিন্ধু পানি চুক্তি বাতিলের হুমকিকে তিনি পাকিস্তানের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি হিসেবে অভিহিত করেন। “এ ধরনের পদক্ষেপ সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার সমান,” মন্তব্য করেন তিনি।

জেনারেল মির্জা বলেন, পাকিস্তান সব সময় শান্তিপূর্ণ এবং কূটনৈতিক পথে সমস্যার সমাধানে বিশ্বাসী। তবে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে হলে পারস্পরিক সম্মান, সার্বভৌম সমতা এবং মর্যাদা বজায় রাখা জরুরি।

বক্তব্যে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আট দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন, যার কেন্দ্রে ছিল কাশ্মীর সমস্যার আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে শান্তিপূর্ণ সমাধান।

উল্লেখ্য, পাকিস্তান বহুদিন ধরেই জাতিসংঘের প্রস্তাব ও কাশ্মীরি জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতে কাশ্মীর সংকটের রাজনৈতিক সমাধান দাবি করে আসছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

”এ ধরনের পদক্ষেপ সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার সমান”: পাক সিজেসিসি চেয়ারম্যান

আপডেট সময় ০৫:২৫:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

 

 

দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিসি) চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা।

গত শনিবার সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ‘শাংরি-লা ডায়ালগ’ সম্মেলনে বক্তব্যকালে তিনি বলেন, ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব এখন এমন এক স্তরে পৌঁছেছে, যেখানে যুদ্ধের সম্ভাবনা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। তার মতে, এই অবস্থান ১৫০ কোটিরও বেশি মানুষের জন্য এক গভীর হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

জেনারেল মির্জা বলেন, “বর্তমানে যুদ্ধের সীমারেখা এতটাই নিচে নেমে এসেছে যে, যে কোনো সময় তা বিস্ফোরক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।” তিনি অবিলম্বে একটি কার্যকর এবং বিশ্বাসযোগ্য সঙ্কট ব্যবস্থাপনা কাঠামো গঠনের ওপর জোর দেন।

কাশ্মীরকে এই উত্তেজনার মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে তুলে ধরে তিনি বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী কাশ্মীর সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানই দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারে। তার মতে, “কাশ্মীর সংকটের নিষ্পত্তি ছাড়া এই অঞ্চলে শান্তির কোনো ভিত্তি গড়ে উঠবে না।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, সম্প্রতি ভারত কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলছে। বিশেষ করে ভারত কর্তৃক সিন্ধু পানি চুক্তি বাতিলের হুমকিকে তিনি পাকিস্তানের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি হিসেবে অভিহিত করেন। “এ ধরনের পদক্ষেপ সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার সমান,” মন্তব্য করেন তিনি।

জেনারেল মির্জা বলেন, পাকিস্তান সব সময় শান্তিপূর্ণ এবং কূটনৈতিক পথে সমস্যার সমাধানে বিশ্বাসী। তবে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে হলে পারস্পরিক সম্মান, সার্বভৌম সমতা এবং মর্যাদা বজায় রাখা জরুরি।

বক্তব্যে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আট দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন, যার কেন্দ্রে ছিল কাশ্মীর সমস্যার আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে শান্তিপূর্ণ সমাধান।

উল্লেখ্য, পাকিস্তান বহুদিন ধরেই জাতিসংঘের প্রস্তাব ও কাশ্মীরি জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতে কাশ্মীর সংকটের রাজনৈতিক সমাধান দাবি করে আসছে।