০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

শর্তসাপেক্ষে পারমাণবিক কর্মসূচির স্থগিতি: ইরানের ঘোষণা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
  • / 45

ছবি সংগৃহীত

 

 

ইরান সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে তারা শর্তসাপেক্ষে তার পারমাণবিক কর্মসূচি স্থগিত রাখবে। এই সিদ্ধান্তটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং পরমাণু শক্তির উপর নজরদারির সংস্থাগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এই ঘোষণার পেছনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কারণ রয়েছে, যা ইরানের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক নীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বিজ্ঞাপন

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু। পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমকে উদ্বেগজনক বলে মনে করছে, যা নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি (JCPOA) এর পর, ইরান কিছু পরমাণু কার্যক্রম সীমিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
ইরানের সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম স্থগিত রাখবে যদি কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হয়। এই শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে:আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখা। নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইরানের স্বার্থ রক্ষা করা।

এই ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিক্রিয়া এসেছে। অনেক দেশ ইরানের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আশা প্রকাশ করেছে যে, এটি ভবিষ্যতে শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাবে। তবে, কিছু দেশ সন্দেহ প্রকাশ করেছে যে, ইরান আসলে তাদের পারমাণবিক পরিকল্পনা নিয়ে কী সত্যিই ইচ্ছুক।

ইরানের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক এবং তাদের নিরাপত্তা ও স্বার্থের প্রতি লক্ষ্য রেখে আচরণ করবে। এটি ইরানের জন্য একটি নতুন কূটনৈতিক দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে, যেখানে তারা বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চুক্তিতে অংশগ্রহণ করতে পারে।

ইরানের শর্তসাপেক্ষে পারমাণবিক কর্মসূচির স্থগিতি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। এটি কেবল ইরানের জন্যই নয়, বরং গোটা অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। ভবিষ্যতে এই সিদ্ধান্ত কীভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং এর ফলাফল কী হবে, তা সময়ই বলে দেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শর্তসাপেক্ষে পারমাণবিক কর্মসূচির স্থগিতি: ইরানের ঘোষণা

আপডেট সময় ১১:০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

 

 

ইরান সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে তারা শর্তসাপেক্ষে তার পারমাণবিক কর্মসূচি স্থগিত রাখবে। এই সিদ্ধান্তটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং পরমাণু শক্তির উপর নজরদারির সংস্থাগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এই ঘোষণার পেছনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কারণ রয়েছে, যা ইরানের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক নীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বিজ্ঞাপন

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু। পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমকে উদ্বেগজনক বলে মনে করছে, যা নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি (JCPOA) এর পর, ইরান কিছু পরমাণু কার্যক্রম সীমিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
ইরানের সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম স্থগিত রাখবে যদি কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হয়। এই শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে:আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখা। নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইরানের স্বার্থ রক্ষা করা।

এই ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিক্রিয়া এসেছে। অনেক দেশ ইরানের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আশা প্রকাশ করেছে যে, এটি ভবিষ্যতে শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাবে। তবে, কিছু দেশ সন্দেহ প্রকাশ করেছে যে, ইরান আসলে তাদের পারমাণবিক পরিকল্পনা নিয়ে কী সত্যিই ইচ্ছুক।

ইরানের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক এবং তাদের নিরাপত্তা ও স্বার্থের প্রতি লক্ষ্য রেখে আচরণ করবে। এটি ইরানের জন্য একটি নতুন কূটনৈতিক দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে, যেখানে তারা বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চুক্তিতে অংশগ্রহণ করতে পারে।

ইরানের শর্তসাপেক্ষে পারমাণবিক কর্মসূচির স্থগিতি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। এটি কেবল ইরানের জন্যই নয়, বরং গোটা অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। ভবিষ্যতে এই সিদ্ধান্ত কীভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং এর ফলাফল কী হবে, তা সময়ই বলে দেবে।