০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

ভারত-পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধ হবে ‘পারস্পরিক ধ্বংস’: আইএসপিআর ডিজি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫৮:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / 71

ছবি সংগৃহীত

 

পারমাণবিক যুদ্ধকে একেবারে ‘অযৌক্তিক’ ও ‘অকল্পনীয়’ বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী। তাঁর মতে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এমন যুদ্ধ ‘পারস্পরিক ধ্বংসের’ পথে নিয়ে যেতে পারে, যা হবে নিছক বোকামি।

সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চায়। তবে আমাদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হলে, আমরা প্রস্তুত আছি তার জবাব দিতে।’

বিজ্ঞাপন

শরিফ চৌধুরী অভিযোগ করেন, ভারতের পক্ষ থেকে যেভাবে ‘ঔদ্ধত্য’ প্রদর্শন করা হচ্ছে এবং ‘মিথ্যা আখ্যান’ ছড়ানো হচ্ছে, তাতে দুই দেশের মধ্যে যে কোনো সময় উত্তেজনা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

‘ভারত আগুন নিয়ে খেলছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এটি শুধু প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য নয়, বরং বাস্তবেই আমরা এমন একটি আবহের দিকে এগোচ্ছি যেখানে সামরিক সংঘাতের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান ও ভারত উভয়ই পরমাণু অস্ত্রধারী দেশ। এই বাস্তবতায় তাদের মধ্যে সামরিক সংঘাত হলে তা হবে আত্মঘাতী পদক্ষেপ। তাঁর ভাষায়, ‘এটা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এটা একটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক কল্পনা।’

ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে শরিফ চৌধুরী বলেন, ‘ভারত একাধিকবার বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন আখ্যান তৈরি করেছে। যা সময়ের পর সময় পুনরাবৃত্তি করছে। গোটা বিশ্ব এখন জানে, তাদের অবস্থান কতটা দুর্বল ও অসত্য। তবুও এই প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।’

তিনি এও বলেন, ‘প্রতি কয়েক বছর পর ভারত এমন পরিস্থিতি তৈরি করে, যাতে যুদ্ধাবস্থা ঘনীভূত হয়। অথচ পাকিস্তান বারবার শান্তির বার্তা দিয়েছে।’

শরিফ চৌধুরীর মতে, দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হলে, উসকানি ও মিথ্যা আখ্যানের রাজনীতি পরিহার করতে হবে। পরমাণু শক্তিধর দুটি দেশের দায়িত্বশীল অবস্থান গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত-পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধ হবে ‘পারস্পরিক ধ্বংস’: আইএসপিআর ডিজি

আপডেট সময় ১২:৫৮:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

 

পারমাণবিক যুদ্ধকে একেবারে ‘অযৌক্তিক’ ও ‘অকল্পনীয়’ বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তান আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী। তাঁর মতে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এমন যুদ্ধ ‘পারস্পরিক ধ্বংসের’ পথে নিয়ে যেতে পারে, যা হবে নিছক বোকামি।

সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চায়। তবে আমাদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হলে, আমরা প্রস্তুত আছি তার জবাব দিতে।’

বিজ্ঞাপন

শরিফ চৌধুরী অভিযোগ করেন, ভারতের পক্ষ থেকে যেভাবে ‘ঔদ্ধত্য’ প্রদর্শন করা হচ্ছে এবং ‘মিথ্যা আখ্যান’ ছড়ানো হচ্ছে, তাতে দুই দেশের মধ্যে যে কোনো সময় উত্তেজনা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

‘ভারত আগুন নিয়ে খেলছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এটি শুধু প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য নয়, বরং বাস্তবেই আমরা এমন একটি আবহের দিকে এগোচ্ছি যেখানে সামরিক সংঘাতের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান ও ভারত উভয়ই পরমাণু অস্ত্রধারী দেশ। এই বাস্তবতায় তাদের মধ্যে সামরিক সংঘাত হলে তা হবে আত্মঘাতী পদক্ষেপ। তাঁর ভাষায়, ‘এটা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এটা একটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক কল্পনা।’

ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে শরিফ চৌধুরী বলেন, ‘ভারত একাধিকবার বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন আখ্যান তৈরি করেছে। যা সময়ের পর সময় পুনরাবৃত্তি করছে। গোটা বিশ্ব এখন জানে, তাদের অবস্থান কতটা দুর্বল ও অসত্য। তবুও এই প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।’

তিনি এও বলেন, ‘প্রতি কয়েক বছর পর ভারত এমন পরিস্থিতি তৈরি করে, যাতে যুদ্ধাবস্থা ঘনীভূত হয়। অথচ পাকিস্তান বারবার শান্তির বার্তা দিয়েছে।’

শরিফ চৌধুরীর মতে, দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হলে, উসকানি ও মিথ্যা আখ্যানের রাজনীতি পরিহার করতে হবে। পরমাণু শক্তিধর দুটি দেশের দায়িত্বশীল অবস্থান গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।