ঢাকা ০২:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৪৫:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / 7

ছবি সংগৃহীত

 

সৌদি আরব ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের চলমান পরমাণু আলোচনাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে এবং এই আলোচনার ইতিবাচক ফলাফল আশা করছে। বুধবার রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্র-জিসিসি শীর্ষ সম্মেলনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ এই মন্তব্য করেন।

ওইদিনই সৌদি সফররত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিয়াদে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সময় তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে একটি পরমাণু চুক্তিতে পৌঁছাতে চান তিনি। তবে এই চুক্তির পূর্বশর্ত হিসেবে তেহরানকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তাদের সমর্থিত প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সহায়তা বন্ধ করতে হবে।

ট্রাম্পের বক্তব্যের পর সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে আলোচনার প্রতি সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে একটি পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে সম্মত হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ওই চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেন, ফলে চুক্তিটি ভেঙে পড়ে এবং ইরান পুনরায় তার কর্মসূচি চালু করে।

তবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার আহ্বান জানান এবং সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে একটি চিঠিও পাঠান। ইরান পরোক্ষ সংলাপের পক্ষে মত দেয় এবং ওমানকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বেছে নেয়।

গত মাসে এই সংলাপ শুরু হয় এবং রোববার মাস্কাটে অনুষ্ঠিত চতুর্থ দফার আলোচনায় উভয়পক্ষই আলোচনা ‘ইতিবাচক’ হিসেবে উল্লেখ করে।

সোমবার হোয়াইট হাউসের সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “দেখা যাক আমরা কী করতে পারি। আমি আশাবাদী, আলোচনার ফল ভালোই হবে। তবে কোনো পক্ষই পারমাণবিক অস্ত্র রাখার সুযোগ পাবে না।”

এদিকে আলোচনা চলাকালীন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের একটি সামরিক গবেষণাগার এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যদিও তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি, তবে বলা হয়েছে তারা ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ওই কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না, তাদের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে এবং কোনো মার্কিন প্রতিষ্ঠান তাদের সঙ্গে আর্থিক চুক্তি করতে পারবে না।

তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও ইউরোপীয় দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেন, জাতিসংঘের ‘স্ন্যাপব্যাক’ নিষেধাজ্ঞা চালু করলে এমন উত্তেজনা সৃষ্টি হবে, যেখান থেকে ফেরার আর পথ থাকবে না।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৭:৪৫:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

 

সৌদি আরব ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের চলমান পরমাণু আলোচনাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে এবং এই আলোচনার ইতিবাচক ফলাফল আশা করছে। বুধবার রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্র-জিসিসি শীর্ষ সম্মেলনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ এই মন্তব্য করেন।

ওইদিনই সৌদি সফররত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিয়াদে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সময় তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে একটি পরমাণু চুক্তিতে পৌঁছাতে চান তিনি। তবে এই চুক্তির পূর্বশর্ত হিসেবে তেহরানকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তাদের সমর্থিত প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সহায়তা বন্ধ করতে হবে।

ট্রাম্পের বক্তব্যের পর সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে আলোচনার প্রতি সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে একটি পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে সম্মত হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ওই চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেন, ফলে চুক্তিটি ভেঙে পড়ে এবং ইরান পুনরায় তার কর্মসূচি চালু করে।

তবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার আহ্বান জানান এবং সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে একটি চিঠিও পাঠান। ইরান পরোক্ষ সংলাপের পক্ষে মত দেয় এবং ওমানকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বেছে নেয়।

গত মাসে এই সংলাপ শুরু হয় এবং রোববার মাস্কাটে অনুষ্ঠিত চতুর্থ দফার আলোচনায় উভয়পক্ষই আলোচনা ‘ইতিবাচক’ হিসেবে উল্লেখ করে।

সোমবার হোয়াইট হাউসের সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “দেখা যাক আমরা কী করতে পারি। আমি আশাবাদী, আলোচনার ফল ভালোই হবে। তবে কোনো পক্ষই পারমাণবিক অস্ত্র রাখার সুযোগ পাবে না।”

এদিকে আলোচনা চলাকালীন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের একটি সামরিক গবেষণাগার এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যদিও তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি, তবে বলা হয়েছে তারা ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ওই কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না, তাদের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে এবং কোনো মার্কিন প্রতিষ্ঠান তাদের সঙ্গে আর্থিক চুক্তি করতে পারবে না।

তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও ইউরোপীয় দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেন, জাতিসংঘের ‘স্ন্যাপব্যাক’ নিষেধাজ্ঞা চালু করলে এমন উত্তেজনা সৃষ্টি হবে, যেখান থেকে ফেরার আর পথ থাকবে না।