গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা ইসরায়েলের, সীমিত পরিসরে ত্রাণ প্রবেশ শুরু

- আপডেট সময় ১১:৪৪:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
- / 21
ইসরায়েল গতকাল সোমবার ঘোষণা দিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকার পুরো নিয়ন্ত্রণ নেবে। এ ঘোষণার পর অঞ্চলজুড়ে হামলা আরও জোরদার করা হয়েছে। অন্যদিকে, দুই মাসেরও বেশি সময় পর অবরোধ কিছুটা শিথিল হওয়ায় সীমিত পরিসরে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ শুরু হয়েছে।
গত ২ মার্চ থেকে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছিল ইসরায়েল। এর ফলে প্রায় ২০ লাখ মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়ে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করেছিল, এই পরিস্থিতিতে উপত্যকার জনগণ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মহলে মানবিক সংকট ঘিরে চাপ বাড়তে থাকলে ইসরায়েল ত্রাণ ঢোকার অনুমতি দেয়। সোমবার গাজায় পাঁচটি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। এসব ত্রাণে শিশুদের জন্য খাবারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য ছিল।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার জানিয়েছেন, গাজায় নয়টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় এটি অত্যন্ত অপ্রতুল। তাঁর ভাষায়, “এটি বিশাল সমুদ্রে এক ফোঁটা পানির মতো।”
তবে ঠিক কতগুলো ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে, তা নিশ্চিত করতে পারেননি জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। তিনি বলেন, রাত হয়ে যাওয়ার কারণে নিরাপত্তাজনিত কারণে ত্রাণ বিতরণ সম্ভব হয়নি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ‘অনাহারে থাকা মানুষের ছবি’ ইসরায়েলের যুদ্ধ তৎপরতার বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
এদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস শহরের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তারা জানিয়েছে, নজিরবিহীন হামলা শুরু হতে যাচ্ছে এমন সতর্কবার্তা দিয়েই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, “তীব্র লড়াই চলছে, আমরা অগ্রসর হচ্ছি এবং উপত্যকার পুরো নিয়ন্ত্রণ আমরা নেব।”
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ১৬০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর (ওএইচসিএইচআর) ইসরায়েলের এসব হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং জাতিগত নিধনের শামিল বলে উল্লেখ করেছে।
নেতানিয়াহু আরও বলেন, “ইসরায়েল হাল ছাড়বে না। আমাদের এমনভাবে কাজ করতে হবে, যা আর কেউ থামাতে পারবে না।”