ঢাকা ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তারেক রহমানের অভিনন্দন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়কে জনতার ঢল করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৭ জন শিক্ষা সমাজ ও রাষ্ট্রের উপযোগী মানুষ গড়ে তোলে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা পরিবেশই নয়, অর্থনীতি ও জীববৈচিত্র্যও টিকিয়ে রাখতে বন নিরাপত্তার অন্যতম ভিত্তি: রিজওয়ানা জোটবদ্ধ ইসলামি দলই আগামী দিনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে: চরমোনাই পীর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির ৯ কোটি টাকার এলএসডি ও ফেনসিডিল উদ্ধার গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেফতার ১,৫৪০ জন

ব্রাসেলসে যুদ্ধবিরতি ও ন্যায়বিচারের দাবিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে গণবিক্ষোভ

ফিলিস্তিন, গণবিক্ষোভ, ন্যায়বিচার
  • আপডেট সময় ০১:২৬:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • / 19

ছবি সংগৃহীত

 

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গতকাল রবিবার দুপুরে হাজারো মানুষ এক বিশাল বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়। বিক্ষোভকারীরা গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনিদের ন্যায়বিচার দাবি করেন।

বিক্ষোভে প্রায় ৬০টি বেসরকারি সংগঠন তাদের সমর্থন জানায়। ব্রাসেলসের উত্তর স্টেশনের কাছে বুলেভার্ড সাইমন বলিভার থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয় এবং শহরের খাল ধরে দক্ষিণ স্টেশনের দিকে অগ্রসর হয়। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে বিক্ষোভকারীরা ‘ফ্রি, ফ্রি ফিলিস্তিন’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠেন। অনেকেই ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা একটি বিশাল সাদা ব্যানার বহন করেন, যেখানে চলমান সংঘাতে নিহত হওয়া অসংখ্য ফিলিস্তিনির নাম লিপিবদ্ধ ছিল।

এটি ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিনপন্থী নবম বৃহৎ বিক্ষোভ, যা এবার ফিলিস্তিনিদের ৭৭তম ‘নাকবা’ দিবসের সঙ্গে মিল রেখে আয়োজন করা হয়। ‘নাকবা’ শব্দটি আরবিতে বিপর্যয় বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় লক্ষাধিক ফিলিস্তিনিকে তাদের নিজ ভূমি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল, যা ‘নাকবা’ হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত।

বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন বেলজিয়াম-ফিলিস্তিনি অ্যাসোসিয়েশন (বিপি), অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ফিলিস্তিনি সংগঠন বেইতনা, ট্রেড ইউনিয়ন এফজিটিবি ও সিএসসি এবং বেলজিয়ামের প্রগ্রেসিভ ইহুদি ইউনিয়ন (ইউপিজেবি) সহ আরও কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন।

আয়োজকেরা বেলজিয়ান সরকারের কাছে আহ্বান জানান, গাজায় ইসরায়েলের পরিকল্পিত মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। পাশাপাশি তারা গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতিগত নির্মূল প্রকল্পের বিরোধিতা করার জন্য সরকারের ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।

বিক্ষোভকারীদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে ছিল ইসরায়েলের ওপর পূর্ণ সামরিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইসরায়েলের মধ্যকার সহযোগিতা চুক্তি স্থগিত করা।

সূত্র: দ্য ব্রাসেলস টাইমস

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্রাসেলসে যুদ্ধবিরতি ও ন্যায়বিচারের দাবিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে গণবিক্ষোভ

আপডেট সময় ০১:২৬:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

 

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গতকাল রবিবার দুপুরে হাজারো মানুষ এক বিশাল বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়। বিক্ষোভকারীরা গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনিদের ন্যায়বিচার দাবি করেন।

বিক্ষোভে প্রায় ৬০টি বেসরকারি সংগঠন তাদের সমর্থন জানায়। ব্রাসেলসের উত্তর স্টেশনের কাছে বুলেভার্ড সাইমন বলিভার থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয় এবং শহরের খাল ধরে দক্ষিণ স্টেশনের দিকে অগ্রসর হয়। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে বিক্ষোভকারীরা ‘ফ্রি, ফ্রি ফিলিস্তিন’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠেন। অনেকেই ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা একটি বিশাল সাদা ব্যানার বহন করেন, যেখানে চলমান সংঘাতে নিহত হওয়া অসংখ্য ফিলিস্তিনির নাম লিপিবদ্ধ ছিল।

এটি ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিনপন্থী নবম বৃহৎ বিক্ষোভ, যা এবার ফিলিস্তিনিদের ৭৭তম ‘নাকবা’ দিবসের সঙ্গে মিল রেখে আয়োজন করা হয়। ‘নাকবা’ শব্দটি আরবিতে বিপর্যয় বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় লক্ষাধিক ফিলিস্তিনিকে তাদের নিজ ভূমি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল, যা ‘নাকবা’ হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত।

বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন বেলজিয়াম-ফিলিস্তিনি অ্যাসোসিয়েশন (বিপি), অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ফিলিস্তিনি সংগঠন বেইতনা, ট্রেড ইউনিয়ন এফজিটিবি ও সিএসসি এবং বেলজিয়ামের প্রগ্রেসিভ ইহুদি ইউনিয়ন (ইউপিজেবি) সহ আরও কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন।

আয়োজকেরা বেলজিয়ান সরকারের কাছে আহ্বান জানান, গাজায় ইসরায়েলের পরিকল্পিত মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। পাশাপাশি তারা গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতিগত নির্মূল প্রকল্পের বিরোধিতা করার জন্য সরকারের ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।

বিক্ষোভকারীদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে ছিল ইসরায়েলের ওপর পূর্ণ সামরিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইসরায়েলের মধ্যকার সহযোগিতা চুক্তি স্থগিত করা।

সূত্র: দ্য ব্রাসেলস টাইমস