ঢাকা ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সারাদেশে যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক ৩৯০ জন জাপান সফরে ছয়টি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস সোকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশকে ১.০৬৩ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে জাপান: রেলপথ উন্নয়নে বড় সহায়তা শর্তসাপেক্ষে পারমাণবিক কর্মসূচির স্থগিতি: ইরানের ঘোষণা বৃষ্টির বাধা মানছে না কোরবানির হাট, জমে উঠেছে পশু কেনাবেচা দেশে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে রেকর্ড গতি, ১০ মাসেই শোধ ৩৫০ কোটি ডলার দক্ষিণের ৭ নদীতে পানি বিপদসীমার ওপরে, তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল গণতন্ত্র পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে: খালেদা জিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা ও তেল আমদানি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় একদিনেই নিহত ২৮

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • / 12

ছবি: সংগৃহীত

 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১৭৯ জন।

গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বুধবার (২৮ মে) তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৮৪ জনে। আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৩০৮ জন মানুষ।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন করে নিহতদের মরদেহ গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে পৌঁছেছে। এদের অনেকেই নারী ও শিশু। এছাড়া, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেক লাশ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, কারণ লাগাতার হামলা ও নিরাপত্তা সংকটের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইসরায়েলের এই হামলা চলছে গাজায় যুদ্ধ শুরুর ৬০০তম দিনে। শুধু গত ১৮ মার্চ থেকে নতুন করে শুরু হওয়া হামলায় নিহত হয়েছেন ৩ হাজার ৯২৪ জন। আহত হয়েছেন আরও ১১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি।

গত জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির পর একসময় সাময়িক স্বস্তি দেখা দিলেও মার্চে সেই চুক্তি কার্যত ভেঙে পড়ে ইসরায়েলের নতুন হামলার মধ্য দিয়ে। এরপর থেকেই আগের চেয়ে আরও ভয়াবহ রূপে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

মানবিক সহায়তা ও চিকিৎসা সুবিধার অভাবে গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মানবাধিকার গোষ্ঠী বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও হামলা বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

গাজার বাসিন্দারা এখন নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসাসেবার চরম সংকটে দিন কাটাচ্ছেন। ধ্বংস হয়ে যাওয়া অবকাঠামো, হাসপাতাল সংকট, পানি ও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় পুরো উপত্যকাজুড়ে মানবিক বিপর্যয় চরমে পৌঁছেছে।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে নতুন করে সহায়তা ও হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন গাজার চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবীরা। এই অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল এখনো অজানা কতজন মানুষ রয়ে গেছে ধ্বংসস্তূপে, যাদের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে শুধুই নিঃশব্দ প্রহর।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় একদিনেই নিহত ২৮

আপডেট সময় ১১:০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১৭৯ জন।

গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বুধবার (২৮ মে) তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৮৪ জনে। আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৩০৮ জন মানুষ।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন করে নিহতদের মরদেহ গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে পৌঁছেছে। এদের অনেকেই নারী ও শিশু। এছাড়া, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেক লাশ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, কারণ লাগাতার হামলা ও নিরাপত্তা সংকটের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইসরায়েলের এই হামলা চলছে গাজায় যুদ্ধ শুরুর ৬০০তম দিনে। শুধু গত ১৮ মার্চ থেকে নতুন করে শুরু হওয়া হামলায় নিহত হয়েছেন ৩ হাজার ৯২৪ জন। আহত হয়েছেন আরও ১১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি।

গত জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির পর একসময় সাময়িক স্বস্তি দেখা দিলেও মার্চে সেই চুক্তি কার্যত ভেঙে পড়ে ইসরায়েলের নতুন হামলার মধ্য দিয়ে। এরপর থেকেই আগের চেয়ে আরও ভয়াবহ রূপে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

মানবিক সহায়তা ও চিকিৎসা সুবিধার অভাবে গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মানবাধিকার গোষ্ঠী বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও হামলা বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

গাজার বাসিন্দারা এখন নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসাসেবার চরম সংকটে দিন কাটাচ্ছেন। ধ্বংস হয়ে যাওয়া অবকাঠামো, হাসপাতাল সংকট, পানি ও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় পুরো উপত্যকাজুড়ে মানবিক বিপর্যয় চরমে পৌঁছেছে।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে নতুন করে সহায়তা ও হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন গাজার চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবীরা। এই অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল এখনো অজানা কতজন মানুষ রয়ে গেছে ধ্বংসস্তূপে, যাদের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে শুধুই নিঃশব্দ প্রহর।