ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজায় অভিযানে আরও ৫০ হাজার মোতায়েনের সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের সচিবালয়ে চতুর্থ দিনের মতো কর্মচারীদের বিক্ষোভ, নিরাপত্তা জোরদার সেনাপ্রধানের সঙ্গে জামায়াত নেতাদের বৈঠক, আজ জরুরি সংবাদ সম্মেলন গুলশানে তারেক রহমানের সঙ্গে ঢাবি সাদা দলের শিক্ষকদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন, গ্রেপ্তার ৮ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ চাকরিচ্যুত কর্মীকে চাকরি ফেরত দেয়ার নির্দেশ গা/জা/র কৃষি ধ্বংসের মুখে, দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে অর্ধকোটি মানুষ: জাতিসংঘ রাশিয়ায় মাইক্রোসফট ও জুম নিষিদ্ধের আহ্বান দিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন ইশরাকের শপথ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল স্থানীয় সরকার বিভাগ বাংলাদেশি নারীদের সঙ্গে বিয়েতে সতর্ক করল চীনা দূতাবাস

ঢাকায় চীনের প্রযুক্তি ও সহায়তায় অনুষ্ঠিত ড্রোন শো নিয়ে উদ্বিগ্ন জাপান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৬:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

 

সম্প্রতি পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকায় চীনের প্রযুক্তি ও সহায়তায় অনুষ্ঠিত ‘ড্রোন শো’ আলোড়ন তোলে সাধারণ মানুষের মাঝে, তবে এই প্রদর্শনী এখন জাপানের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান শুরু করেছে দেশটি। কেন এবং কীভাবে এই আয়োজন হলো, তা জানতে চায় তারা

বিশ্লেষকরা বলছেন, পূর্ব এশিয়াসহ বিশ্বজুড়ে চীন তার প্রভাব বাড়াচ্ছে, যা পশ্চিমা দেশগুলো এবং বিশেষ করে জাপানের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করছে। ঢাকার বৈশাখী ড্রোন শোকে সেই বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের অংশ বলেই দেখা হচ্ছে।

জুলাইয়ের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে চীন থেকেই। আর দেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরও হয়েছে বেইজিংয়ে। চলতি মাসেই চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের একটি বড় প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসার কথা রয়েছে, যা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ অবস্থায় টোকিও সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাপান পুরো বিষয়টি বুঝতে চাইবে বলে কূটনৈতিক সূত্র জানায়। পাশাপাশি, বাংলাদেশে চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়েও বৈঠকের দ্বিতীয় অংশে জাপান তাদের উদ্বেগের কথা জানাতে পারে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব বিষয়ে আলোচনা শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে আসতে পারে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, “বাংলাদেশ সবসময় ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের পক্ষপাতী। চীন, জাপান কিংবা অন্য যেকোনো দেশের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক বাস্তব পরিস্থিতি ও স্বার্থের আলোকে পরিচালিত হয়।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ কখনোই এমন কিছু করে না যাতে তৃতীয় কোনো দেশ আক্রান্ত মনে করে। আমাদের নীতিগত অবস্থান হলো কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে আমরা স্বাধীন এবং সেই সিদ্ধান্ত অন্য কেউ চাপিয়ে দিতে পারে না।”

বিশ্লেষকদের মতে, ভূ-রাজনীতির বর্তমান উত্তাল পরিবেশে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ও সম্পর্কগুলো নিয়ে আন্তর্জাতিক আগ্রহ বেড়েছে। বিশেষ করে চীন ও জাপানের মতো বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর দৃষ্টি এখন ঢাকার দিকেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঢাকায় চীনের প্রযুক্তি ও সহায়তায় অনুষ্ঠিত ড্রোন শো নিয়ে উদ্বিগ্ন জাপান

আপডেট সময় ১০:৫৬:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

 

সম্প্রতি পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকায় চীনের প্রযুক্তি ও সহায়তায় অনুষ্ঠিত ‘ড্রোন শো’ আলোড়ন তোলে সাধারণ মানুষের মাঝে, তবে এই প্রদর্শনী এখন জাপানের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান শুরু করেছে দেশটি। কেন এবং কীভাবে এই আয়োজন হলো, তা জানতে চায় তারা

বিশ্লেষকরা বলছেন, পূর্ব এশিয়াসহ বিশ্বজুড়ে চীন তার প্রভাব বাড়াচ্ছে, যা পশ্চিমা দেশগুলো এবং বিশেষ করে জাপানের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করছে। ঢাকার বৈশাখী ড্রোন শোকে সেই বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের অংশ বলেই দেখা হচ্ছে।

জুলাইয়ের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে চীন থেকেই। আর দেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরও হয়েছে বেইজিংয়ে। চলতি মাসেই চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের একটি বড় প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসার কথা রয়েছে, যা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ অবস্থায় টোকিও সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাপান পুরো বিষয়টি বুঝতে চাইবে বলে কূটনৈতিক সূত্র জানায়। পাশাপাশি, বাংলাদেশে চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়েও বৈঠকের দ্বিতীয় অংশে জাপান তাদের উদ্বেগের কথা জানাতে পারে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব বিষয়ে আলোচনা শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে আসতে পারে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, “বাংলাদেশ সবসময় ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের পক্ষপাতী। চীন, জাপান কিংবা অন্য যেকোনো দেশের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক বাস্তব পরিস্থিতি ও স্বার্থের আলোকে পরিচালিত হয়।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ কখনোই এমন কিছু করে না যাতে তৃতীয় কোনো দেশ আক্রান্ত মনে করে। আমাদের নীতিগত অবস্থান হলো কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে আমরা স্বাধীন এবং সেই সিদ্ধান্ত অন্য কেউ চাপিয়ে দিতে পারে না।”

বিশ্লেষকদের মতে, ভূ-রাজনীতির বর্তমান উত্তাল পরিবেশে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ও সম্পর্কগুলো নিয়ে আন্তর্জাতিক আগ্রহ বেড়েছে। বিশেষ করে চীন ও জাপানের মতো বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর দৃষ্টি এখন ঢাকার দিকেই।