আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে কি বলছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ?

- আপডেট সময় ১০:০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
- / 3
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা এই বিষয়ে অবগত এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেয়। অপরদিকে, ভারত বলছে, উপযুক্ত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
মঙ্গলবার (১৩ মে) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র টমি পিগট বলেন, “বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র কোনো একক রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। আমরা ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনে বিশ্বাস করি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের প্রতি আহ্বান জানাই, যেন তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং সংগঠনের স্বাধীনতাকে সম্মান করে।”
এদিকে, একই দিন সন্ধ্যায় দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “কোনো উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ না করেই আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যা উদ্বেগজনক।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে এবং রাজনৈতিক পরিসর সঙ্কুচিত হওয়ায় ভারত, একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে, গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।”
ভারত দ্রুত সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বলেছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় নির্বাচন অনিবার্য।
এর আগে সোমবার (১২ মে) বিকেলে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে আওয়ামী লীগ ও এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
সরকার জানায়, দলটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। একই দিন রাতেই নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করে।
রাজনৈতিক অঙ্গনে এ সিদ্ধান্ত ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। অনেকে বলছেন, এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।