ঢাকা ০২:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তারেক রহমানের অভিনন্দন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়কে জনতার ঢল করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৭ জন শিক্ষা সমাজ ও রাষ্ট্রের উপযোগী মানুষ গড়ে তোলে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা পরিবেশই নয়, অর্থনীতি ও জীববৈচিত্র্যও টিকিয়ে রাখতে বন নিরাপত্তার অন্যতম ভিত্তি: রিজওয়ানা জোটবদ্ধ ইসলামি দলই আগামী দিনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে: চরমোনাই পীর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির ৯ কোটি টাকার এলএসডি ও ফেনসিডিল উদ্ধার গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেফতার ১,৫৪০ জন

কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব ট্রাম্পের, ভারতের প্রতিক্রিয়া কী?

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৯:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / 16

ছবি: সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় কূটনৈতিক তৎপরতায় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির একদিন পরই, কাশ্মীর ইস্যুতে এক ঐতিহাসিক মন্তব্য করে বসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই দীর্ঘকালীন বিরোধের সমাধানে মধ্যস্থতার জন্য প্রস্তুত এবং এই পুরোনো সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে কাজ করবে।

কাশ্মীর নিয়ে ট্রাম্পের এমন প্রস্তাবকে পাকিস্তান স্বাগত জানালেও নিশ্চুপ ছিল ভারত। তবে মঙ্গলবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব রণধীর জয়সওয়াল। কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত সরকারের অবস্থান আবারও স্পষ্ট করলেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে জয়সওয়ালকে প্রশ্ন করা হয়- ‘কাশ্মীর ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান কী?’ জাবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কাশ্মীর একটি দ্বিপাক্ষিক ইস্যু ছিল, দ্বিপাক্ষিক ইস্যু আছে এবং থাকবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের চাপে পড়ে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য হয়েছে ভারত?—এমন প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, ৭ মে, অপারেশন সিঁদুরের শুরু থেকে ১০ মে, সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা পর্যন্ত আমেরিকা এবং ভারতের নেতৃত্বের মধ্যে নিয়মিতভাবে কথা হয়েছে। তৎকালীন উদ্ভুত সামরিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বারবার। কিন্তু কোনো আলোচনায় ব্যবসায়িক চাপের কথা উঠে আসেনি।

উল্লেখ্য, রোববার (১১ মে) সকালে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমি গর্বিত যে যুক্তরাষ্ট্র এই ঐতিহাসিক ও বীরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সহায়তা করতে পেরেছে। ভারত ও পাকিস্তানের শক্তিশালী নেতৃত্ব যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মাধ্যমে লাখো নিরীহ মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।’

ট্রাম্প আরও লেখেন, যদিও এটা নিয়ে সরাসরি আলোচনা হয়নি, আমি ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে যাচ্ছি এবং আমি চেষ্টা করব কাশ্মীর নিয়ে ‘হাজার বছরের পুরোনো সমস্যার’ একটি সমাধানে পৌঁছাতে।

কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে ট্রাম্পের এমন আগ্রহ প্রকাশের পর উৎসাহ দেখায় পাকিস্তান। তবে ভারত সরকার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। অনেকে মনে করছেন, ট্রাম্পের এমন অবস্থানে হয়ত চাপে পড়বে ভারত। সত্যিই যদি ট্রাম্প এমনটা চিন্তা করে থাকেন তবে তা হয়ত কাশ্মীরের স্বাধীনতার পথও খুলতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব ট্রাম্পের, ভারতের প্রতিক্রিয়া কী?

আপডেট সময় ১০:৩৯:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় কূটনৈতিক তৎপরতায় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির একদিন পরই, কাশ্মীর ইস্যুতে এক ঐতিহাসিক মন্তব্য করে বসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই দীর্ঘকালীন বিরোধের সমাধানে মধ্যস্থতার জন্য প্রস্তুত এবং এই পুরোনো সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে কাজ করবে।

কাশ্মীর নিয়ে ট্রাম্পের এমন প্রস্তাবকে পাকিস্তান স্বাগত জানালেও নিশ্চুপ ছিল ভারত। তবে মঙ্গলবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব রণধীর জয়সওয়াল। কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত সরকারের অবস্থান আবারও স্পষ্ট করলেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে জয়সওয়ালকে প্রশ্ন করা হয়- ‘কাশ্মীর ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান কী?’ জাবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কাশ্মীর একটি দ্বিপাক্ষিক ইস্যু ছিল, দ্বিপাক্ষিক ইস্যু আছে এবং থাকবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের চাপে পড়ে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য হয়েছে ভারত?—এমন প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, ৭ মে, অপারেশন সিঁদুরের শুরু থেকে ১০ মে, সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা পর্যন্ত আমেরিকা এবং ভারতের নেতৃত্বের মধ্যে নিয়মিতভাবে কথা হয়েছে। তৎকালীন উদ্ভুত সামরিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বারবার। কিন্তু কোনো আলোচনায় ব্যবসায়িক চাপের কথা উঠে আসেনি।

উল্লেখ্য, রোববার (১১ মে) সকালে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমি গর্বিত যে যুক্তরাষ্ট্র এই ঐতিহাসিক ও বীরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সহায়তা করতে পেরেছে। ভারত ও পাকিস্তানের শক্তিশালী নেতৃত্ব যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মাধ্যমে লাখো নিরীহ মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।’

ট্রাম্প আরও লেখেন, যদিও এটা নিয়ে সরাসরি আলোচনা হয়নি, আমি ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে যাচ্ছি এবং আমি চেষ্টা করব কাশ্মীর নিয়ে ‘হাজার বছরের পুরোনো সমস্যার’ একটি সমাধানে পৌঁছাতে।

কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে ট্রাম্পের এমন আগ্রহ প্রকাশের পর উৎসাহ দেখায় পাকিস্তান। তবে ভারত সরকার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। অনেকে মনে করছেন, ট্রাম্পের এমন অবস্থানে হয়ত চাপে পড়বে ভারত। সত্যিই যদি ট্রাম্প এমনটা চিন্তা করে থাকেন তবে তা হয়ত কাশ্মীরের স্বাধীনতার পথও খুলতে পারে।