শিরোনাম: ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির জবাবে সম্মানভিত্তিক চুক্তির আহ্বান ইইউ’র

- আপডেট সময় ০২:৫৮:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
- / 3
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হুমকির নয়, বরং পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়ার পর এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ইইউ’র বাণিজ্য কমিশনার মারোশ শেফচোভিচ। খবর বিবিসির।
গত শুক্রবার (২৩ মে) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাণিজ্য আলোচনা কাঙ্ক্ষিত গতিতে এগোচ্ছে না বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ইউরোপ থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেন। এটি কার্যকর হওয়ার সম্ভাব্য সময় ১ জুন থেকে।
এই ঘোষণার পরপরই ইইউ বাণিজ্য কমিশনার শেফচোভিচ ফোনে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার এবং বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লাটনিকের সঙ্গে। পরে শেফচোভিচ জানান, “আমরা একটি পরস্পরের জন্য লাভজনক ও সম্মানজনক চুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি এবং ইইউ এ বিষয়ে পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তিনি আরও বলেন, “ইইউ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ক হুমকি নয়, বরং পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে গড়ে উঠা উচিত। তবে ইউরোপ তার নিজস্ব স্বার্থ রক্ষায় প্রস্তুত রয়েছে।”
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, “আমি নতুন কোনো চুক্তি খুঁজছি না। আমরা আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছি। তবে ইউরোপীয় কোনো কোম্পানি যদি বড় বিনিয়োগের পরিকল্পনা করে, তাহলে সময় বাড়ানোর সুযোগ থাকবে।”
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান বাণিজ্য অংশীদার। গত বছর ইইউ যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য রপ্তানি করে এবং ৩৭০ বিলিয়ন ডলারের মতো পণ্য আমদানি করে।
চলতি বছরের এপ্রিলের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউরোপসহ আরও কয়েকটি দেশের পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। সে সময় ইইউ’র পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়। যদিও আলোচনার সুযোগ দিতে তিনি পরবর্তীতে তিন মাসের জন্য সেই শুল্ক স্থগিত করেন, তবে ১০ শতাংশ শুরুর শুল্ক বহাল রাখা হয়।
ট্রাম্প বারবার অভিযোগ করেছেন, ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রে প্রচুর পণ্য রপ্তানি করলেও মার্কিন পণ্যের জন্য ইউরোপীয় বাজারে সমান সুযোগ দেয় না। বিশেষ করে তিনি কৃষিপণ্য ও গাড়ি শিল্পে বৈষম্যের অভিযোগ এনেছেন। পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন না করা হয়, তবে অ্যাপলের আইফোন আমদানির ওপর কমপক্ষে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।