ঢাকা ১১:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাংলাদেশ ক্রিকেটকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিসিবি: আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশের জন্য পিআর পদ্ধতির নির্বাচন প্রযোজ্য নয়: সালাহউদ্দিন আহমদ চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনার খবর ভিত্তিহীন, ইরানের কড়া প্রতিবাদ ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আইআরজিসি সদর দপ্তরে নিহত হয়েছিল ৪১ জন গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৮১, ধ্বংসস্তূপে চলছে মরদেহ উদ্ধার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ঘটনায় মূল আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫ গাজায় ইসরাইলি অবরোধে অপুষ্টিতে ৬৬ শিশুর মৃত্যু জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মুরাদনগরে কর্মকাণ্ডের পেছনে রয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়: আসিফ মাহমুদ জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তারেক রহমানের অভিনন্দন

যুদ্ধ থামাতে আগ্রহী পুতিন, ইউক্রেনকে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 12

ছবি সংগৃহীত

 

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি জানান, আগামী ১৫ মে থেকেই এ আলোচনা শুরু করা সম্ভব। শনিবার গভীর রাতে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে একটি গুরুতর আলোচনা করতে প্রস্তুত। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সংঘাতের মূল কারণ সমাধান করা এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি, টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।’

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ইউরোপীয় নেতাদের একটি ঐতিহাসিক সফরের পরপরই পুতিন এই প্রস্তাব দেন। প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের মাটিতে একসঙ্গে উপস্থিত হন ইউরোপের চার প্রধান দেশের শীর্ষ নেতারা। কিয়েভে দাঁড়িয়ে তারা রুশ প্রেসিডেন্টকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন—সোমবারের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ না হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে এবং সামরিক সহায়তা আরও বাড়ানো হবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে একসঙ্গে ফোন করেন ইউরোপীয় নেতারা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবহিত করেন পরিস্থিতি সম্পর্কে। পরে এক সম্মেলনে জেলেনস্কি জানান, যুদ্ধবিরতির আওতায় থাকবে আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথ—সবকিছুই। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, রাশিয়া যদি এ সুযোগ গ্রহণ না করে, তবে ব্যাংক ও জ্বালানি খাতে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন বলেন, মস্কো যদি আলোচনার পথে না আসে, তবে ইউরোপ কঠোর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস সতর্ক করে দেন, পুতিন যদি আলোচনায় না আসেন, তাহলে ইউক্রেনকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা শুধু বজায় থাকবে না, বরং আরও বাড়ানো হবে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সরাসরি আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে আলোচনার দরজা খুলবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, বর্তমান বিশ্বের শান্তির পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে রাশিয়া।

সব মিলিয়ে পুতিনের প্রস্তাবকে ঘিরে বিশ্ববাসী নতুন করে আশার আলো দেখলেও, ইউরোপীয় নেতাদের কড়া অবস্থান এই সংকট সমাধানে সময়সীমার চাপ তৈরি করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুদ্ধ থামাতে আগ্রহী পুতিন, ইউক্রেনকে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব

আপডেট সময় ১১:০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি জানান, আগামী ১৫ মে থেকেই এ আলোচনা শুরু করা সম্ভব। শনিবার গভীর রাতে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে একটি গুরুতর আলোচনা করতে প্রস্তুত। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সংঘাতের মূল কারণ সমাধান করা এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি, টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।’

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ইউরোপীয় নেতাদের একটি ঐতিহাসিক সফরের পরপরই পুতিন এই প্রস্তাব দেন। প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের মাটিতে একসঙ্গে উপস্থিত হন ইউরোপের চার প্রধান দেশের শীর্ষ নেতারা। কিয়েভে দাঁড়িয়ে তারা রুশ প্রেসিডেন্টকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন—সোমবারের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ না হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে এবং সামরিক সহায়তা আরও বাড়ানো হবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে একসঙ্গে ফোন করেন ইউরোপীয় নেতারা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবহিত করেন পরিস্থিতি সম্পর্কে। পরে এক সম্মেলনে জেলেনস্কি জানান, যুদ্ধবিরতির আওতায় থাকবে আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথ—সবকিছুই। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, রাশিয়া যদি এ সুযোগ গ্রহণ না করে, তবে ব্যাংক ও জ্বালানি খাতে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন বলেন, মস্কো যদি আলোচনার পথে না আসে, তবে ইউরোপ কঠোর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস সতর্ক করে দেন, পুতিন যদি আলোচনায় না আসেন, তাহলে ইউক্রেনকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা শুধু বজায় থাকবে না, বরং আরও বাড়ানো হবে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সরাসরি আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে আলোচনার দরজা খুলবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, বর্তমান বিশ্বের শান্তির পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে রাশিয়া।

সব মিলিয়ে পুতিনের প্রস্তাবকে ঘিরে বিশ্ববাসী নতুন করে আশার আলো দেখলেও, ইউরোপীয় নেতাদের কড়া অবস্থান এই সংকট সমাধানে সময়সীমার চাপ তৈরি করেছে।