ঢাকা ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যুক্তরাজ্যের রুয়ান্ডা মডেল কপি করছে ইইউ — সমালোচনা থেকে সমর্থনে তিন বছরের পথচলা মার্কিন শুল্ক নীতিতে BRICS জোটে নতুন ঐক্যের ঢেউ। চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে প্রায় ৪ কোটি টাকার স্বর্ণসহ পাচারকারী আটক গাজা সিটির দিকে ইসরায়েলের পূর্ণ দখল অভিযান, ৮ লাখ মানুষের জীবন হুমকিতে। “ফ্রান্সে দাবানলের তাণ্ডব: পুড়ে গেছে ৪২ হাজার একর এলাকা” হুথিদের নতুন নৌ ক্রুজ মিসাইল ‘সাইয়াদ’, লোহিত সাগরে নতুন গেম চেঞ্জার গাজায় ত্রাণের মাধ্যমে জীবাণু যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েল চীনের সি৯৪৯ জেটলাইনার কি সুপারসনিক বিমান ভ্রমণের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনবে? ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষে ‘মন ও মানসিকতার যুদ্ধেও জয়ী’ হওয়ার দাবি ইরানের বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে প্রকাশ্যেই সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা

গা/জা/য় ই*স*রা*য়ে*লি সেনা প্রত্যাহার ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির শর্ত জানাল হামাস

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / 14

ছবি সংগৃহীত

 

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের শর্ত দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। শনিবার এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘আমরা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চাই। তবে সেটির জন্য গাজা উপত্যকা থেকে সব ইসরায়েলি সেনাকে সরাতে হবে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিষয়ে হামাস মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতেই এ প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে।

হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ইসরায়েলের কাছে ১০ জন জীবিত জিম্মি ও ১৮ জনের মরদেহ হস্তান্তর করতে প্রস্তুত। এর বিনিময়ে ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। এ শর্তগুলো উইটকফের প্রস্তাবের মূল কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলেও উল্লেখ করা হয়।

হামাস বলেছে, ‘আমরা জাতীয় পর্যায়ের আলাপ-আলোচনার পরই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। আমাদের প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য হলো— স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা, গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং আমাদের জনগণের জন্য অবাধ মানবিক সহায়তার প্রবাহ স্থাপন করা।’

বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সরাসরি কোনো সংশোধনীর কথা বলা না হলেও, রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামাস কিছু নির্দিষ্ট সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে। তবুও সার্বিকভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক।

অন্যদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর হামাসের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য দেয়নি। তবে বৃহস্পতিবার জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে এক বৈঠকে নেতানিয়াহু জানান, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। যদিও তার দপ্তর থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনো আসেনি।

গত মার্চে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিক দফায় আলোচনা হলেও, পারস্পরিক মতপার্থক্যের কারণে সমাধান মেলেনি।

ইসরায়েল দাবি করে, যুদ্ধ থামাতে হলে হামাসকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্র হতে হবে এবং তাদের সামরিক ও প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে দিতে হবে। একই সঙ্গে গাজায় এখনো থাকা ৫৮ জন জিম্মিকে ফেরত চায় তারা।

জবাবে হামাস বলেছে, তারা অস্ত্র সমর্পণ করবে না। বরং ইসরায়েলকে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে এবং যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গা/জা/য় ই*স*রা*য়ে*লি সেনা প্রত্যাহার ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির শর্ত জানাল হামাস

আপডেট সময় ০১:১৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

 

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের শর্ত দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। শনিবার এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘আমরা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চাই। তবে সেটির জন্য গাজা উপত্যকা থেকে সব ইসরায়েলি সেনাকে সরাতে হবে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিষয়ে হামাস মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতেই এ প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে।

হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ইসরায়েলের কাছে ১০ জন জীবিত জিম্মি ও ১৮ জনের মরদেহ হস্তান্তর করতে প্রস্তুত। এর বিনিময়ে ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। এ শর্তগুলো উইটকফের প্রস্তাবের মূল কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলেও উল্লেখ করা হয়।

হামাস বলেছে, ‘আমরা জাতীয় পর্যায়ের আলাপ-আলোচনার পরই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। আমাদের প্রস্তাবের মূল উদ্দেশ্য হলো— স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা, গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং আমাদের জনগণের জন্য অবাধ মানবিক সহায়তার প্রবাহ স্থাপন করা।’

বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সরাসরি কোনো সংশোধনীর কথা বলা না হলেও, রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামাস কিছু নির্দিষ্ট সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে। তবুও সার্বিকভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক।

অন্যদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর হামাসের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য দেয়নি। তবে বৃহস্পতিবার জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে এক বৈঠকে নেতানিয়াহু জানান, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। যদিও তার দপ্তর থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনো আসেনি।

গত মার্চে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিক দফায় আলোচনা হলেও, পারস্পরিক মতপার্থক্যের কারণে সমাধান মেলেনি।

ইসরায়েল দাবি করে, যুদ্ধ থামাতে হলে হামাসকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্র হতে হবে এবং তাদের সামরিক ও প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে দিতে হবে। একই সঙ্গে গাজায় এখনো থাকা ৫৮ জন জিম্মিকে ফেরত চায় তারা।

জবাবে হামাস বলেছে, তারা অস্ত্র সমর্পণ করবে না। বরং ইসরায়েলকে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে এবং যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।