ঢাকা ০৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আগামী নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ এটাই সরকারের প্রতিশ্রুতি: প্রেস সচিব ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়ার বেশ কয়েকটি গ্রামে ঢুকে পড়েছে ক্যাশলেস লেনদেন বাড়ানোর ওপর জোর দিতে বলেন গভর্নরের “কেরানীগঞ্জে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের রুট পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ” “পতেঙ্গায় ভেসে এলো দুই জেলের মরদেহ, নিখোঁজ ৬” “নতুন ইতিহাস: শামির রেকর্ড ভেঙে দিলেন শাহিন আফ্রিদি” “মধ্যরাতে সেনবাগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: ১২ দোকান পুড়ে গেল” “আজ প্রকাশ হচ্ছে খসড়া ভোটার তালিকা: নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা” রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত আগামীর বাংলাদেশে মসজিদ কমিটি হবে: ধর্ম উপদেষ্টা নেশার টাকা যোগাতে ৩ মাসের সন্তানকে বিক্রি, বাবা আটক

ভারত-পাকিস্তান সেনা প্রত্যাহারে ঐকমত্য, শান্তি প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫৬:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • / 57

ছবি: সংগৃহীত

 

ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে উভয় দেশ তাদের সেনাবাহিনীকে শান্তিকালীন অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে, অর্থাৎ ৩০ মে’র মধ্যে এই সেনা প্রত্যাহার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উভয় দেশের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা বিশেষ করে সামরিক অভিযানের মহাপরিচালক (ডিজিএমও) এই সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া পর্যায়ক্রমে সমন্বয় করছেন। বিষয়টি ঘিরে সংশ্লিষ্ট মহলে ব্যাপক গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে, কারণ সম্প্রতি নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত ঘিরে চরম উত্তেজনার পর এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শান্তি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এলওসি ও সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে সেনা উপস্থিতি এবং সামরিক তৎপরতার প্রেক্ষাপটে এই উদ্যোগকে ‘আস্থা তৈরির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ’ বলে উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা জানান, “এটি যুদ্ধবিরতি কাঠামোর দ্বিতীয় পর্যায়ের অংশ। যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সমঝোতা সম্ভব হয়েছে।”

সূত্র আরও জানায়, সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি একাধিক স্তরে আলোচনার ফল। সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে চলা সামরিক প্রস্তুতি, নজরদারি এবং স্নায়ুযুদ্ধের আবহে দুই দেশের এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বিশ্লেষকরাও।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সিদ্ধান্ত শুধু সাময়িক উত্তেজনা হ্রাসেই নয়, ভবিষ্যতের সম্পর্ক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। যদিও পূর্বেও একাধিকবার এমন শান্তি প্রচেষ্টা দেখা গেছে, এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। কারণ, দুই দেশের সামরিক ও কূটনৈতিক মহলে এই সমঝোতা আনুষ্ঠানিক ও সক্রিয়ভাবে বাস্তবায়নের দিকে এগোচ্ছে।

এই প্রক্রিয়ার সফল বাস্তবায়ন ভবিষ্যতে বৃহত্তর শান্তি আলোচনার দ্বার খুলে দিতে পারে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট মহল। আন্তর্জাতিক মহলও দুই দেশের এ পদক্ষেপকে দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতার জন্য একটি ইতিবাচক সূচনা হিসেবে দেখছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত-পাকিস্তান সেনা প্রত্যাহারে ঐকমত্য, শান্তি প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি

আপডেট সময় ১১:৫৬:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

 

ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে উভয় দেশ তাদের সেনাবাহিনীকে শান্তিকালীন অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে, অর্থাৎ ৩০ মে’র মধ্যে এই সেনা প্রত্যাহার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উভয় দেশের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা বিশেষ করে সামরিক অভিযানের মহাপরিচালক (ডিজিএমও) এই সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া পর্যায়ক্রমে সমন্বয় করছেন। বিষয়টি ঘিরে সংশ্লিষ্ট মহলে ব্যাপক গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে, কারণ সম্প্রতি নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত ঘিরে চরম উত্তেজনার পর এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শান্তি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এলওসি ও সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে সেনা উপস্থিতি এবং সামরিক তৎপরতার প্রেক্ষাপটে এই উদ্যোগকে ‘আস্থা তৈরির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ’ বলে উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা জানান, “এটি যুদ্ধবিরতি কাঠামোর দ্বিতীয় পর্যায়ের অংশ। যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সমঝোতা সম্ভব হয়েছে।”

সূত্র আরও জানায়, সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি একাধিক স্তরে আলোচনার ফল। সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে চলা সামরিক প্রস্তুতি, নজরদারি এবং স্নায়ুযুদ্ধের আবহে দুই দেশের এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বিশ্লেষকরাও।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সিদ্ধান্ত শুধু সাময়িক উত্তেজনা হ্রাসেই নয়, ভবিষ্যতের সম্পর্ক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। যদিও পূর্বেও একাধিকবার এমন শান্তি প্রচেষ্টা দেখা গেছে, এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। কারণ, দুই দেশের সামরিক ও কূটনৈতিক মহলে এই সমঝোতা আনুষ্ঠানিক ও সক্রিয়ভাবে বাস্তবায়নের দিকে এগোচ্ছে।

এই প্রক্রিয়ার সফল বাস্তবায়ন ভবিষ্যতে বৃহত্তর শান্তি আলোচনার দ্বার খুলে দিতে পারে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট মহল। আন্তর্জাতিক মহলও দুই দেশের এ পদক্ষেপকে দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতার জন্য একটি ইতিবাচক সূচনা হিসেবে দেখছে।