ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

শান্তি আলোচনায় প্রস্তুত ইউক্রেন, শর্ত একটাই – পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি: জেলেনস্কি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:০৫:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া যদি একটি পূর্ণাঙ্গ, স্থায়ী ও বাস্তব যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সম্প্রতি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিয়েভকে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ার পর এই মন্তব্য করেন জেলেনস্কি।

পুতিন বলেন, “২০২২ সালে ইউক্রেন যেসব আলোচনার টেবিল ছেড়ে গিয়েছিল, সেই আলোচনা তারা চাইলে শর্তহীনভাবে আবার শুরু করতে পারে। আমরা আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ইস্তাম্বুলে আলোচনার প্রস্তাব দিচ্ছি।” তিনি আরও জানান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে এ বিষয়ে শিগগিরই তিনি কথা বলবেন।

জেলেনস্কি এই প্রস্তাবকে সম্ভাব্য শান্তির ইঙ্গিত হিসেবে দেখলেও শর্ত দিয়েছেন একটি রাশিয়াকে অবশ্যই যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় অটল থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, “একটি দিনও আর এই হত্যাকাণ্ড চলতে পারে না। আমরা চাই, আগামীকাল থেকেই রাশিয়া যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিক একটি পূর্ণাঙ্গ, স্থায়ী ও নির্ভরযোগ্য যুদ্ধবিরতি।”

তিনি বলেন, “রাশিয়া যে অবশেষে যুদ্ধ বন্ধ করার কথা ভাবছে, এটি একটি ইতিবাচক সংকেত। কিন্তু কথার চেয়ে কাজ জরুরি।”

এদিকে, ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররাও পুতিনের এই প্রস্তাব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক মন্তব্যে বলেছেন, “পুতিন কেবল সময় কেনার চেষ্টা করছেন।”

তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘটনাকে ‘রাশিয়া ও ইউক্রেনের জন্য সম্ভাব্য একটি মহান দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি উভয় পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।”

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই মুহূর্তে আলোচনার প্রস্তাব কৌশলগত একটি পদক্ষেপ হতে পারে, বিশেষ করে পশ্চিমা চাপের মুখে পড়ে রাশিয়া কিছুটা নমনীয়তা দেখাচ্ছে। তবে ইউক্রেন শুরু থেকেই যে অবস্থানে ছিল নিষ্কলুষ ও শর্তহীন যুদ্ধবিরতির তা থেকে তারা একচুলও সরছে না।

বর্তমানে যুদ্ধের দুই বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনার এ ইঙ্গিত নতুন করে কূটনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে প্রকৃত আলোচনা কতটা এগোয় এবং এর ফলাফল কতটা বাস্তবায়নযোগ্য হয়, তা সময়ই বলে দেবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

শান্তি আলোচনায় প্রস্তুত ইউক্রেন, শর্ত একটাই – পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি: জেলেনস্কি

আপডেট সময় ০৬:০৫:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া যদি একটি পূর্ণাঙ্গ, স্থায়ী ও বাস্তব যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সম্প্রতি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিয়েভকে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ার পর এই মন্তব্য করেন জেলেনস্কি।

পুতিন বলেন, “২০২২ সালে ইউক্রেন যেসব আলোচনার টেবিল ছেড়ে গিয়েছিল, সেই আলোচনা তারা চাইলে শর্তহীনভাবে আবার শুরু করতে পারে। আমরা আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ইস্তাম্বুলে আলোচনার প্রস্তাব দিচ্ছি।” তিনি আরও জানান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে এ বিষয়ে শিগগিরই তিনি কথা বলবেন।

জেলেনস্কি এই প্রস্তাবকে সম্ভাব্য শান্তির ইঙ্গিত হিসেবে দেখলেও শর্ত দিয়েছেন একটি রাশিয়াকে অবশ্যই যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় অটল থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, “একটি দিনও আর এই হত্যাকাণ্ড চলতে পারে না। আমরা চাই, আগামীকাল থেকেই রাশিয়া যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিক একটি পূর্ণাঙ্গ, স্থায়ী ও নির্ভরযোগ্য যুদ্ধবিরতি।”

তিনি বলেন, “রাশিয়া যে অবশেষে যুদ্ধ বন্ধ করার কথা ভাবছে, এটি একটি ইতিবাচক সংকেত। কিন্তু কথার চেয়ে কাজ জরুরি।”

এদিকে, ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররাও পুতিনের এই প্রস্তাব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক মন্তব্যে বলেছেন, “পুতিন কেবল সময় কেনার চেষ্টা করছেন।”

তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘটনাকে ‘রাশিয়া ও ইউক্রেনের জন্য সম্ভাব্য একটি মহান দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি উভয় পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।”

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই মুহূর্তে আলোচনার প্রস্তাব কৌশলগত একটি পদক্ষেপ হতে পারে, বিশেষ করে পশ্চিমা চাপের মুখে পড়ে রাশিয়া কিছুটা নমনীয়তা দেখাচ্ছে। তবে ইউক্রেন শুরু থেকেই যে অবস্থানে ছিল নিষ্কলুষ ও শর্তহীন যুদ্ধবিরতির তা থেকে তারা একচুলও সরছে না।

বর্তমানে যুদ্ধের দুই বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনার এ ইঙ্গিত নতুন করে কূটনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তবে প্রকৃত আলোচনা কতটা এগোয় এবং এর ফলাফল কতটা বাস্তবায়নযোগ্য হয়, তা সময়ই বলে দেবে।