শুল্ক কমাতে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের ঐতিহাসিক চুক্তি, বিশ্ববাজারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া

- আপডেট সময় ০৪:২৪:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
- / 24
দুই দিনের সফল আলোচনা শেষে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পরস্পরের ওপর আরোপিত শুল্ক সর্বোচ্চ ১১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সম্মত হয়েছে। এই অস্থায়ী চুক্তির মেয়াদ ৯০ দিন। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠককে ঘিরে বিশ্ববাজারে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের আশাবাদ।
চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত আরোপিত শুল্ক কমিয়ে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনবে। অপরদিকে, চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে মাত্র ১০ শতাংশে আনবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, “ওয়াশিংটন ও বেইজিং কেউই নিজেদের সম্পর্ক ছিন্ন করতে চায় না।” তার এই মন্তব্যের পরই বাজারে ইতিবাচক সাড়া পড়ে।
এই ঘোষণার প্রভাব পড়ে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে। লন্ডনের এফটিএসই ১০০ সূচক লেনদেনের শুরুতেই ১ শতাংশ বেড়ে যায়। হংকংয়ের হ্যাংসেং সূচকে ৩ শতাংশের বেশি উত্থান দেখা যায় এবং ওয়াল স্ট্রিট সূচকগুলোও দিনের শুরুতে প্রায় ৩ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী থাকার আভাস দেয়।
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, উভয় পক্ষই সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত ‘স্বাধীনতা দিবস শুল্ক কাঠামো’র পাল্টা শুল্কগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর ব্যাপারে একমত হয়েছে। এর আওতায় ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক হ্রাস করে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হচ্ছে।
তবে ফেন্টানিল জাতীয় মাদকের ওপর ট্রাম্প প্রশাসন আরোপিত ২০ শতাংশ শুল্ক বহাল থাকবে বলেও গ্রিয়ার নিশ্চিত করেন।
এই চুক্তির ফলে তেলের দাম ৩ শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে। ডলার শক্তিশালী হয়ে উঠেছে অন্যান্য মুদ্রার তুলনায়, যার প্রভাবে ইউরো ২০২৫ সালের সবচেয়ে দুর্বল অবস্থানে পৌঁছেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সাময়িক চুক্তি বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের এক বড় পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতের দীর্ঘমেয়াদি সমঝোতার পথ সুগম করতে পারে।
সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ