ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় ত্রাণকেন্দ্রে গুলিবর্ষণ, নিহত ৯ ফিলিস্তিনি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৫৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • / 12

ছবি: সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকার রাফা শহরে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের সামনে জড়ো হওয়া ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে গত দুই দিনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯ জন, আহত হয়েছেন আরও ৪৬ জন। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৭ জন। মঙ্গলবার ও বুধবারের এই ঘটনাগুলো নতুন করে গাজায় মানবিক সংকট এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরেছে।

স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, বিতরণ কেন্দ্রের সামনে বহু মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছিলেন সামান্য খাদ্যসামগ্রীর জন্য। প্রত্যেককে তল্লাশি করে ভিতরে ঢোকানোর নিয়ম থাকায় বিতরণে দীর্ঘ বিলম্ব হয়। একপর্যায়ে অপেক্ষায় থাকা কিছু লোক হঠাৎ করেই ভেতরে ঢুকে পড়লে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। তখনই গুলির শব্দ শোনা যায়।

যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতরণ সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) এই ঘটনার জন্য দায় অস্বীকার করেছে। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, সেনারা কেন্দ্রের বাইরে সতর্কতামূলক গুলি চালিয়েছে এবং পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

ঘটনার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, “জিএইচএফ পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের চিত্র হৃদয়বিদারক। আমাদের ও আমাদের অংশীদারদের সুসংগঠিত, নীতিনির্ভর মানবিক পরিকল্পনা রয়েছে। গাজা হোক কিংবা মায়ানমার বা সুদান—সব ক্ষেত্রেই এক মানবিক নীতির ভিত্তিতে কাজ করা হয়। জিএইচএফের কার্যক্রম সেই মানদণ্ড পূরণ করে না।”

তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বক্তব্যে বলেন, “জিএইচএফের ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে কিছু সময়ের জন্য বিশৃঙ্খলা হয়েছিল, তবে আমরা তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করি। গাজায় কেউ অপুষ্টিতে ভুগছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই।”

সমালোচকরা বলছেন, গাজার প্রকৃত মানবিক চাহিদা মেটানোর চেয়ে বরং রাজনৈতিক ও সামরিক কৌশলের অংশ হিসেবে এসব বিতরণ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এ ধরনের বিতর্কিত ত্রাণ ব্যবস্থার ফলে মানবিক সংকট আরও জটিল হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

খবর: আল জাজিরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ত্রাণকেন্দ্রে গুলিবর্ষণ, নিহত ৯ ফিলিস্তিনি

আপডেট সময় ০৯:৫৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

 

গাজা উপত্যকার রাফা শহরে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের সামনে জড়ো হওয়া ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে গত দুই দিনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯ জন, আহত হয়েছেন আরও ৪৬ জন। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৭ জন। মঙ্গলবার ও বুধবারের এই ঘটনাগুলো নতুন করে গাজায় মানবিক সংকট এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরেছে।

স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, বিতরণ কেন্দ্রের সামনে বহু মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছিলেন সামান্য খাদ্যসামগ্রীর জন্য। প্রত্যেককে তল্লাশি করে ভিতরে ঢোকানোর নিয়ম থাকায় বিতরণে দীর্ঘ বিলম্ব হয়। একপর্যায়ে অপেক্ষায় থাকা কিছু লোক হঠাৎ করেই ভেতরে ঢুকে পড়লে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। তখনই গুলির শব্দ শোনা যায়।

যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতরণ সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) এই ঘটনার জন্য দায় অস্বীকার করেছে। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, সেনারা কেন্দ্রের বাইরে সতর্কতামূলক গুলি চালিয়েছে এবং পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

ঘটনার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, “জিএইচএফ পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের চিত্র হৃদয়বিদারক। আমাদের ও আমাদের অংশীদারদের সুসংগঠিত, নীতিনির্ভর মানবিক পরিকল্পনা রয়েছে। গাজা হোক কিংবা মায়ানমার বা সুদান—সব ক্ষেত্রেই এক মানবিক নীতির ভিত্তিতে কাজ করা হয়। জিএইচএফের কার্যক্রম সেই মানদণ্ড পূরণ করে না।”

তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বক্তব্যে বলেন, “জিএইচএফের ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে কিছু সময়ের জন্য বিশৃঙ্খলা হয়েছিল, তবে আমরা তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করি। গাজায় কেউ অপুষ্টিতে ভুগছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই।”

সমালোচকরা বলছেন, গাজার প্রকৃত মানবিক চাহিদা মেটানোর চেয়ে বরং রাজনৈতিক ও সামরিক কৌশলের অংশ হিসেবে এসব বিতরণ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এ ধরনের বিতর্কিত ত্রাণ ব্যবস্থার ফলে মানবিক সংকট আরও জটিল হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

খবর: আল জাজিরা।