ঢাকা ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভূমি সেবায় হয়রানির অবসান ঘটাতে মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারাবদ্ধ: সিনিয়র সচিব কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে ১ ভারতীয় সেনা নিহত: নতুন করে বাড়ছে উত্তেজনা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে ‘বাধা সৃষ্টি করছে’ সরকারের একটি অংশ: রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত পরিবেশ উপেক্ষিত থাকলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়: রিজওয়ানা হাসান রামগড়ে সীমান্তে ৫ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ শক্তিশালী মেঘমালায় উত্তাল বঙ্গোপসাগর, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জাপানে ৫০ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ট্যাক্সিচালক গ্রেপ্তার, ৩০০০ ছবি-ভিডিও উদ্ধার সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে বড় পদক্ষেপ, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমালো বিটিআরসি

কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে ১ ভারতীয় সেনা নিহত: নতুন করে বাড়ছে উত্তেজনা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৩৬:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / 0

ছবি সংগৃহীত

 

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আবারও শুরু হয়েছে তীব্র সংঘর্ষ। বৃহস্পতিবার কিস্তওয়ার জেলায় সশস্ত্র জঙ্গিদের সঙ্গে চলমান বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন একজন ভারতীয় সেনা সদস্য। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গোলাগুলির সময় তিনি গুরুতর আহত হন এবং সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

সেনাবাহিনীর হোয়াইট নাইট কর্পস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী ‘সন্ত্রাসীদের নিষ্ক্রিয় করতে’ পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে। সংঘর্ষস্থলে অতিরিক্ত বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে।

কাশ্মীরের প্রধান শহর শ্রীনগর থেকে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত কিস্তওয়ার জেলায় এই অভিযান চলছে। গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে ভারতীয় পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার এক মাস পর নতুন করে এ সহিংসতার সূচনা হলো। সেই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেসামরিক লোকজনের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হিসেবে বিবেচিত হয়।

নয়াদিল্লির অভিযোগ, পাকিস্তানের মদদপুষ্ট জঙ্গিরাই ওই হামলার পেছনে রয়েছে। তবে ইসলামাবাদ এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে। হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারত ৭ মে পাকিস্তানের ভেতরে হামলা চালায়। এরপর চার দিন ধরে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ চলে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান ও আর্টিলারির মাধ্যমে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৭০ জন নিহত হয় যা ১৯৯৯ সালের পর সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ হিসেবে বিবেচিত।

পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে ১০ মে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। তবে যুদ্ধবিরতির পরও কাশ্মীরে সহিংসতা বন্ধ হয়নি। ১৩ মে আরেকটি বন্দুকযুদ্ধে তিনজন সন্দেহভাজন বিদ্রোহী নিহত হয়। সর্বশেষ ১৬ মে’র এই সংঘর্ষ প্রমাণ করে, কাশ্মীর এখনো উত্তপ্ত, আর অঞ্চলজুড়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি বিদ্যমান।

কাশ্মীর যা ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর থেকেই বিভক্ত দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু। উভয় দেশই পুরো কাশ্মীর অঞ্চলের মালিকানা দাবি করে আসছে। সাম্প্রতিক এই সহিংসতা নতুন করে দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ককে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে ১ ভারতীয় সেনা নিহত: নতুন করে বাড়ছে উত্তেজনা

আপডেট সময় ০৮:৩৬:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

 

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আবারও শুরু হয়েছে তীব্র সংঘর্ষ। বৃহস্পতিবার কিস্তওয়ার জেলায় সশস্ত্র জঙ্গিদের সঙ্গে চলমান বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন একজন ভারতীয় সেনা সদস্য। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গোলাগুলির সময় তিনি গুরুতর আহত হন এবং সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

সেনাবাহিনীর হোয়াইট নাইট কর্পস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী ‘সন্ত্রাসীদের নিষ্ক্রিয় করতে’ পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে। সংঘর্ষস্থলে অতিরিক্ত বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে।

কাশ্মীরের প্রধান শহর শ্রীনগর থেকে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত কিস্তওয়ার জেলায় এই অভিযান চলছে। গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে ভারতীয় পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার এক মাস পর নতুন করে এ সহিংসতার সূচনা হলো। সেই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেসামরিক লোকজনের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হিসেবে বিবেচিত হয়।

নয়াদিল্লির অভিযোগ, পাকিস্তানের মদদপুষ্ট জঙ্গিরাই ওই হামলার পেছনে রয়েছে। তবে ইসলামাবাদ এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে। হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারত ৭ মে পাকিস্তানের ভেতরে হামলা চালায়। এরপর চার দিন ধরে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ চলে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান ও আর্টিলারির মাধ্যমে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৭০ জন নিহত হয় যা ১৯৯৯ সালের পর সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ হিসেবে বিবেচিত।

পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে ১০ মে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। তবে যুদ্ধবিরতির পরও কাশ্মীরে সহিংসতা বন্ধ হয়নি। ১৩ মে আরেকটি বন্দুকযুদ্ধে তিনজন সন্দেহভাজন বিদ্রোহী নিহত হয়। সর্বশেষ ১৬ মে’র এই সংঘর্ষ প্রমাণ করে, কাশ্মীর এখনো উত্তপ্ত, আর অঞ্চলজুড়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি বিদ্যমান।

কাশ্মীর যা ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর থেকেই বিভক্ত দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু। উভয় দেশই পুরো কাশ্মীর অঞ্চলের মালিকানা দাবি করে আসছে। সাম্প্রতিক এই সহিংসতা নতুন করে দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ককে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে।