০৩:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলেই ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে ইন্দোনেশিয়ার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • / 69

ছবি: সংগৃহীত

 

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলে ইসরায়েলকে কূটনৈতিকভাবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত ইন্দোনেশিয়া। বুধবার (২৮ মে) জাকার্তায় সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকে এ ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো।

প্রাবোও স্পষ্ট করে বলেন, ‘ইসরায়েল যদি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে ইন্দোনেশিয়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে প্রস্তুত।’ তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা এবং রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির বিষয়ে ফ্রান্স তাদের আগের অবস্থান ধরে রাখবে।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট প্রাবোও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় হচ্ছে দ্বিরাষ্ট্র সমাধান। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং একইসঙ্গে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’

বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ববর্তী সরকার সীমিত পর্যায়ে, বিশেষ করে বাণিজ্যিক খাতে কিছু যোগাযোগ রাখলেও, উন্মুক্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে বরাবরই অনাগ্রহ দেখিয়েছে। তবে গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর দেশটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় ইন্দোনেশিয়াকে।

গত বছরের শুরুতে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে ইন্দোনেশিয়া সরকার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের করে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইন্দোনেশিয়ার এই অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। তেল আবিব যদি সত্যিই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়, তবে মুসলিম বিশ্বের আরও কিছু দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের পথে হাঁটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স ও টাইমস অব ইসরাইল

নিউজটি শেয়ার করুন

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলেই ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে ইন্দোনেশিয়ার

আপডেট সময় ০৩:৩৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

 

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলে ইসরায়েলকে কূটনৈতিকভাবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত ইন্দোনেশিয়া। বুধবার (২৮ মে) জাকার্তায় সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকে এ ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো।

প্রাবোও স্পষ্ট করে বলেন, ‘ইসরায়েল যদি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে ইন্দোনেশিয়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে প্রস্তুত।’ তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা এবং রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির বিষয়ে ফ্রান্স তাদের আগের অবস্থান ধরে রাখবে।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট প্রাবোও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় হচ্ছে দ্বিরাষ্ট্র সমাধান। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং একইসঙ্গে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’

বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ববর্তী সরকার সীমিত পর্যায়ে, বিশেষ করে বাণিজ্যিক খাতে কিছু যোগাযোগ রাখলেও, উন্মুক্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে বরাবরই অনাগ্রহ দেখিয়েছে। তবে গাজায় ইসরায়েলি হামলার পর দেশটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় ইন্দোনেশিয়াকে।

গত বছরের শুরুতে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে ইন্দোনেশিয়া সরকার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের করে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইন্দোনেশিয়ার এই অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। তেল আবিব যদি সত্যিই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়, তবে মুসলিম বিশ্বের আরও কিছু দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের পথে হাঁটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স ও টাইমস অব ইসরাইল