ইউরেনিয়াম ইস্যুতে আইএইএ’র প্রতিবেদনকে ‘ভিত্তিহীন’ বলল ইরান

- আপডেট সময় ১০:৫৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
- / 5
তিন মাসের ব্যবধানে উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে ইরান এমনটি দাবি করেছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA)। সংস্থার সদ্যপ্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ইরানের কাছে এই ধরনের ইউরেনিয়ামের পরিমাণ ৪০৮ কেজি, যা ফেব্রুয়ারির তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেশি। আইএইএ এই মজুতকে ‘নজিরবিহীন’ বলে উল্লেখ করেছে এবং এতে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
তবে এই প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, আইএইএ ইসরাইলের তৈরি জাল নথির উপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে। তারা দাবি করে, সংস্থার সঙ্গে ইরান সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছে এবং এ ধরনের অভিযোগ একপেশে ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত।
প্রতিবেদনটিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ইরান এখনো তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে পরিদর্শনের অনুমতি দিচ্ছে না, যেখানে অতীতে গোপনে পারমাণবিক উপাদান ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এ পরিস্থিতিকে ‘শঙ্কাজনক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে আইএইএ।
এই পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পরমাণু ইস্যুতে নতুন করে আলোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, কোনোভাবেই ইরানের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকার সুযোগ নেই। অপরদিকে, ইরান জানিয়েছে, তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করবে না এবং জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব নিয়ে ওমানের মধ্যস্থতায় আলোচনা চলছে এবং ইরান তা নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী মূল্যায়ন করছে।
এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই প্রতিবেদনকে ‘গুরুতর’ আখ্যা দিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়কে দ্রুত তৎপর হবার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি মূলত আলোচনায় কৌশলগত চাপ সৃষ্টির একটি অংশ। ইরান যেমন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাড়িয়ে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে চাইছে, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রও নিষেধাজ্ঞা বা জাতিসংঘে ইস্যুটি তোলার মতো পদক্ষেপ নিতে পারে। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আবারও উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়েছে।